বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস এর প্রতিফলন হলো মহাজোট এর ক্ষমতায়ন। দেশের নতুন প্রজন্মের আবেগকে কাজে লাগিয়েই তো আজকের নেতারা সরকারি পতাকাবাহী গাড়ি চালাচ্ছেন। কিন্তু লজ্জা ও হতাশার বিষয় হলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়টি নিয়ে মহাজোট সরকারের রাজনীতি রাজনীতি খেলা। যে খেলার সাথে গত ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে নতুন প্রজন্মের কোন সম্পৃক্ততা নেই; থাকতো কি-না তাও জানি না। তবে মহাজোট খেলেই চলেছে।
অবশেষে তাদের শাসন ক্ষমতার শেষ ভাগে এসে বিচারের কিছু কর্ম সাধন করে আবার খেলতে চাইছে; ওই আবেগ নিয়েই। কারণ তারা খুব ভালো করেই জানে বাংলাদেশের মানুষ দেশের সার্বভৌম রক্ষার্থে কতটুকু আবেগপ্রবণ হতে পারে।
একজনের বিচার এর রায় ঘোষণা হয়েছে গত কিছুদিন আগে। তিনি বাচ্চু রাজাকার। সরকারের চোখে ফাঁকি দিয়ে তিনি কিভাবে পালিয়ে গেলেন তা-ও এক মজার অধ্যায়। সেখানেও রাজনীতির খেলা। রায় ঘোষণা হলেও তা কবে নাগাদ কার্যকরী হবে সেটাই দেখার বিষয়। সরকার কিন্তু নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন সেই আবেগপ্রবণ জাতির চোখে ধুলো দিয়ে যে, রাজাকারদের বিচার হচ্ছে।
গত দুইদিন থেকে দেশের মানুষ (সব প্রজন্মের) দেখিয়ে দিচ্ছে দেশ প্রেম কাকে বলে।
এখনেও আরেকটি রাজনীতির খেলা। ‘ট্রাইব্যুনাল এর একটি ধারা সংশোধন না হলো কাদের মোল্লার এই রায় এর বিরুদ্ধে আপিল করা যবে না’ গতকাল আন্দোলনরত কয়েকজন ব্যারিস্টার বলছিলেন মুন্নী সাহা’র সাথে। সম্ভবত ২৩ এর ২ ধারা।
আমাদের প্রশ্ন হলো, যখন ট্রাইব্যুনালটি গঠন করা হয় তখন কি এই ধারাটি তাদের চোখে ধরা পড়েনি? যদি ধরা পরতই তাহলে তখনই কেন তা সংশোধন করা হলো না? মানুষের আবেগের প্রধান কেন্দ্র বিন্দুটি নিয়ে সরকার কেন আন্তরিক হতে পারল না?
তাহলে কি আমরা ধরে নিব, সরকার কেবল ভোটের বাক্স নিশ্চিত করার জন্যই নির্বাচনী ইশতেহারটি চটকদার করেছিল?
আন্দোলনরত জনতা দেখে সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিকদের কপালে কি কোন ভাঁজ পরবে? এটা কিন্তু কোন রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। এখানে একটা লোককেও কিন্তু টাকা দিয়ে কেনা হয়নি। তাদের আসা যাওয়ার জন্য কোন শিল্পপতি নেতা গাড়িও পাঠায় নি। কিংবা কোন নির্দিষ্ট পছন্দসই সময়েও তারা সমাবেশ করেনি।
তাদের এই মিলন আত্মার। তাদের এই মিলন প্রেমের। দেশ প্রেমের। এই মিলন ঐতিহাসিক। এক সম্ভ্রান্ত বাংলা ইতিহাস মনে করিয়ে দেয় আমাদের।
সাবাশ বাংলাদেশের জনতা! সাবাশ বাংলাদেশ!
তবে এই আন্দোলনের জন্য ব্লগারদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী।
কৃতজ্ঞতা জানাই সকল যোদ্ধাদের।
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।