somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সিনেমা – তবুও ভালোবাসিঃ বেকার যুবক এবং অন্যান্যদের রিভিউ’র এন্টি-রিভিউ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইহা গুরুচন্ডালে লিখিত নয়, তবে সাধু-চলিত'র কিছুটা মিশ্রণ থাকিতে পারে। অনেক আগেই লিখতে চেয়েছিলাম, সময় পাওয়া যায় নাই, দেরি হইয়া গিয়াছে। যাহার ইচ্ছা পড়িয়া দেখিতে পারেন।


বেকার যুবকের রিভিউ (সাধু রীতিচলিত রীতি )
এন্টি-রিভিউঃ
- ঔষধের দোকান হইতে বাহির হইবার জন্য নায়ককে সাটার কাটিতে হইলো কারণ সে যদি সাটার না কাটিয়া চাবি দিয়া তালা খুলিতে যাইতো, কিংবা নিচ হইতে টানিয়া সাটার খুলিতো, তবে লালের সামনে তাহার নায়কগিরি ছুটিয়া যাইতো। লাল তাহাকে এক লাত্থি সদৃশ কিক করিয়া গোরস্থানে পাঠাইয়া দিতো। রণাংগণে এইরুপ শক্তি প্রদর্শনের প্রয়োজন রহিয়াছে।
- মা ছেলেকে এইভাবে জড়াইয়া ধরিয়া প্রমাণ করিলেন, ছেলের প্রতি তাহার ভালোবাসার মাত্রা কতোটা গভীর। ওহে বৎস, সপ্তাহ কি দশদিন, মোটেই কম সময় নহে। কোন কোন মায়ের ছেলের প্রতি ভালোবাসা এবং তাহার প্রকাশ একটু বেশিই হইয়া থাকে।
- ট্রাকটি পাশের রাস্তা হইতে আসিয়াছে, পিছন থেকেও নয়, সামনে থেকেও নয়। এই দৃশ্য দেখাইবার সময় তুমি সম্ভবত অন্যমনস্ক ছিলে। অতএব ট্রাকটি অকাজের নহে, বরং খুবই কার্যকর প্রমাণিত হইয়াছে।
- নায়িকার ঠ্যাংএর বাড়িটা আসলেই অনাবশ্যক ছিলো। অভিনব মাইরপিট দেখাইতে যাইয়া গোলাইয়া ফেলা হইয়াছে। নায়িকার ঠ্যাং ভাংগিয়া যাওয়াটাও বিচিত্র ছিলো না।
- তুমি হয়তো সিনেমার প্রথম হইতে অবলোকন করো নাই, নাহইলে দেখিতে পাইতে, সিনেমার প্রারম্ভেই নায়ক লালের ভাইকে বেদম প্রহার করিয়া রাস্তায় ফেলিয়া রাখিয়াছিলো। নায়ক ঢাকায় চাকুরী করে, সেই সুবাদেই সাদার সাথে তাহার সংঘর্ষের সুযোগ হইয়াছিলো।
- নাহ সিনেমায় ভালোবাসা যথেষ্ঠ দেখানো হইয়াছে, তবে ‘তবুও ভালোবাসি’ নামকরণের আসলেই কোন কারণ খুঁজিয়া পাওয়া যাইনাই।
- মাইরপিটও অতিরিক্ত হয় নাই। ভারসাম্য রক্ষিত হইয়াছে।
- নাহ পুরো সিনেমা দেখিলে, কিংবা দ্বিতীয়বার দেখিলে ভুয়া বলিবার কারণ নাই।
তোমাকে বলিতেছি, রিভিউ লিখিতে ইচ্ছা করিলে পুরো সিনেমা কমপক্ষে দুই থেকে তিনবার দেখিয়া লইবে। তাহইলে অনেক অসংগতির সংগতি খুঁজিয়া পাইবে। একবার দেখিয়া লিখিতে পারো, তবে প্রকাশ করিবে না, চূড়ান্ত করিয়া প্রকাশ করিবে। সিনেমার প্রতি আগ্রহী লোকের সংখ্যা কম নয় তাই লোকে তোমার লেখা পড়িবে, আগ্রহ নিয়াই হয়তো পড়িবে, কাজেই গুছিয়ে লিখিতে পারিলে ভালো হয়।
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা একেবারে খারাপ হয় নাই। এই ধারা হইতে ধীরে ধীরে উন্নতি করিতে চেষ্টা করিলে, ভবিষ্যত একেবারে খারাপ হইবে না।


