somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন কাপুরুষ-এর শাস্তি চাইঃ গণমামলায় অংশ নিন।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“২০১০ সালের অক্টোবর মাসের কথা। কিশোরী একটি মেয়ে। কলেজে গিয়েছিল ক্লাস করতে। জুয়েলস অক্সফোর্ড ইন্টার ন্যাশনাল স্কুল, সিরাজগঞ্জ। সৃজন নামে তার এক সহপাঠী তার দিকে এগিয়ে এলো। হাতে লাল গোলাপ। মেয়েটি ভেবেছিলো, তাকে হয়ত প্রপোজ করবে ছেলেটি। স্বভাবজাত নারীসুলভ চোখে তাকিয়ে ছিল সে। ছেলেটি হাসিমুখে এগিয়ে এলো। তার বন্ধুরা ভিডিও করছে ঘটনাটি। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসল। তারপর, আকস্মাত সজোরে মেয়েটির গালে চড় বসিয়ে দিলো।“ – ভিডিওটি শেষ। মাত্র ২১ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি অনেক কিছু বলে দেয়। বলে দেয়, আমাদের সমাজের মেয়েরা কতটা অনিরাপদ। স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, বাস বা গনপরিবহন কোথাও তাদের নিরাপত্তা নেই,কারো কাছেই নেই।
ভিডিওটা দেখার পর একজনের কমেন্ট ছিল “ভিডিওটা যখন দেখি মনে হচ্ছিল, এই চরটা যেন আমারও গালে এসে পড়লো, পড়লো আমার প্রতিবেশি মেয়েটার গালে, চেনা অচেনা সকল মেয়ের গালে, যার মাঝে আছেন সকল মা, সকল কন্যা, সকল স্ত্রী, বোন, সব সম্পর্কের নারীরাই। যেনো অভব্যতা আর অশিষ্ট সমাজের কুশিক্ষার ক্লেদের ছাপ গড়িয়ে পড়লো তাদের সকলের চিবুক বেয়ে। যেন সকল সভ্যতা, কমনীয়তা আর মাধুর্য সপাটে এক চর খেলো কোন কুৎসিততম জন্তুর হাতে। “
ছেলের বাবার হেব্বি পাওয়ার। আইনের লোক। পুলিশের ওসি। তাই, স্থানীয় ভাবেই “শালিস” বসিয়ে মীমাংসা হয়ে গেলো ঘটনাটির। তারপরেও ভিডিও ক্লিপটি রয়ে গেলো ছেলেটি এবং তার বন্ধুদের কাছে। একবছর পর মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেলো। ওসি বাবার ঘুষের টাকায় ধানমন্ডির ফ্লাট বাসায় বড় হওয়া নরপশুটিরও বিদেশ পাড়ি জমানোর সময় হল। আর, বিদেশ যাওয়ার আগে কৌশলে সেই ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়া হল ফেসবুকে। হাজার হাজার মানুষ হাত তালি দিলো তা দেখে। ভিডিওটির শিরনামঃ “যে মেয়েরা ভাব নেয়, তাদেরকে এভাবেই মারা উচিৎ।“
উচিৎ ?? আমরা যদি এইটাকেই উচিৎ বলে মেনে নেই, আমি নিশ্চিত আমার আদরের বোনটা যেই কলেজে পড়তে যায়, শেখানেও এই ধরনের কুলাঙ্গার জন্মাতে দেরি করবেনা।
ভালো করে চিন্তা করে দেখুনতো, উপরের ঘটনার আসল ভিক্টিম কে? মেয়েটি? সে হয়ত অপমানে কাঁদবে। হয়ত, রাস্তায় দেখলই পশুরা দাঁত কেলিয়ে হাসবে। হয়ত, তার শশুরপক্ষ তাকে ভুল বুঝবে। হয়ত, আরও অনেক কিছু! তারপর? এই সমাজটা? এই সমাজটা কি ভিক্টিম নয়? আমি, আপনি? আমরা ভিক্টিম নই? বিভিন্ন সময়ে এই ধরনের জানোয়াররা ছাড় পেয়েছে বলেই, আজ নতুন জানোয়ারের উত্থান। এই জানোয়ারকে ছাড় দিবেন? নতুন জানোয়ার উঠতে বেশি টাইম নিবেনা।
