বাজারে ফলের দোকানে গেলেই চোখে পড়বে থরে থরে সাজানো নানা বর্ণের নানা স্বাদের বাহারী সব ফল। দেখলেই খেতে ইচ্ছে করবে যে কারো। বিভিন্ন ফল রঙ্গে ও যেমন বিভিন্ন তেমনি স্বাদেও রয়েছে বৈচিত্র। আমারা ফল খাই একেক জন একেক কারণে। তবে আমরা সবাই জানি ফলের ভিতর রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান। বালা চলে ভিটামিনের প্রধান উৎস এই ফল। ফলের উপকারিতার কথা কে বা না জানে? কথায় বলে-
ফল ফলাদীর গুনের কথা আমারা সবাই জানি
ফল খেতে যে কত্ত মজা খাওয়ার পরই মানি।
এক সময় দাদা-দাদীর কাছে শুনেছি তারা গাছ পাঁকা ফল খেতেন। কিন্ত এ যুগে এসে তা এখন অনেক কঠিন। বিশেষ করে যারা শহরে আছেন তাদের জন্য। তাহলে কি আমরা কাঁচা কাঁচাই সব ফল খাচ্ছি? তাও নয়। পাঁকা ফলই খাচ্ছি তবে তা রাসায়নিক ভাবে পাঁকানো হচ্ছে। যেমন, কলা পাঁকানো হচ্ছে ইথিলিন দিয়ে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
একইভাবে আম পাঁকানো হচ্ছে ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে। আবার আমের রঙ সুন্দর করার জন্য ব্যহার করা হয় প্রিজারভেটিভ। আপেল, কমলা, নাশপাতি, আঙ্গুর, মাল্টা ইত্যাদিও এই তালিকা থেকে বাদ পরেনি। এসব ফলে যে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে তা স্বাস্থের জন্য খুবই ক্ষতিকর। নিদ্রাহীনতা, দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ,ফুসফুস কান্সার সহ আরো কয়েক রকমে ক্যন্সারের জন্য এরা দায়ী। একটা ফলে শুধু একটি কেমিক্যাল ব্যবহার হচ্ছে না, অনেক সময় কয়েকটি হচ্ছে।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে আমরা তো হরহামেশা এসব ফল খাচ্ছি তেমন কোন ক্ষতি হচ্ছে বলে তো মনে হয় না? এরা কাজ করে স্লো পয়জন হিসেবে। একদিন দুদিনে হয়তো কিছুই হবে না। তবে এক সময় বিরাট আকার ধারণ করবে।
আমরা এই বিষয় গুলো কম বেশি সকলেই জানি তার পরও আমরা খেয়ে চলেছি এসব পয়জনাস ফল।
আমার ছোট্ট মাথায় একটা বিষয় গুতো- গুতি করছে। তা আপনাদের সাথে শেয়র না করে পারছি না। আমরা ভিটামিন গ্রহণ করি তা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃ্দ্ধি করে বলে। অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধে চাই ভিটামিন। রোগ প্রতিরোধ করার জন্য ভিটামিন গ্রহণ করতে গিয়ে যদি সরাসরি রোগের এজেন্ট গ্রহণ করি তাহলে বিষয় টা কোথায় গিয়ে দাড়ায়? এর জন্য কারা দায়ী? যে সাইন্টিস্ট আবিষ্কার করেছেন? যারা এসব ফলে মেশাচ্ছে তারা? আমাদের প্রশাসন যার এর বিরুদ্ধে কোন ভূমিকাই নেই? নাকি আমরা যারা সব কিছু জেনে শুনে এই সকল পয়জনাস ফল খেয়ে চলেছি?
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




