somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে দাবি কখনোই তামাদি হতে পারে না

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে পাকিস্তানিদের বিচার বহু আগেই হওয়া উচিত ছিল। নানা আন্তর্জাতিক চাপ ও প্রতিকূল ভূ-রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে ১৯৭৪-এ ভারতের কারাগারে হত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে বন্দি পাকিস্তানি সামরিক অফিসার ও অন্য সদস্যদের বিনা বিচারে পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। শুরুতে প্রায় দেড় হাজার পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাঁড় করানো হলেও শেষ পর্যন্ত ১৯৫ জনকে ঘিরে বিচারের দাবিটি চলমান ছিল। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষে লিখিতভাবে উল্লেখ করা হয় যে, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ওই ১৯৫ জন নিশ্চিতভাবে হত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সম্পৃক্ত হওয়ায় তাদের বিচারের ব্যাপারে সার্বজনীন ঐকমত্য রয়েছে।’
পাকিস্তান এ বিষয়ে দুঃখ ও নিন্দা প্রকাশ করে এবং তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনানুযায়ী নিজ দেশে তাদের বিচারের অঙ্গীকার করে। কিন্তু বিচার তারা না করায় এবং চুক্তিটি বাংলাদেশের সার্বভৌম সংসদে অনুমোদিত না হওয়ায় ওই চুক্তি আইনত অকার্যকর হয়ে পড়ে। এতে একদিকে যেমন বাংলাদেশ শর্তসাপেক্ষ চুক্তির বাধ্যবাধকতা থেকে যুক্ত হয়, অপরদিকে অবারিত হয় পাকিস্তানিদের অপরাধের বিচারের ক্ষেত্র।
আন্তর্জাতিক আইনে এ ধরনের অপরাধে Clemency বা amnesty কোনোভাবেই প্রযোজ্য নয় বা তা প্রয়োগের সুযোগ নেই এটি আইসিসির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজ্ঞদের অভিমত। এ অপরাধের বাদী কেবল বাংলার জনগণ নয়, এ মামলার বাদী সভ্য পৃথিবী। এ ছাড়া Clemency ও amnesty শব্দ দুটি সমার্থকও নয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই দেশের ভেতর এবং দেশের বাইরে ’৭১-এর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জোর দাবি উঠেছিল। এ বিচারের কথা বাংলাদেশ ও ভারত সরকার উভয়ের মাথায় ছিল। ’৭১-এর ৩১ ডিসেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ‘বাংলাদেশে গণহত্যার জন্য দায়ী পাকিস্তানি সৈন্যদের বিচারের উদ্দেশ্যে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হইবে কি-না সে ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারই স্থির করিবেন।’ ১৯৭২-এ পাকিস্তান থেকে কারামুক্ত হয়ে দেশের মাটিতে নামার আগেই ৮ জানুয়ারি লন্ডনের মাটিতে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘পাকিস্তান জঘন্য খেলায় মাতিয়াছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে যে গণহত্যা হইয়াছে তাহার বিচার হইবে।’
১৮ জানুয়ারি ১৯৭২, দৈনিক ইত্তেফাক মারফত জানা গেল যে, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের প্রেসিডেন্ট মি. রবার্ট ওজাল বঙ্গবন্ধুর নিকট বার্তায় জানিয়েছেন যে, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য একটি আন্তর্জাতিক কোর্ট গঠিত হয়েছে।’ এদিকে দেশের মধ্যে নানা স্থানে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবি ওঠে। যাদের স্বামী নিখোঁজ বা নিহত হয়েছে এমন ৩০ জন বিধবা ব্যাপক গণহত্যা, নির্যাতন ও লুটতরাজের সঙ্গে জড়িত ৩৬ পাকিস্তানি অফিসারের তালিকা পেশ করে আন্তর্জাতিক আইনানুসারে এদের বিচারের দাবি তোলেন। ওই সময় বাংলাদেশ সফররত বিশ্ব শান্তি পরিষদের ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেত্রী মাদাম ইসাবেলা ব্লুম বলেন, ‘পাকিস্তান বাহিনী বাংলাদেশে যে গণহত্যা, নৃশংসতা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও অন্যান্য অপরাধ করিয়াছে, বিশ্বের ইতিহাসে উহার কোন নজির নাই।’ মাদাম ইসাবেলা জানান যে, তারা এ ব্যাপারে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে এর বিচারের ব্যবস্থা করবেন। এই সময়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ’৭১-এ গণহত্যা ও নারী নির্যাতনসংক্রান্ত তদন্ত চলতে থাকে এবং তৎকালীন পুলিশের ডিআইজি মঞ্জুরুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রাথমিক তদন্ত কাজ চলছিল। ’৭২-এর দৈনিক ইত্তেফাকে ৯ মে সংখ্যার এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, ‘একমাত্র ঢাকার বুদ্ধিজীবী হত্যার ব্যাপারে ৪২টি মামলা দায়ের হইয়াছে।’
যে দাবি কখনোই তামাদি হতে পারে না১০ মে এনা জানায়, ‘দেড় হাজার পাকিস্তানি সামরিক কর্মচারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ গঠিত হয়েছে।’ এর মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ কুয়ালালামপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রকাশ্যে হবে। জনাব ভুট্টো যুদ্ধবন্দিদের ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছেন। বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিতে রাজি নয়’ এটা তিনি জানান। সূত্র: বাসস, পিটিআই ৬ জুন ১৯৭২। এ মনোভাবের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই পাকিস্তান এখন ওই গণহত্যা অস্বীকার করছে।
বাংলাদেশের মাটিতে সংঘটিত অপরাধের মধ্যে কোনটি মানবতাবিরোধী অপরাধ, কোনটি গণহত্যা তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু হিন্দুকে যখন হিন্দু বলে হত্যা করা হয় এবং হিন্দু মেয়েদের গর্ভে যখন পাকিস্তানি জš§ দিয়ে এথনিসিটি বা জাতিগত পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা হয় বা জাতির জšে§র চাকা রোধ করে দেয়া হয়, সেটি আইনগতভাবে জেনোসাইড। নিরস্ত্র মানুষ বা সেনাদের বিনা বিচারে হত্যা, তাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন, এমনকি বিনা বিচারে বন্দিকরণ, হত্যা ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধ। সিভিলিয়ানদের টার্গেট করাটাই যুদ্ধাপরাধ। নির্বিচারে হত্যা, গুম অগ্নিসংযোগ করে ভিটেমাটি থেকে উৎখাত করা ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধ। একটি জাতির সেরা সন্তানদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করা এবং প্রগতিবাদী বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে জাতির প্রগতির চাকা বাধাগ্রস্ত করে তাঁবেদার রাষ্ট্র নির্মাণের চেষ্টা একটি অকল্পনীয় ঘৃণ্য অপরাধ। এতে ১৯৫ বা তার বাইরে যে সংখ্যার অপরাধী জড়িত থাকুক না কেন এদের বিচার না করাটা কেবল ক্ষমাহীন অক্ষমতা বা অক্ষমতাজনিত ব্যর্থতা নয়, অপরাধও বটে। এই নিরেট অবস্থানের এবং সীমাহীন অক্ষমতার কারণেই ভবিষ্যৎ প্রজš§ বর্তমান প্রজš§কে প্রশ্ন করবে।
