somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফেলিক্স থেকে চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ প্রধানমন্ত্রীর যত অর্জন

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ অর্জন নিঃসন্দেহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতার একটি অংশ। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার প্রাপ্তি জাতিকে গর্বিত করে। তিনি যে একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেত্রী তার প্রমাণ তিনি রেখেছেন সেই ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। তাঁর পরিকল্পনা এবং দৃঢ় নেতৃত্বের স্বীকৃতি পেয়েছেন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে। ১৯৯৮ সাল থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া অর্জনগুলোর একটি খণ্ডচিত্র।

১৯৯৮
শান্তিবাদী উন্নয়নমূলক কাজে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেস্কো প্রদত্ত ফেলিক্স শান্তি পুরস্কার অর্জন। একই বছরে নিখিল ভারত শান্তি পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত মাদার তেরেসা পুরস্কার এবং নরওয়ের এম কে গান্ধী ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রদত্ত এস কে গান্ধী পুরস্কার পান।

১৯৯৯
ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক কর্মসূচি সম্মানজনক সেরেস পদক অর্জন।

২০০৯
ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার অর্জন।

২০১০
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এশিয়ান-ওশেনিয়া কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন প্রদত্ত আইটি পুরস্কার লাভ করেন। একই বছর শিশুমৃত্যু হ্রাস সংক্রান্ত এমডিজি-৪ অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ কর্তৃক এমডিজি অ্যাওয়ার্ড-২০১০ পুরস্কার পেয়েছেন।

২০১১
প্যারিসের ডাউফিন ইউনিভার্সিটি মর্যাদাপূর্ণ স্বর্ণপদক ও ডিপ্লোমা পুরস্কার প্রদান করে। আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ), সাউথ-সাউথ নিউজ ও জাতিসংঘের আফ্রিকা সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কমিশন কর্তৃক যৌথভাবে প্রদত্ত ‘সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড ২০১১ :ডিজিটাল ডেভলপমেন্ট ফর ডিজিটাল হেলথ’ শীর্ষক পদক লাভ করেন। একই বছর ইংল্যান্ডের হাউস অব কমনসের স্পিকার জন বারকো এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দূরদর্শী নেতৃত্ব, সুশাসন, মানবাধিকার রক্ষা, আঞ্চলিক শান্তি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে তার অনবদ্য অবদানের জন্য ‘গ্লোবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেন।

২০১২
বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কো কর্তৃক ‘কালচারাল ডাইভারসিটি পদক’ লাভ করেন। একই বছর ভারতের স্বনামধন্য সংবাদপত্র তাঁকে টাইমস অব ইন্ডিয়া ‘আর্থ কেয়ার’ পুরস্কার প্রদান করে এবং এইচএসবিসি-ডেইলি স্টার ক্লাইমেট অ্যাওয়ার্ড পান।

২০১৩
জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা দারিদ্র্য, অপুষ্টি দূর করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করায় বাংলাদেশকে ‘ডিপ্লোমা অ্যাওয়ার্ড’ পদকে ভূষিত করে। সেইসাথে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের ‘সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড-২০১৩’ পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

২০১৪
নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী শিক্ষার উন্নয়নে অবদানের জন্য ইউনেস্কো পিস ট্রি পুরস্কার পেয়েছেন।

২০১৫
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এ বছর উইমেন ইন পার্লামেন্ট গ্লোবাল ফোরাম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

এছাড়া বিশ্বের স্বনামধন্য অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর পরিবেশ বিষয়ক নীতি নির্ধারণ, শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৩টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছেন তিনি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয় ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত ‘ডক্টর অব ল’, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ব-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘দেশিকোত্তম’, রাশিয়ার পিপলস বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত ডক্টর অব সায়েন্স’ প্রভৃতি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:১৫
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×