কুৎসিত অনুভূতির একেকটা সাদা হাড়ে রাজমিস্ত্রীর অসহায় ফেরেক গাঁথুনিতে বার বার জেগে উঠে অস্তমিত নৈঃশব্দ।দাঁড় নেই! নৌকা আছে, মাঝি নেই!! ক্রমশ নদীর ঢেউয়ে ভেসে যেতে যেতে গহীন অরণ্যের নিথরকুলে অস্তিত্ব বিলীন হয়ে আজ শিল্প কলা। দৃশ্যত সুর্যটা অদৃশ্য হওয়ার পর আমি যখন বুঝে শুনে নিশ্চিত হলাম গতকাল বিকালটা আর ফিরে আসবেনা আমার হয়ে এরপর থেকে আমার রক্ত কনিকার ছিদ্র পথে বয়ে গেল অভিশপ্ত বায়ুঝড়। অগ্নিকুন্ডের অপরিস্থিত বিস্মিত জীবনের বসে যাওয়া শব্দগুলোতে আনেক্টিভ আন্ডু, রেডুর কার্যকর কোন ক্ষমতা নেই, কোন কারেকশান নেই। টানা লাল দাগের দৃষ্টিতে পড়ে কোন এক অদৃশ্য প্রুফ রিডারের চুক্ষুভেদি শব্দ চয়নে যদি আমার আকার, ইকারগুলো ঠিক করে দেওয়া যেত, রঙ্গের ফোটায় ফোটায় অস্পষ্ট থেকে ক্রমশ অস্তিত্ব লাভে আমি আবার প্রকাশিত হতাম ধবধবে সাদা কাগজে। ছদ্মবেশী আমার মরণের মধ্য দিয়ে আবার আমি খুঁজে পেতাম আমার আমি কে।দীপশলাকাগুলো জ্বলে পুড়ে শেষ হওয়ার আগেই সৃষ্টি হত নতুন প্রজন্ম।
ঢেউয়ের সাথে ঢেউয়ের সংঘর্ষে আমার সৃষ্টি বলে আমি নিরর্থক কর্দম। এখানে কোন বেহালা নেই তাই সুর উঠে না। কোন তুলি নেই তাই ছবি হয় না। রাশি চক্রের কোন বালাই নেই। আছে শুধু জমে থাকা শেওলার রূপ কঙ্কাল। কোন এক আদমের পায়ে পদদলিত হয়ে কাদা মাটি থেকে পানির ভিতরে নাচতে নাচতে উঠে আসা ভোটকার জীবন সময় কতটুকু? আমার এর চেয়েও কম। অগনিত ভোটকার এ করুন দশা দেখে আমার নিজের প্রতি করুনা হয়। জীবন হ্রাসের গল্প আর কতটুকু। আজকাল বর্ণের চরম সংকট লেগেছে গায়ে। শব্দের গুদামে আগুনের লেলিহান শিখাগুলো জলজ্যান্ত হিংস্রের মত আকাশে উড়ে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। একেকটা যেন হাউজের ব্যাঙ। টুপ করে উঠে নামে দিশেহারা আমি। সংসার ত্যাগ করে বৈরাগী হব তাতে কি? পীড়িত জীবন সংসার আমার পিছু ছাড়েনি। ছায়ার মত লেগে আছে এপাশ ওপাশ। রোপিত বৃক্ষে পষ্পুটিত ফুলের অপেক্ষায় কত রাত ঘুম আসেনি কে জানে? অপেক্ষার শেষে আজ গাছ আছে, ফুল আছে, আমি হারিয়েছি আমাকে। তাই আমি আবার উদাসীন হলাম অনির্দিষ্ট কালের জন্য।