আমি জুমার নামাজ সাধারনত নিজের এলাকার জুমা মসজিদে পরার চেষ্টা করি। তবে আজ একটা দাওয়াতে পাশের এলাকায় এলাম নামাজ পড়তে।
জুমার খুতবা চলছে। দোতলা মসজিদ কানায় পূ্র্ণ। প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে অনেক মুসল্লি বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। ইমাম সাহেব বয়ান করে চলছেন।
বোঝার চেষ্টা করছি ইমাম সাহেব কি বিষয়ে বলছেন, আর কি বলছেন। তবে ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। তাই আশে পাশে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছি অন্যদের কি অবস্থা। অন্যদের অবস্থা দেখে ত আমি রীতিমত ভড়কে গেলাম। মসজিদের ভেতর ৬০% মুসল্লী নিজেদের মধ্যে কথা বলায় ব্যাস্ত। ২০% অন্যমনষ্ক ভাবে বসে আছেন। ১০% খুতবা শুনতে শুনতে ঝিমুচ্ছেন। আর বাকিরা ইমাম সাহেবের খুতবা শুনছেন। জুমার নামাজ মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহি হজ্জ। আর জুমা মসজিদের ইমাম এলাকার মুসল্লীদের নেতৃত্ব দেবেন। সমাজের নানা অসংগতি তুলে ধরে তার সমাধান দিবেন। কিন্তু এই যদি হয় অবস্থা তাহলে এর থেকে মানুষ কি শিখবে? জুমার নামজের যে গুরুত্ব ও ভাব মর্যাদা তার কি হবে?
আমার মনে হয় এর পিছনে কিভহু কারণ থাকতে পারে। ইমাম সাহেব অনেক পুরনো বিষয় নিয়ে বয়ান করছিলেন জা বর্তমান সমাজের মানুষের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারছিলনা। আর তিনি বয়ান করছিলেন একটানা মন্ত্র পড়ার মত। দায়সারা ভাবে করতে হবে তাই করে জাচ্ছি গোছের। আর না হয় আমরা ্যারা মুসল্লী তাদের অনুভূতিগুলো মরে গেছে। আমি সকল মসজিদে এমন হয় তা কিন্তু বলছি না। কিংবা ইমাম সাহেবদের সমালচনার জন্যেও নয়। ্যেমন্তি দেখেছি সেটা বলার চেষ্টা করলাম।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




