প্রতিবেদন তৈরী করেছেন-
অপূর্ব লাল সরকার
০১৭১২৬৪৯২৬৯
হারিয়ে যাচ্ছে আগৈলঝাড়া উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার উৎপাদিত ঐতিহ্যবাহী হস্ত শিল্প মাটির তৈরী নানান রকম নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং বাঁশ-বেত দ্বারা তৈরী ফুলের ডালা, তরকারীর ঢাকনী, চালুনী, মোড়া, বুক সেলফ, আরাম কেদারা সহ অন্যান্য তৈজসপত্র। নির্মাণ শ্রম এবং উপকরনের অত্যাধিক মূল্য কিন্তু তদানুযায়ী বিক্রয় মূল্য না পাওয়ায় এসব হস্তশিল্প কারিগররা এখন চরম হতাশায় ভূগছে। পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের চেষ্ঠা চালাচ্ছে। এভাবেই হারিয়ে যাচ্ছে আগৈলঝাড়ার এক কালের নামকরা গ্রামীণ তাঁতের বস্ত্র সামগ্রী। বাজারে এর চাহিদা থাকলেও আনুপাতিক মূল্য না পাওয়ায় তাঁত শিল্প এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আর এরই পাশাপাশি উপজেলার উত্তর শিহিপাশা এবং বিলগ্রামের মৃৎশিল্প, নাঘার, মোল্লাপাড়া, অশোকসেন, পশ্চিম সুজনকাঠী গ্রামের বাঁশের বেতের তৈরী তৈজসপত্র বিলুপ্ত হতে চলেছে। এসব কারিগরদের কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, বংশানুক্রমে কিংবা হাতে-কলমে শিখে মৃৎশিল্পী ও বাঁশ-বেত সামগ্রী তৈরী করতে শেখা শতাধিক পরিবার এখন প্রায় বেকার দিনযাপন করছে। বাঁশ-বেত শিল্পীদের তৈরী জিনিষ পত্র এখন শুধু বিভিন্ন গ্রামীণ মেলা উৎসবে দেখা যায়। প্রকৃত মূল্য না পেয়ে শুধু মাত্র নাম মূল্যে এসব তৈজসপত্র বিক্রি করেও এক শ্রেনীর মেলা পরিচালনাকারীদের দফায় দফায় চাঁদা দিতে হয়। তাছাড়াও রয়েছে নান রকম হয়রানী। আর একারণেই এসব শিল্প বিলুপ্তর পথে। মৃৎশিল্পীদের বিভিন্ন হিন্দু ধর্মীয় পূজা পার্বনে মূর্তি সহ কিছু আনুসঙ্গিক মৃৎ সামগ্রীর চাহিদা রয়েছে। সেটাও সারা বছর ধরে না। মৌসুম ভিক্তিক কাজ ছাড়া তারা মিষ্টিজাত দ্রব্য যেমন বিশেষ করে দই এর হাড়ি তৈরী করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। তাও সবাই এ কাজ পায় না।
তাই এক সময় অশোকসেন, ভদ্রপাড়া, মোল্লাপাড়া, ছয়গ্রাম, আস্কর, বাকাল, আহুতি বাটরা ও শিহিপামার কারিগর স¤প্রদায়ের তাঁত শিল্পের মত এসব হস্ত শিল্পও মুখ থুবরে পরবে। এসব শিল্প বাঁচিয়ে রাখার মতো কোন প্রতিষ্ঠানই সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসছে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




