অনেকগুলা মুভিই আছে যা সবসময়ই আন্ডারএস্টিমেটেড হইছে আর সেই তালিকায় আমার মতে সবার উপরে থাকবে ডাল্টন ট্রাম্বো’র “Johny got his gun” মুভিটা। মেটালিকার “One” গানের মিউজিক ভিডিও টা যারা দেখছেন, আমি শিওর তারা অনেকেই আমার মতই জানতেননা যে সেটা এই মুভির উপর বেইজ করে তৈরী আর ওই ভিডিওটা ডিরেকশন-ও দিছেন ডাল্টন ট্রাম্বো। মুভি নিয়ে আমি অলটাইমই খুব সেন্সিটিভ, আর এতদিন পর এই মুভিটা দেখার পরে আমার একটাই কথা মাথায় আসছিলো-“ কি জিনিসটাই না এতদিন মিস করলাম!!!”।
পরিচালক ট্রাম্বো সাহেব ১৯৩৯ সালে একই নামে একটা বই ছাপেন, আর সেই উপন্যাসটাকে চিত্ররুপ দিতে তিনি সময় নেন ৩২ বছর!!! অবাক হওয়ার আরো বাকি আছে... এই মুভির চিত্রনাট্য লিখছেন, ডিরেকশন দিছেন, এমনকি নেপথ্যকন্ঠও দিছেন তিনিই। রোমান হলিডে, স্পার্টাকাস, প্যাপিলনের মত বিখ্যাত মুভিগুলার লেখক যে তিনিই। তাঁকে ধরা হয় সর্বকালের সেরা স্ক্রিনরাইটার আর মোস্ট ট্যালেন্টেড ফিল্ম প্রফেশনাল হিসেবে। বসে এই একটাই মুভি ডিরেকশন দিছেন, আর ওইটাই একটা গ্রেটেস্ট মাস্টারপিস।৩২ বছর কি এমনে এমনেই বসে ছিলেন??!! মানে... ওয়ান পিস মেইড, কারিগর ইজ ডেড আরকি!!!
মুভির কাহিনী জনি নামের এক যুদ্ধাহত সৈনিককে নিয়ে। যে তাঁর দর্শনশক্তি, বাকশক্তি, শ্রবণশক্তি,হাত,পা সবই যুদ্ধে হারাইছে। সে একটা মাংসপিন্ড মাত্র, যার শুধু অনুভূতি শক্তি আছে। সে যেনো নিজের শরীরের মধ্যেই বন্দী। মুভির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে এই অবস্থায় জনি’র অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত নিয়ে তাঁর ভাবনাগুলোকে ঘিরে।এই মুভিটাকে ধরা হয় এন্টি-ওয়ার ফিল্ম হিসেবে, কিন্তু আমার মতে একে কোনো বিশেষ ক্যাটাগরিতে ফেলা যাবেনা। এতে যুদ্ধের ভয়াবহতাই যে শুধু তুলে ধরা হয়েছে তা নয়, প্রশ্নবিদ্ধ করা হইছে রাজনীতিকে, ঈশ্বরের অস্তিত্বকে।যেমন একটা দৃশ্যে বিপদাপন্ন জনি কল্পনায় সাক্ষাত করে জেসাস ক্রাইস্টের -
জনিঃ আমি একটা জীবন্ত মাংসপিন্ড মাত্র।
ঈশ্বরঃ যেহেতু তোমার বাস্তব জীবন দুঃস্বপ্নের চেয়েও কঠিন, এটা ভাবা কষ্টের যে- কেউ তোমাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারবে। তোমার দরকার একটা মিরাকেল।
তুমি এখান থেকে চলে যাওয়াটাই উচিত হবে।
জনিঃ আমি চলে যাবো, কিন্তু তার আগে বলো যে তোমার আমার এই সাক্ষাত কি সত্যি নাকি এটাও স্বপ্ন?
ঈশ্বরঃ এটা একটা স্বপ্ন।
জনিঃ তুমি কি করে জানলে?!
ঈশ্বরঃ কারণ আমিও একটা স্বপ্ন।
জনিঃ আমি তোমার কথা বিশ্বাস করিনা।
ঈশ্বরঃ কেঊই করেনা, আর তাই আমি অন্য সব স্বপ্নের মতই একটা অবাস্তব ধারণা মাত্র।
আরেকটা দৃশ্যে দেখানো হয় এক রুটি কারখানার মালিক, বড়দিনের সময় শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বারবার বলতে থাকে “I’m the boss, here is the champagne, merry Christmas.” আর মাঝখান থেকে এক কৃষাঙ্গী বৃদ্ধা তাঁর ছেলেকে খুঁজতে খুঁজতে বলে- “where is my boy? He is too young, can’t you see? He is under-age. He came from Tuscan. His name is Jesus Christ.” এই দৃশ্যে মালিক দ্বারা ঈশ্বরকে উপস্থাপন করে পরিচালক যে গভীর ভাবনার খোরাক দিছেন, তার মজাটা আমি টের পাইছিলাম এই দৃশ্যেরই শেষদিকে। ব্যাখ্যাটা এখানে দিয়া আমি অন্যেদের মজাটা নষ্ট করতে চাইনা।
আরেকটা দৃশ্য, যেটা “One” গানের বদৌলতে খুব পরিচিত, জনি ও তাঁর বাবার কথোপকথন-
জনিঃ গণতন্ত্র কি?
বাবাঃ আমি নিজেও ঠিক জানিনা... কিন্তু আমার মনে হয়, অন্য সব সরকারব্যবস্থার মত এতে এমন কিছু আছে যার জন্য যুবকরা একে অন্যেকে খুন করে।
যুদ্ধের পরিণতিকে ট্রাম্বো বস এইভাবে তুলে ধরেছেন-
Soldier 1: If I miss the train then I will miss a day to be killed on 27 of June at 4.30 am. Not too good for my kid huh…he ain’t much smart as I’m already. I wish I could see him when he was 5.
Jesus: I will see him when he is 50, & you will still be 23.
Soldier 2: What the hell!!! We all are gonna be killed, that’s why we’re here for. He(Jesus) already got his. The big sweet here(another soldier), he is gonna catch flu & die ship board, I’m gonna get buried in a trench cabin smothered to death.
আর শেষ দৃশ্যে...
থাক, আর বলতে চাইনা। কারণ আমি মুভি রিভিঊ লিখতে বসে ট্র্যাকটাই মিস করে ফেলছি। (লিখা শুরু করছিলাম মুভি রিভিউ, কিন্তু ঘরের বাইরে মাইকে প্রচন্ড জোরে “শিলা’র জওয়ানি” বাজতেছে, মুডটাই নষ্ট করে দিলো।)
টরেন্ট লিঙ্কঃ Click This Link
IMDB লিঙ্কঃ http://www.imdb.com/title/tt0067277/
ট্যাগলাইনঃ What mysterious forces worked to rip them apart?
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪০