somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মালেক মাহমুদের পুতুল রানি

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আফসার নিজাম

অনেকে অনেক রকমের ভালোবাসা উপহার দেয়। কেউ কেউ আছেন তার হৃদয়টিকেই উপহার হিশেবে প্রদান করে বলেন, এই নেন আমার হৃদয়, আমার সন্তান, আমার বই। একজন লেখকের কাছে তার লেখা বই তার সন্তানতুল্য। অনেককে তো দেখেছি প্রিয়তমা স্ত্রী ও প্রিয় সন্তানদের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন। তেমনি এক কবিবন্ধু মালেক মাহমুদ। তিনি আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসেন। কোনো একটি বই প্রকাশ পেলেই আমাকে উপহার দেন। বলেন, আমার এই বইটি প্রকাশ পেয়েছে। দেখেন। আনন্দচিত্তে আমি গ্রহণ করি। প্রতিবারই বইটি গ্রহণ করার সময় বলি আপনার বইটি পড়ে আমার অনুভূতি প্রকাশ করবো। কিন্তু সেই অনুভূতি পাঠের সময় পর্যন্ত হৃদয়ে গুমরে মরে। মাঝে মাঝে মোবাইলে বই বিষয়ে বাতচিত হয়। কিছু কিছু সময় আস্তাড্ডা বা চাড্ডায় কথোপকথন হয়। কিন্তু লিখা হয়ে ওঠে না। আমি অনেকদিন ধরে লিখতে পারছি না। লিখতে পারছি না তেমন নয় লেখা হয়ে ওঠে না। লেখালিখিতে মনোযোগ দিতে পারছি না। কতো সুহৃদ আমাকে একটি লেখা দিতে আদার করে কিন্তু দেবো দেবো বলে আর দেয়া হয়ে ওঠে না। এবার যখন মালেক মাহমুদ আমাকে বইমেলায় প্রকাশিত ছড়ার বই পুতুল রানির ছড়া বইটি দেন তখন বাইরে ঝুমববিষ্টি। একটি রেস্টুরেন্টে আমরা জনাকয়েক কবি লেখক শিল্পী আটকে যাই। তখন কি করা গোস্তের ঝোল দিয়ে ডালপুরি খেতে খেতে আড্ডা। আড্ডা যখন ঝমপেশ আকার ধারন করেছে তখন মালেক মাহমুদ ঝোলা থেকে একটি রঙিন বই বের করেন। বইটির রঙের ছড়া আমাকে আটকে দিলে তাকে দেখতে। আমি বইটি উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখলাম। বেশ সুন্দর। বইটির আঁকিয়ে মনিরুজ্জামন পলাশও আড্ডায় উপস্থিত ছিলো। কবি ও আঁকিয়ে যখন একসাথে বইটি উপহার দিলো তখন সোনায়সোহাগায় রূপান্তরিত হলো উপহার।



বিষ্টতে আটকে পরা সবাই যখন বিভিন্ন তত্ত্ব নিয়ে মেতে উঠলো তখন আমি বইটির ছড়া ও আঁকাগুলো গোগ্রাসে গিলতে থাকলাম। যখন বইটি পাঠ ও দেখা শেষ হলো পুড়ি প্রায় শেষ করে এনেছে বন্ধুরা। মালেক মাহমুদ তখন শেষের একটি পুরি খাওয়ার অফার করলো। আমি না করতে পারলাম না। খেতে থাকলাম। খেতে খেতে বুঝলাম মনে ক্ষুধা মিটেছে কিন্তু পেটের ক্ষুধাতো মেটেনি। বইটিতে মনোযোগ দিতে গিয়ে পুড়িতে যে মনোযোগ দেয়নি তা এখন টের পেলাম। যা সবাই খাইলো একটি রেসেপি আমি খেলাম তিনটি রেসেপি।

কি ছিলো মালেক মাহমুদের পুতুল রানির ছাড়া বইয়ে। তা সবারই কৌতুহল। হ্যাঁ বইটি ছিলো ছড়ার ছড়াছড়ি।
খোকনরে তুই দেখে যা
লাল বাছুরের তিনটি পা
সকাল বেলা ঘুমিয়ে রেশ
দাঁড়িয়ে গেলো সময় শেষ

ছড়াগুলো কেমন তুলতুলে বাচ্চাদেও জন্য। মালেক মাহমুদতো বেশ বাচ্চা হতে জানে তাইনা।
পুতুল একা হাঁটে
হাঁটতে হাঁটতে যা কী পুতুল
রাজার বাড়ির ঘাটে?

বা তাকে আমরা দেখি একেবারেই ছেলে মানুষ হিশেবে
বনের ভেতর বাঘ দেখেছি
মামার সাথে কালকে
বাঘের ভয়ে আমার মামা
ধরে গাছের ডালকে।

হে হে হে মামাকে কেমন যব্ধ করেছে। তাই না! এমনি মজার মজার বিষয়। জনার বিষয় নিয়ে লেখা বইটি। বইটি বাচ্চাদের। সাথে আমার মতো বাচ্চার বাপদেরও বটে। কথাটি সেই রকম বাচ্চা পড়েন বাচ্চার বাবা পড়েন বাচ্চার দাদা পড়েন। আসেন পড়–য়া কারা! বইটি পড়ে যায়। সাথে ফাও দেখেও জান। কারণ বইটির আঁকিয়ে বেশ উজ্জ্বল রঙ দিয়ে ছবি লিখেছে। কবি যেমন বর্ণ দিয়ে লিখে শিল্পী তেমন ছবি দিয়ে লিখেছে। আমরা তো প্রথমে ছবি দিয়েই লেখা শুরু করি। বর্ণগুলোতো এক একটি ছবি। আহা কি সুন্দও রঙিন রঙিন বর্ণ আমার বেশ ভালো লেগেছে।

বইটি প্রকাশ করেছে আদিগন্ত প্রকাশন। প্রকাশিত হয়েছে দুই হাজার চৌদ্দ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে। মানে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। বইটিকে উৎসর্গ করা হয়েছে আঁকিয়ে মনিরুজ্জামন পলাশকে। চব্বিশ পৃষ্ঠার বইটিতে ছড়া আছে চল্লিশটি।

পড়বে নাকি পড়বে
মালেক ভাইয়ে
পুতুল রানির
ছড়াগুলো পড়বে।
দেখবে নাকি দেখবে
পলাশ ভাইয়ের
রঙিন ছবি
হৃদয় দিয়ে দেখবে।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×