যদি কিছুটা বিবেক নাড়া দিয়ে থাকে,তবে গর্জে উঠুন। এই জানোয়ারগুলারে আইনের সম্মুখীন করুন। আসুন হাতে হাত মিলিয়ে এই সমাজটা পরিবর্তনের জন্য কাজ করি। নারীর জন্য নিরাপদ একটি সমাজ তৈরির দায়িত্ব প্রীতিটি পুরুষের, প্রতিটি নারীর। প্রতিটি মানুষের।
ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সচেতন ব্লগার ও ফেসবুকাররা গনতদন্তের মাধ্যমে কালপ্রিটদের খুজে বের করে।
এরা হচ্ছেঃ
১। সৃজন আহমেদ ( http://www.facebook.com/01611335665szn ) ফোন নং- 01611335665 , বাবার নামঃ আবুল কালাম আজাদ, বগুড়ার ধুনট থানার অসি। ফোনঃ ০১৭১১১৫৩০৩৭, বাসাঃ রোড নং- ০৫,বাড়ী নং- ২৪,ফ্ল্যাট নং- ডি৫, ধানমন্ডি। এ-ই ভিডিওটিতে মেয়েটিকে অপমানিত করে।
২. শিপলু,( https://www.facebook.com/shibly.shipu ) এ-ই সেটা ভিডিও করেছে। ফোনঃ ০১৬৭৪৮২৭৪৬৩ , বাড়ি সিরাজগঞ্জ, এখন ঢাকায়ই থাকে। পড়ে, DIFT BMLএ। ক্যাম্পাসের ঠিকানা ঃ মিরপুর ১০ (স্টেডিয়াম এর ৫ নাম্বার গেট এর অপজিট)
৩, মাসুদ রানা, (http://www.facebook.com/kushtiar.p.masud ) এ-ই ফেসবুকে সেই ভিডিওটা ছড়িয়ে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সে সৃজনের বন্ধু। এর প্রোফাইলে AIUBর স্টুডেন্ট লিখা আছে। এর ঠিকানা এবং পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া জায়নি।
এই বেজন্মাদের বিরুদ্ধে আইনি বেবস্থা নিন। এবং এদের সর্বচ্ছ শাস্তি নিশ্চিত করুন।
এদের বিরুদ্ধে গন মামলা করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ফেসবুকের এই ইভেন্টে যোগ দিন এবং এজাহারে সাক্ষর করে সক্রিয় ভাবে মামলায় অংশ নিন। এই জানোয়ারগুলোর শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব কারো একার নয়। আপনার আমার সকলের। প্রতিটি বিভাগীয় শহর এবং প্রবাসী ব্লগারদের এজাহারে সিগনেচার করার সুযোগ রয়েছে। সাইবার ক্রাইম, আইসিটি এক্ট ২০০৬ সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের বিশেষ সহযোগিতা কামনা করছি।
Respect Women, Be a REAL man.
এই সংক্রান্ত গুরত্তপূর্ণ পোস্ট সমুহঃ
১। ভিডিওটির ব্লার ভার্সনঃ Click This Link
১। সুশান্তের ব্লগঃ http://www.amarblog.com/sushanta/posts/157199
২। সুশান্তের ফেসবুক: http://www.facebook.com/sushanta.dasgupta
৩। অরিজিনাল জামিরের ফেসবুকঃ http://www.facebook.com/TrialVersion22
৪। সুখন’এর ভিডিও ব্লগ: Click This Link
৫। উন্মোচনের নিউজ লিংকঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৪
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×