somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বজিতের পোস্টমর্টেম নিয়ে জাতীয় দৈনিক মিথ্যাচার

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্বজিতের পোস্টমর্টেম নিয়ে রিপোর্ট লিখার পূর্বে দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক নিশ্চিৎ তীব্র হতাশা কিংবা অলীক কল্পনার জগতে সাঁতার কাটছিলো। নইলে এভাবে মনগড়া রিপোর্ট কোন সাংবাদিকের পক্ষে লিখা সম্ভব নয়। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষক যে ডা. মাকসুদ স্যারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ইত্তেফাকের সেই রিপোর্টে, সেখানে ডা. মাকসুদ জানামতে কোন সাংবাদিকের সাথে এমন কোন কথাই বলেননি। তথাপি চতুর্থ বর্ষের ক্লাসে দেখানো পোস্টমর্টেম রিপোর্টটাতে পরিষ্কারভাবে লেখা আছে,বুকের বাম পাশে ৩ সেন্টিমিটার গভীরতার একটা ইনজুরি আছে,এই ইনজুরিতে axillary artery ছিঁড়ে যায়, ফলে প্রচুর ব্লিডিং হয় এবং circulatory failure এ মারা যায় বিশ্বজিত। রিপোর্টে এই ইনজুরিটির কথা উল্লেখ থাকলেও সেটিকে ফিচার না করে ডা. মাকসুদের নামে খাপছাড়া সকল অপবাদ দিয়ে চিকিৎসক সমাজের গুষ্ঠি উদ্ধারের উস্কানি দেবার চেষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া ডা. মাকসুদ যেখানে স্পষ্টভাবে লিখে দিয়েছেন এটি HOMICIDE (হত্যাকান্ড), এমনক­ি রিপোর্টে বিশ্বজিতের বাবা,মা,ভা
ইয়ের স্বাক্ষর দেওয়া আছে তারপরও ডা. মাকসুদের নামে কুৎসামূলক তথ্য লিখে একটি জাতীয় দৈনিকের রিপোর্টার কি সমগ্র জাতিকে দ্বিধায় ফেলার অপপ্রয়াস করেনি?

এবার দৈনিক সমকালের রিপোর্টিতে বলা হয়েছে, "বিশ্বজিতের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে দেখা গেছে তার দেহে ২৩টি আঘাতের চিহ্ন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়।"

হলুদ সাংবাদিকতার এই নিকৃষ্ট উদাহরন সুস্পষ্টভাবে বৈধতার সীমা অতিক্রম করেছে বলে আমি মনে করছি।

ঘটনাস্থল থেকে সলিমুল্লাহ মেডিকেলের দূরত্বের হিসাবে যে পরিমাণ রক্তক্ষরণ হয়েছে তাতে বিশ্বজিতের মৃত্যু হয়েছে জানা যায়, হয়ত আরও দ্রুত চিকিৎসার ব্যাবস্থা নিলে বিশ্বজিৎকে বাচানো যেত। বিশ্বজিৎকে কেন ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী ন্যাশনাল মেডিকেলে নেয়া হয়নি সেটা নিয়ে না লিখে সরাসরি বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি মিজান সাহেব চিকিৎসকদের আরেকবার পিন্ডি চটকালেন। তথাপি পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে উক্ত সাংবাদিক সমাজে বুক ফোলালেন, তাতে পিষ্ট হলো পাষন্ড চিকিৎসক সমাজ। বিশ্বজিৎ, ভাই তুমি মরে গিয়ে বেচে গেছো। আমাদের অসহায়ত্বের আপাত সমাধানের নিকট আবেগ পরাজিত। ভালো থেকো বিশ্বজিৎ!

কৃতজ্ঞতা ~ Ishtiak Chayan
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×