’৭১-এ পাকিস্তান প্রায় ১ কোটি বাঙালিকে গৃহ ছাড়া করেছে, সাড়ে ৪ লাখ মেয়েকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে অকল্পনীয় মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। ওই পর্যায়ের ধর্ষণ গণহত্যার শামিল। ২৫ মার্চ রাতে ১৮ পাঞ্জাব, ২২ বালুচ ও ৩২ পাঞ্জাবের যে দলটি জগন্নাথ হলে অবস্থানরত হিন্দু ছাত্র ও শিক্ষককে হত্যা করে ২৭ তারিখে ভোরে ওই হলের ফুটবল খেলার মাঠে বুলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দেয় তাতে নেতৃত্ব দেয় ৩২ পাঞ্জাবের সিও লে. কর্নেল তাজ ও ব্রি. জাহানজেব আরবাব। ২৬ তারিখে রমনা কালীবাড়ি মন্দিরের সামনে ইপিআর অফিসার গোলাম মোহাম্মদ কালীবাড়ির কয়েক সাধুসহ নিরস্ত্র কয়েক ইপিআর সদস্যকে হত্যা করে। এটি একইসঙ্গে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ। ব্রিগেডিয়ার তাসকীন ছিল ৯১ ব্রিগেডের সদর দফতরের প্রধান। ব্রিগেডিয়ার তাসকীনের নির্দেশে কর্নেল জায়েদী ও অন্য অধস্তন অফিসাররা লালমাই অঞ্চলে গণহত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞসহ যাবতীয় মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে। হামুদুর রহমান কমিশনের নিকট প্রদত্ত সাক্ষ্যে তাসকীন স্বীকার করে যে, তার অধস্তন অফিসাররা আইন হাতে তুলে নিয়েছিল। ধলঘাট নামক একটি কমান্ড অঞ্চলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাঙালিদের বিনা বিচারে ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয় বলেও সে স্বীকার করে।
কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার লালমাইয়ে মেজর আকবরের নেতৃত্বে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ব্যাপক গণহত্যা চালায়। ২৭ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী এখানকার সিঅ্যান্ডবির বাংলো ও তার আশপাশের এলাকা দখল করে নিয়ে দশ সহস্রাধিক লোককে হত্যা করে। এরা সিঅ্যান্ডবির বাংলোকে নির্বিচারে ধর্ষণের দুর্গ হিসেবে ব্যবহার করে। এখানকার প্রতি ইঞ্চি জায়গা খুঁড়লে পাওয়া যাবে শহীদদের হাড়গোড় ও কঙ্কাল। মেজর আকবর ছিল এখানকার সব হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের মূল হোতা। ২৮ মে মেজর নাদের পারভেজ পটুয়াখালী আসে। তার নির্দেশে পাকিস্তানি বাহিনী ২৯ ও ৩০ মে বরগুনায় নৃশংস ও জঘন্যতম জেল হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এ দু’দিনে বরগুনা জেলে নির্বিচারে হত্যা করা হয় ৭৬ জন নিরীহ নারী-পুরুষ শিশুকে। পরে এদের জেলখানার দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে গণকবর দেয়া হয়। মেজর নাদের পারভেজ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে তথ্য সরবরাহের অভিযোগে ভগীরথী নামে এক মেয়েকে ধর্ষণ করে গাড়ির পেছনে বেঁধে টেনে হিঁচড়ে সারা শহর ঘুরিয়ে হত্যা করে। ১৯৭১ সালের ২৬ মে বুধবার পাকিস্তানি বাহিনী সিলেটের বালাগঞ্জ থানার নিভৃতপল্লী বুরুঙ্গায় পরিচয়পত্র প্রদানের নাম করে নিরীহ গ্রামবাসীকে বুরুঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জড়ো করে। দুপুর ১২টার দিকে ক্যাপ্টেন নুরউদ্দিনের নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনারা ৭৮ গ্রামবাসীর দেহ মেশিনগানের গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয়। তারপর বুরুঙ্গা বাজারের দোকানদার জমিরউদ্দিনকে পিটিয়ে তার দোকান থেকে দু’টিন কেরোসিন আনে এবং তা ওই হতভাগ্যদের ওপর ছিটিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। ১৪ জুন আদিত্যপুরের ৬৫ নিরীহ বাঙালিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে তাজপুর-বালাগঞ্জ সড়কের পাশে নিয়ে হত্যা করে ওই পাকিস্তানি সেনারা। তাদের মধ্যে বেঁচে যান সুখময়চন্দ্র দেব ও শিবপ্রসাদ সেন চৌধুরী। ক্যাপ্টেন নুরউদ্দিন ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা এখানে ব্যাপক নারী নির্যাতন ও লুটপাট চালায়। বুরুঙ্গার বিশিষ্ট আইনজীবী রামরঞ্জন ভট্টাচার্যকে তারই বারান্দায় চেয়ারে বসিয়ে এরা হত্যা করে।