তাসলিম রেজাঃ বাংলা মুভি ডাটাবেজতবুও ভালোবাসি: দেখার পর তৃপ্তি নিয়ে ফেরা যায়
এন্টি-রিভিউঃ
- ঔষধের দোকান থেকে বেরোনোর জন্য নায়ককে সাটার কাটতে হল, কারণ সে যদি সাটার না কেটে চাবি দিয়ে তালা খুলতে যেত, কিংবা নিচ থেকে টান দিয়ে খুলত, তবে লালের সামনে তার নায়কগিরি প্রশ্নের সম্মুক্ষীন হত। লাল তাকে এক লাত্থি সদৃশ কিক করে গোরস্থানে পাঠিয়ে দিত। রণাংগণে এমন শক্তি প্রদর্শনের প্রয়োজন আছে।
- ট্রাকটা পাশের রাস্তা থেকে এসেছে, আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
- হ্যাঁ বিস্ফোরণের কোরিওগ্রাফি আরেকটু ভালো হওয়ার দরকার ছিল। সিনেমাটিক করার জন্যই এই বিস্ফোরণ। তবে ভিলেনরা ট্রাক সম্ভবত ব্যবহার করেনি, তাই তাদের ট্রাক ধ্বংস হওয়ার প্রশ্ন আসে না। তাদের ছিলো কয়েকটা মাইক্রো, আর মটরসাইকেল।
- গতি জড়তার কারণে ভ্যানটা ঠিকই সামনে যাচ্ছিল, কিন্তু আপনি হয়তো খেয়াল করেননি গাছের গুড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুসারে ভ্যানটা পিছনের দিকে চলতে থাকে। পাথরের টুকরার সাথে বেকায়দায় ভ্যানটা আটকে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
- ওরা অনেক দড়ি নিয়ে এসেছিল, এক টুকরা দড়ি গাড়ির চাকার কাছে পড়ে ছিলো, খেয়াল করেন নি বোধহয়।
- এতে আয়োজন করে না মারার চেষ্টা করলে, এটা সিনেমাটিক হতো না, শুধু একটা গুলি করে দিলে তো ভীষণ রকম কমন হয়ে যেত।
- লাল ভীষণ দুষ্ট। শিশু থেকে বৃদ্ধ কোন কিছুই তার হাত থেকে রেহাই পায় না। অতএব তাদের মৃত্যু না ঘটালে চলত না।
- নায়ককে তো হাসপাতালে নেয়া হবেই, কিন্তু মায়ের হৃদয়ানুভূতি প্রকাশ করার প্রয়োজন ছিলো। অবশ্য আরেকটু স্পষ্ট বক্তব্য থাকলে ভালো হত।
সেলিম রেজা আপনার লেখায় যেটুকু অসংগতি মনে হয়েছে, তাই এখানে আলোকপাত করলাম। ধরে নিতে হবে আপনার লেখার বাকি অংশ সংগতিপূর্ণ হয়েছে, অথবা সেব্যপারে আমার কোন মন্তব্য নেই। ধন্যবাদ।

দেওয়ানা মাহবুবুলঃ বাংলা মুভি ডাটাবেজতবুও ভালবাসিঃ এক রঙ্গিলা ফানুস
এন্টি-রিভিউঃ
রিভিউ ভালো হয়েছে। তবে একটু সংশোধণীঃ নায়কের মা লায়লা চৌধুরী, নীলা চৌধুরী নয়। ভিলেন মারহাবা গাজী, কাজী নয়। সিনেমার নাম তবুও ভালোবাসি, তবুও ভালবাসি নয়। সম্ভবত একবার দেখেছেন, তাই নামগুলো ঠিকমতো ধরতে পারেননি। তারপরেও রিভিউ ভালো হয়েছে।

মুত্তাকিন নয়নঃ বাংলা মুভি ডাটাবেজবাপ্পী ও মাহির “তবুও ভালবাসি”
এন্টি-রিভিউঃ
ভাই সিনেমার নাম তবুও ভালোবাসি, তবুও ভালবাসি না। আর শরীরের ভাঁজ আর ফিগারের দিকে বেশি নজর দিয়েননা গো, নজর নিয়ন্ত্রণ করেন। পোড়ামনে পাত্র-পাত্রী দুজনের অভিনয়ই ভালো লেগেছে, শরীর সর্বস্ব আবার কি জিনিস? যাক লেখার বাদবাকি অংশ ভালো লেগেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৯
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×