চুরি চোট্টামির নাটক সিনেমা বেশ ভালো চলে দেখি। লালসার লোল ফেলতে ফেলতে জুল জুল চোখে মানুষ জন অন্যের টাকা মেরে নায়কের সফল চুরি চোট্টামির অভিযান দেখে। বেশির ভাগেরই হতাশা এমন বড় চুরির সুযোগ সে পাইলো না জীবনে। আহা! আবার বাস্তবের আওয়ামী বিএনপির সফল বহু লাকি ভাস্করদের বেগমপাড়ার ছবি দেখে গালি পারে। এখানে ভাস্কর সাহেবরা তার পিছওড়া বেতিয়ে লাল করে তার টাকা নিয়ে ভেগে গেছে। তাদের মাথার উপরে আর পায়ের নিচে একশ টাকার মেগা ব্রিজ আর পশ্চাদ দেশে একশ কোটি টাকার বিল ভরে দিয়ে স্বপ্নের নায়ক ভাস্কর সাহেবরা বাদ বাকি সব নগদ নিয়ে ভেগে গেছেন হুবুহু সিনেমার মতই। সকাল বিকাল পশুর মত খেটে এই জনগোষ্ঠী সেই পলাতক ভাস্করদের উন্নত বৈদেশি জীবনের বিল মেটাচ্ছে। আর ভাবছে আহা আমিতো মুদ্রার ঐ পিঠেও থাকতে পারতাম।

কে যেন বলেছিলে, এই দেশে গাড়ীর চাকায় রাস্তার পানি ছিটকে গায়ে লাগলে মানুষ রাগে না। তারা রাগে এই ভেবে যে -শালার আমার কেন এমন একটা গাড়ী নেই, যেটা দিয়ে আমিও আরেক জনের গায়ে এমন করে রাস্তার পানি ছিটাই যাবো।
পিছনে তাই অসম্ভব মোটা বিল গুজে দিলেও মানুষজনের বড় অংশেরই আবার তাদের পলাতক নেতা নেত্রীদের জন্যে মায়া কমে না। তারা চায় তার প্রিয় ভাই আপারা ফিরে আসুক। না আসলেও জুয়ার বোর্ড ঘুরতে থাকুক। তাহলে তারও একদিন সুযোগ আসতে পারে লাকি ভাস্কর হওয়ার। ইহাদের বিশ্বাস ধনী হওয়া মানেই হলো অন্যের সয় সম্পত্তি চুরিদারি করা। জবর দখল করা। ডেসটিনি, ইউনিপে বা ইভ্যালির এমন কোন গ্রাহক খুজে পাইনি যারা এদের বিরুদ্ধে কথা বলে। এই সব ধাপ্পা স্কিমে ধরা খাওয়া লোকজনের দাবি সরকার হাত না দিলে এই চক্রগুলো চলতে থাকতো। আর তারাও এক সময় নিজদের কাটা লেজ অন্য নতুন আনাড়ি ভাস্করের লেজ কেটে পুষিয়ে নিতো। আথচ কেউ কেউ ভাবে এই জনপদের মানুষ কত সহজ সরল। দুই দিন পর পর এমন একেকটা জোচ্চর আসে আর বহু প্রচারনার পরও তারা ধরা খায়। বাস্তবতা হলো এরা জেনে বুঝেই স্বেচ্চায় এই সব স্কিমে পা দেয়। এখানে জুয়ার এ্যাপ্সের গ্রাহক বাড়ে হুর হুর করে। এই জুয়া আসক্ত বিপুল জন গোষ্ঠী প্রিয় ভাই আপাদের শাসন জিন্দেগী ভর তোষণ করেই যাবে, এটাই স্বাভাবিক।
.
ভাস্করের মত তস্কর আপাদের জন্যে ইহাদের দিল বড়ই নরম, কিন্তু পাছা বেজায় শক্ত।
.
#Afnan_Abdullah

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