লে. কর্নেল মনসুরুল হক হামুদুর রহমান কমিশনের নিকট উল্লেখ করে, মুক্তিবাহিনী বলে কাউকে ধরা হলেই তাকে বিনা বিচারে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হতো। ‘বাংলাদেশ’ তখন ছিল মৃত্যুপুরীর সাংকেতিক নাম। সে এই সংকেতের সাহায্যে নির্বিচার হত্যা করার কথা বোঝাতে চেয়েছে। সে এও উল্লেখ করে যে, হিন্দুদের হত্যা করার মৌখিক নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ২৫/২৬ মার্চ ১৯৭১-এ অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ, গোলাবারুদ ব্যবহার ও বাড়াবাড়ি প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার শাহ আবদুল কাশিম (সাক্ষী-২৬৭) কমিশনকে জানায় যে, ২৫ মার্চ ঢাকার রাজপথে কোনো খণ্ড যুদ্ধ হয়নি। ওই রাতে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছিল। সামরিক অপারেশনের সময় সেনা সদস্যরা ক্রোধ ও প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কাজ করেছিল। ১৬ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল নজর হোসেন শাহ স্বীকার করেন যে বাঙালিদের বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। ৩৯ বেলুচের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল এসএম নাঈম জানায়, ‘সুইপিং অপারেশনের (মার্চের পর গ্রামাঞ্চলে দুষ্কৃতকারীবিরোধী অভিযান) সময় আমরা বহু নিরীহ মানুষকে মেরেছি। এই জন্য জনগণের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।’ জিএসও-১ লে. কর্নেল মনসুরুল হক (সাক্ষী-২৬০) জানায়, ‘৫৩ ফিল্ড রেজিমেন্টের অধিনায়ক লে. জেনারেল ইয়াকুব মালিকের নির্দেশে ১৯৭১-এর ২৭/২৮ মার্চ কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে কর্নেল মনসুর বলে, ‘একজন মাত্র অফিসারের অঙ্গুলি হেলনে ১৭ বাঙালি অফিসারসহ ৯১৫ জন মানুষকে জবাই করে ফেলা হয়।’ সে আরো জানায়, ‘সালদা নদী অঞ্চলে ৫০০ লোককে হত্যা করা হয়েছিল। আর্মি গ্রামাঞ্চল ও ছোট শহরগুলোতে ঝাঁটানো অভিযানে নির্দয়ভাবে ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে এগিয়ে গেছে।’
এ প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক আদালতে বা এদেশের আদালতে ওই পাকিস্তানিদের বিচার কার্যকর করা কেবল আমাদের নয়, গোটা বিশ্ব মানবতার দায়। অপরাধীর সংখ্যা ১৯৫-এর অনেক বেশি হতে পারে। ওয়ার ক্রাইম্স ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির কাছে ৩৬৯ পাকিস্তানি সেনা অপরাধীর আমলনামা রয়েছে। বিশ্ব প্রমাণ করুক তারা সত্যিকার অর্থে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চায়। আর পাকিস্তানের
জনগণের দায়িত্ব হলো এটা প্রমাণ করা যে, তাদের সামষ্টিক চিন্তায় এতটুকু মনুষ্যত্বের ছোঁয়া আছে। আমাদের তরফে উত্থাপিত এই দাবি অর্থাৎ এসব মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবি কখনোই তামাদি হতে পারে না।
সুত্র
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×