যেভাবে বিপ্লব দানা বেধে উঠছে তাতে কিছুদিনের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের সবগুলো দেশে জনগনের ভোটের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু তারপর? যেই লাউ সেই কদুর অবস্থা হবে না তো?
সত্তুর দশকের ইসলামী বিপ্লবের পর ইরান অনেক এগিয়ে গেছে এটা সত্য কিন্তু ইরানের সাথে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যদেশগুলোর কিছু পার্থক্য রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যদেশগুলোর চেয়ে ইরানের মানুষ, ইরানের সংস্কৃতি আলাদা। এই পার্থক্য আজকের নয়...হাজার হাজার বছর আগের। মধ্যপ্রাচ্যের মানুষজন কয়েকযুগ ধরে গদি আঁকড়ে থাকা শাষকদের হটিয়ে দিতে চায়। একটা ব্যপার খুব অদ্ভুত লাগে। বিবিসি সিএনএন কিংবা আলজাজিরার মত মিডিয়াগুলো মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশের বিক্ষোভকারীদের সংবাদ কাভার করার সময় শুধু মিছিলের দৃশ্য দেখায়। বিক্ষোভকারীদের সাক্ষাতকার থাকে খুব কম। বিক্ষোভকারীরা আসলে কি বলতে চাচ্ছে তা বোঝা যায় না। সংবাদপাঠক আমাদের যা বোঝান আমরা তা-ই বুঝি। মিশরে বিক্ষোভের সময় এক বিক্ষোভকারী মহিলা সাক্ষাৎকার নিতে আসা সিএনএন এর এক রিপোর্টারকে বলছিলেন "আপনার আমাদের কথা সঠিকভাবে তুলে ধরছেন না।" বটের মত শিকড় গজিয়ে থাকা আগাছা শাষকদের হটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার জনগনের চাওয়া। সেই গণতান্ত্রিক দেশটির অবস্থা যদি বর্তমান ইরাক অথবা বর্তমান আফগানিস্তানের মত হয়, তাহলে ভাবা দরকার সেই গণতান্ত্রিক সরকারের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? ইরাক বা আফগানিস্তানে বারুদের গন্ধ ছড়িয়েছে আমেরিকা সরাসরি, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কারো ভায়া হয়ে বারুদ যাচ্ছে, সরবরাহকারী একই....আমেরিকা..! যুদ্ধের খরচ বেঁচে গেল। আগামীদিনগুলোতে কি হবে না হবে সেটা ভবিষ্যতই বলে দেবে। আমাদের প্রত্যাশা- মধ্যপ্রাচ্যে যেন একডজন হামিদ কারজাই অথবা নুরী আল মালিকির জন্ম না হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪০