somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আহমদ হাসান
জন্ম: ১০ ই শ্রাবন (২৭ জুলাই), ১৯৮৩ । B. A. & M. A ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। কাজের মধ্যে একটাই ভাল পারি- পড়া। যেকোনো সূখপাঠ্য বই। জীবন দর্শন: সত্য সন্ধান। I AM A TRUTH-SEEKER. খুঁজতেছি। পেলে জানাবো।

তাওইজম/ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড/ফেসবুক

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার Senior friend এবং Mentor- Mohiuddin Ahmed,
Facebook কে গুডবাই জানিয়েছেন মাস খানেক আগে।

কাছের বন্ধু মানোয়ার হোসেন গতকাল ঘোষনা দিয়েছে-
কস্যিনকালেও ফেসবুক জাতীয় মাধ্যম ব্যাবহার করবেনা।
নিজের প্রাইভেসীর নিয়ন্ত্রণ অন্যের হাতে দেয়ার মানে হয়না।
(আসলে এমনিতেও সে এগুলো ব্যাবহার করতোনা,
২ মাস ৪মাস পরে একদিন ঢুকতো আরকি)

আমার টিচার এবং মেন্টর Mahdee Khan , তারও সিদ্ধান্ত এরকম। সে মনে করে Facebook এর use হচ্ছেনা Abuse হচ্ছে। এই কারণে সে নামকাওয়াস্তে চালায়। (মাসে কি ২ মাসে ১ বার)

আমি ২৫ দিন পরে আজ আইডিতে ঢুকলাম।
ঢুকে এসব কথা মনে হল।
ভাবছি ২৫ দিন ফেসবুকে না থেকে কিকি ক্ষতি/উপকার হল?
ভেবে কূল পাচ্ছিনা।

একটা ব্যাপার স্পষ্ট বুঝতে পারছি:
Virtual Media (কম্পিউটার, মোবাইল, ইন্টারনেট) ভয়াবহ একটা শক্তি।
এই মিডিয়ামগুলির সংস্পর্শে থাকলে নিজের কাছাকাছি থাকা যায়না।
এদের থেকে বিচ্ছিন্ন হবার পরক্ষণে একটা ফাঁকা ফাঁকা অনুভূতি হয়।
সেই অনুভূতির তাড়নায় আবার এসব যন্ত্রের সাথে সংযুক্ত হতে হয়।
আশ্চর্যের বিষয় আমি খোয়াল করেছি সংযুক্ত থাকা অবস্থায়ও একটা শুন্যতা বোধ হয় !!
এর কারণ কি ??

Taoism বিষয়ে গবেষণা করছি ২ মাস যাবত।
বেশ কয়েকটা বই এ বিষয়ে পড়ার পরে মনে হল বই যথেষ্ট নয়।
বই পড়ে তাওইজম বোঝা মুশকিল।
তাওইজম বুঝতে হলে “তাও” (পথ/ওয়ে) এর কাছে যেতে হবে।
অনেক ভেবেচিন্তে মেডিটেশন শিখে ফেললাম।
একেবারে Graduation course করে Graduate হয়ে গেলাম।
তারপর দেখলাম হচ্ছেনা। আই নিড মোর...

পাহাড়ে গেলাম। সোজা বান্দরবন।
তাওইজম বলে প্রকৃতির সাথে একাত্ব হতে, হলাম তাই।
পাহাড়ি ঝরনার কাছাকাছি গিয়ে সবাই গেল ভড়কে।
কি ভয়ংকর শব্দ, আর হিম শিতল পানি।
২০ জন পুরুষ মানুষ হাটু জলে এগুচ্ছি ঝড়নার নিচে যাব বলে।
দুইপাশের ১৫০ ফুট (আনুমানিক) উঁচু পাহাড়ি দেয়াল।
মাঝখানে মাত্র ৩ফুট চওড়া স্পেস ধরে আমরা পানি ঠেলে হাটছি।
হঠাৎ পাহাড়ি একটা সাপ আমাদের পায়ের পাশ দিয়ে সাতড়ে গেল।
একজন মাগোরে...বলে চিল্লায়া উঠল।
এবার আর কেউ সামনে যাচ্ছেনা।
কারণ সামনে অন্ধকার তার উপরে পানি গলা সমান।
ঠাই পাওয়া যাচ্ছেনা।
সবাই ফিরে যাবার চিন্তা করছে। সাতার জানেনা এরকম দু একজন ব্যাক করল।

কি জানি জানি না, আমার মনে হল ভয়ের কি আছে?
আমি এগিয়ে গেলাম। গভীরতা বেশী দেখে সাতার দিলাম....
ছোট একটা কুয়োর মত। বেশ গভীর । ডুব দিয়ে হাত জাগালাম না পায়ে মাটি পাচ্ছিনা।
বললাম যারা সাতার জানেনা তারা আইসেননা। ডুবে যাবেন।
আমি সাতরে ঝরনার কাছে পেীছে গেলাম।
দুই পাহাড়ের দেয়ালে আড়াআড়ি দুই পাযে ভর রেখে ঝড়নার নিচে মাথা ভেজালাম।

