মুক্তিযুদ্ধ গবেষকরা বলছেন, ২৫শে মার্চের পর থেকেই আসলে সারা বাংলাদেশজুড়ে বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার আর হত্যা শুরু হয়েছিল। কিন্তু নভেম্বর মাস থেকে সেই কর্মকাণ্ড আরও জোরদার করে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের সহযোগীরা। ধারণা করা হয়, তার মূল পরিকল্পনা করেছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ একজন কর্মকর্তা রাও ফরমান আলী।

ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, "দেশকে বুদ্ধিজীবীশূন্য করে দিলে বাংলাদেশ যদি কোনো দিন স্বাধীনও হয়, মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। এই চিন্তা থেকেই তারা বেছে বেছে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে শুরু করেছিল।" তিনি আরও বলেন, "সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে কিন্তু প্রথম দাঁড়িয়েছিল ছাত্র-শিক্ষকরা। সুতরাং সেই আইয়ুব খানের আমল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সামরিক শাসকদের একটা ক্ষোভ ছিল। পরবর্তীতে সেটার আরও বিস্তার হয়েছে।" (সূত্র: বি.বি.সি.)
.
এর পর রাও ফরমান আলীর উত্তরসূরীরা "আই এম জি.পি.এ ফাইভ" নামে আরও নিখুঁত প্রজেক্ট হাতে নিলো। এতে দেশে বুদ্ধিজীবী যাতে আর তৈরি না হয় তা দেখভাল করা হয়। দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক সব কাজ চলে যাবে প্রভু রাষ্ট্রের কাছে। বুদ্ধিজীবী নাই, তাই বুদ্ধিজীবী হত্যারও আর ঝুঁকি নাই। যথারীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই রুখে দিলো এই মহাযজ্ঞ। আর ইতিহাসের কি নির্মম পুনরাবৃত্তি! আইয়ুব খান আর রাও ফরমান আলীর উত্তরসূরিরাও তাই এই ২০২৪ সালে এসেও সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরই পালানোর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত খুন করে গেল। সকল লুটেরার রুপ একই থাকে। সময় আর নাম যাই হোক।
.
বিচার হোক সব খুনের।
.
#Afnan_Abdullah

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


