ভাগ্য ভাল যে মা মাইনষের বাড়িতে কাম করে। নয়তো আমগোর আইজক্যা না খাইয়্যা থাকুন লাকতো। মাইনষে কই আইজক্যা নাকি হরতাল... তাই বাপজান, রিকশা নিয়া অহন পর্যন্ত বাইর হই নাই। আমার মা সকালেই কামে গেসে... কইসে ছোডো বইনডারে দেখবার আর বাইরে না যাইবার... দুপুরে মা ভাত লইয়া আইবো। হরতাল জিনিসটা আমার কাছে মজাই লাগতেসে... বাপজান আইজ বাড়ি থাকবো, আমগোর সাথে খেলবো...... কিন্তু দুপুর পার হইয়া যাইতেসে মা এহনো আই নাই... ছোট বোইনডার ক্ষিধা লাগসে... কানতাসে... আমারো ক্ষিধা লাগসে। শুধু বাপজানের ক্ষিধা লাগে নাই, বাপজানের নাকি কুনু সময়ই ক্ষিধা লাগে না.... মা , বিকালে আইলো... তাও দুগা ভাত নিয়া... আমি আর বোইনে মিলা লবন -মরিচ দিয়া ভাত খাইলাম... কিন্তু মা খাইলো না , কইল ক্ষিধা লাগে নাই। আর বাপজানের তো ক্ষিধাই লাগে না... মা ,বাপজানরে কইলো শুনলাম... ঘোরে তো চাল নাই... রাইতে খামু কি... ও আমার আল্লাহ... বাপজান তো বিকালেও আইজ্কা রিকশা চালাইবার পাবো না... তাইলে বাপজান টাকা পাইবো কই...? আর টাকা না থাকলে চাল কিনবো কি দিয়া ...? আমি আর বোইনে খামু কি..... বাপজানের তো ক্ষিধাই লাগে না.... আর মা কি রাইতেও না খাইয়া থাকব.......?????
না ...... হরতাল ভালা না.... হরতাল মজার কিসু না.... হরতাল মানে না খাইয়া থাকা......... আইছ্যা কাইলকাও যদি হরতাল থাকে ... তাইলে আমার বাপজানের কি কাইলকাও ক্ষিদা লাগবনা ?? বোইন কি কাইলকাও কানবো ??? আমার মা কি না খাইয়া থাকবো ???????