সাহস পেয়ে অনেকেই এবার আসল ....
কারণ প্রবাদ আছে ঐ ঝরনার নিচে মাথা দিয়ে মনে কোনো ইচ্ছা পোষন করলে তা পুরণ হয়।
এ বিষয়ে আমি সন্দিহান, তবু কি যেন ইচ্ছা করেছিলাম....
সাহস পেয়ে একে এক অনেকেই ইচ্ছা পূরনে আসল।

পাহাড় থেকে ফিরে আসার ২ দিনের মাথায় একটা শুন্যতা ফিল করলাম।
আবার যেতে চাইলাম। অতি পাগলামি হবে ভেবে ক্ষান্ত হলাম।
ক্ষান্ত হলেও শুন্যতা থেকে গেল।
কোথায় যেন একটা ফাঁকা বোধ হচ্ছে।
তাহলে কি আমি “আমার” কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম ?

তাওইজম বলে ‘এক’ এ (oneness) বিশ্বাষ করতে।
যাবতীয় সৃষ্টি একক ক্ষমতার আওতাভুক্ত।
আমি সেই বিশাল ক্ষমতার তুচ্ছাতিতুচ্ছ অংশ।

300 ফিট পাহাড়ের চুড়ায় উঠে ৩০ মিনিট মেডিটেশন করলাম।
কাছেই নিলগিরী দেখা যাচ্ছে। নিচে অসংখ টিলা।
শুনশান নিরাবতা। মাথার উপরে সূর্য।
এমন surrounding এ চোখ বন্ধ করার পরে যেটা দেখলাম সেটা একটা বড় শুন্য।
High angel থেকে সেই শুন্যটা আমি অবলোকন করলাম।
Zoom in করে Close এ যাবার পরে দেখলাম সেখানে ক্ষুদ্র একটা মাটির ঢেলার উপরে আমি বসে আছি।
শুন্যটা ঘুরছে, ধীরলয়ে। বেশ ধীরে।
Zoom out করে চলে আসলাম ।
এবার আবিস্কার করলাম আমি নিজে এক বিশাল শুন্যের পেটে।
সে এক বিশাল শুন্য। বিশাল...মহাশুন্য।
সেই শুন্যের গর্ভে অসংখ্য ছোটবড় শুন্য। টিকটিকির ডিমের মত।

চোখ মেলার পরে মনে আসল- এই শুন্য আবিস্কার করেছে উপমহাদেশ, ভারতবর্ষ।
সেই শুন্য চুরি করে নিয়েছে আরবরা।
আরবদের কাছ থেকে ছিনতাই করেছে ইউরোপ।
শুন্য যাদের হাতে জ্ঞাণ তাদের করতলে।
তবে জ্ঞানই একমাত্র বস্তু যা ছিনতাই করা যায়না।
কেউ চেষ্টা করলেও কেবল তার ছায়া নিতে পারে ।

ফিলোসোফার ইমাম গাজ্জালির যাবতীয় খাতাপত্র ডাকাতরা নিয়ে যাচ্ছে।
গাজ্জালী অনুরোধ করলেন-“ভাই ওগুলো তোমাদের কাজে লাগবেনা।
আমায় ফেরত দাও। আমার সারা জীবনের সন্চয়িত জ্ঞান ওতে লেখা আছে।”
ডাকাত সর্দার অবাক হয়ে বলল- যে জ্ঞাণ চোরে চুরি করে নিয়ে যেতে পারে এমন জ্ঞান দিয়ে তুমি কি করবে ?
গাজ্জালীর আক্কেল হল। তাইতো !!

আমরা কি বেআক্কেল ?

শুরু করলাম কে কে ফেসবুক বন্ধ করেছে তা দিয়েে।
এসে পৌছলাম আক্কেল বেআক্কেলে।
অর্থ কি দাঁড়াল?
দাড়াল যে আমি উদভ্রান্ত...
কেন?
ব্রেইন ওয়েভ স্বাভাবিক না তাই ।
গামা লেভেল।

আমি লক্ষ্ করেছি virtual world এর সাথে সংযুক্ত থাকাকালীন সময় ব্রেইন ওয়েভ বেড়ে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন কী পোড়ানো যায়!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেঞ্চুরী’তম

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


লাকী দার ৫০তম জন্মদিনের লাল গোপালের শুভেচ্ছা

দক্ষিণা জানালাটা খুলে গেছে আজ
৫০তম বছর উকি ঝুকি, যাকে বলে
হাফ সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি;
রোজ বট ছায়া তলে বসে থাকতাম
আর ভিন্ন বাতাসের গন্ধ
নাকের এক স্বাদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×