তো আবার সেই গোবর্ধন।
পড়ালেখার দরুন ব্যাস্ত হইয়া পড়ায়,বাইরে বের হওয়া আমার
জন্য ছগীরা গুনাহ হইয়া দাড়াইলো।তাই গোবর্ধনের সহিত
অনেকদিন কোনো দেখা সাক্ষাৎ হইলো না।
তবে যেদিন হইলো,সেইটা মোটামুটি আমার হাড়
কাপিয়ে দিলো।
সেদিন ছিলো পরীক্ষার শেষ দিন।পরীক্ষার কক্ষ
থেকে বের হইয়া পকেট থেকে মোবাইল খানা উদঘাটন
করিয়া ফেবু গুতানো শুরু করিয়া দিলাম।কিছু দুর যাওয়ার পর
দেখি,একটা ইম্পোর্টেড বাদরের
পশ্চাতদেশটাকে ফুটবল কল্পনা করিয়া কিছু যুবক
রোনাল্দো/মেসি হইবার অপচেষ্টা করিয়া যাইতেছে।
আর পাশে দাড়ানো দুষ্ট বালকেরা বিনা টিকিতে সার্কাস
দেখিবার সুযোগ পাইয়া হাততালি দিতেছিলো।ঘটনার সারমর্ম
বুঝিতে মোবাইল খানা রাখিয়া দিয়া অগ্রসর হইলাম।কল্পিত
ফুটবলটার গায়ে সেই পরিচিত গরুর কল্লা খচিত
গেন্জি খানা দেখিয়া আমার সন্দেহের লেশমাত্র
টিকিতে পারিলো না,যে এইটা আর কেহ নহে,আমার
দোস্ত গোবর্ধন।
অবস্থা বেগতিক দেখিয়া তাহাকে বন্ধু
বলিয়া দাবী করিতে যথেষ্ঠ ভীতি পাইলাম।তৎক্ষনাত আমার
মাথায় একটা বুদ্ধি আসিলো
আমি ভীড়ের মধ্যে ঢুকিয়া নিজেজেকে তাহাদেরই
একজন বলিয়া,গোবর্ধনের
পশ্চাতদেশে সজোরে দুখানা লাথি মারিলাম,অতপর
তাহাদেরকে বলিলাম
ভাই অনেক মারছি হালারে,এখন ছাইড়া দ্যান।মরা মাইরা খুনের দায়
দিয়া লাভ আছে কন…
যুবক গণের মধ্যে থেকে তাদের স্বঘোষিত
দলপতি আমার কথায় সায় দিয়ে প্রস্থান করিলো।
অতপর আমি গোবর্ধন
কে মাটি থেকে উঠাইয়া,সাথে করিয়া হাটিতে লাগিলাম।তাহার
অবস্থা বেগতিক দেখিয়া আমি তাহাকে নিকটঃস্থ চায়ের
দোকানে বসাইয়া পানি খাওয়াইলাম।তারপর তাহার
কাছে ঘটনা জানিতে চাহিলাম।
সে কাদো কাদো স্বরে বলিলো,
দোস্ত,আমার ক্যামেরাডা হারাইয়া গেছে।
আমি বলিলাম,ক্যামনে?
সে বলিলো
কেউ আমার ক্যামেরাডা চুরি করছে।
আমি বলিলাম,যাই হোক,চুরি করছে।তার সাথে আজকের
ঘটনা সম্পর্ক কী?
সে কাদার মাত্রা আরো পৌনে ৩ গুণ
বাড়াইয়া বলিতে লাগিলো।
ঐটাই তো সমস্যা।আমি জরিনা থুক্কু জেরিনকে যহন ফোন
দিয়া কইলাম,জান,আমার ক্যামেরাডা চুরি হইয়া গেছে।তহন
সে কইলো,আপনি কে ভাইজান?আমার নম্বর পাইলেন
কোথা দিয়া?এইডা কইয়াই ফোনডা কাইট্টা দিলো।
আমি বলিলাম,তারপর।
সে বলিলো
আজকে সক্কাল বেলা জরিনার বাসার দিকে যাইতেছিলাম,তহন
দেহি জরিনা আরেকটা পোলার বাইকের পিছে বইয়া আছে।
আমি জরিনা রে ডাক দিলাম,হুনলো না।পরে যহন বাইকের
গায়ে ইট মারলাম,তহন অই পোলাগুলান
আইয়া আমারে মারতে শুরু করিলো।
ঘটনার সারমর্ম বুঝিতে পারিয়া আমি চুপ রইলাম না,তৎক্ষনাত
চায়ের দোকানদারকে চায়ে চিনি কম
দিতে বলিয়া,মনে মনে বলিতে লাগিলাম…
RIP DSLR,RIP গোবর্ধন