somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন আগে হরতালকে প্রতিরোধ করি

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আসুন আগে হরতালকে প্রতিরোধ করি
আহমেদ ফয়েজ
হরতাল বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে যেন বর্তমানে একটা মামুলী ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন বিষফোড়া। সরকারি দল বিরোধী দল সকলেই হরতালকে আন্দোলন বা অনিহা প্রকাশের একটা অতি সাধারণ মাধ্যম হিসেবে কেবল মনেই করছেন না গণমাধ্যমে তা বলেও বেড়াচ্ছেন যে, বিরোধী দল হরতাল করতে পারে, এটা একটা গণতান্ত্রিক প্রকৃয়া। আবার বলছেন, হরতাল তারা করতেই পারেন তবে তা হতে হবে শান্তিপূর্ণ। কোন কোন সরকারি বা বিরোধী দলের নেতা গণমধ্যমে এসব কথা বলে বেড়াচ্ছেন তাদের নাম ব্যবহার করার প্রয়োজন মনে করলাম না।
হরতাল কিভাবে আবার শান্তিপূর্ণ হবে?
হরতাল মানেই তো জোর করে কিছু করা। আর বিপরীত পক্ষ তা মেনে না নেওয়া। এখানে শান্তিপূর্ণ শব্দটি ব্যবহার করে দেশের শান্তিকামী মানুষকে ধোকা দেওয়ার মতই অনেকটা।
আমাদের কাছে অবাক লাগে একটি হরতালে যেখানে কোটি কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে দেশের অর্থনীতির। বিদেশী বিনিয়োগকারীরা যেখানে দেশের বিনিয়োগের ব্যপারে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন সেখানে আমাদের দেশের দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, হরতালে দেশের অর্থনীতির তেমন কোন ক্ষতি হয় না। আরো অবাক হতে হয় সেই দায়িত্বশীল নেতা সরকার দলেরই কোন বিভাগের মন্ত্রী। কি আর বলব। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীতো বিবিসি’র এক সাক্ষাতকারে বলেই দিলেন দেশের এই উত্তেজনাকর অবস্থায় অর্থনীতিতে কোন প্রভাব পড়ছে না। বিনিয়োগকারীরা কিভাবে আবার ফিরে আসবেন সেসব কায়দা কানুন নাকি তাঁর জানা-ই আছে।
অর্থাৎ বিরোধীদল যে হরতালের পর হরতাল দেবে তা এখন একটা নিয়মেই পরিণত হয়েছে। একে থামাবার কোন প্রচেষ্টা কারো পক্ষেই নেওয়া সম্ভব নয়। সরকারি দলের নেতারা হরতালকে বৈধতা দিয়ে চলেছেন যাতে করে তারা যখন বিরোধীদলে থাকবেন তখনও তারা বৈধ ভাবেই হরতালের নামে জ্বালাও পোড়াও করতে পারেন। আর তাই দেশের সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী সমাজ থেকে শুরু করে জনসাধারণ ‘আইন করে হরতাল নিষিদ্ধ করুন’ বলে যতই বুলি আওরাচ্ছেন তাতে কর্ণপাত করছেনা সরকার। এমন অনেক কঠিন বিষয়ে আইন করে সরকার নিজেদের সুবিধাগুলো আদায় করে নিচ্ছেন। আর দেশের স্বার্থে সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে আসা একটি সরকার এমন একটি বিধ্বংসীরূপী আন্দোলনকে নিষিদ্ধ করতে উদাসীন।
সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কিন্তু দেশের আঠার কোটি মানুষ জিম্মি নয়। তারা নিজেরাই হরতাল নামক দানবটিকে প্রতিহত করতে পারে। আমরা লক্ষ্য করেছি ঢাকা শহরের বেশ কিছু দোকান এখন হরতালে খোলা থাকে। গতকাল ৯ এপ্রিল হরতালের মধ্যেই দোকান মালিক সমিতির লোকেরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে হরতালেও তাদের দোকানপাট খোলা থাকবে। রাজশাহীতে পিকেটারদেকে জনতা ধাওয়া দিয়েছে।
পিকেটার কয়জন। দোকানপাট খোলা রাখাই উচিত। আর যদি পিকেটাররা বেশী বাড়াবাড়ি করে তাহলে দোকান মালিক সমিতি ও ক্রেতাবৃন্দ মিলে তা প্রতিহত করা উচিত। শক্ত হাতে। তারা যে হাত ব্যবহার করে প্রয়োজনে সে হাতে। আসুন হরতাল প্রতিরোধ করি। যারা হরতাল ঘোষণা করছে তারা কি দেশের শত্রু না? আসুন যারা হরতাল ঘোষণা করছে তাদেরকে দেশদ্রোহী ঘোষনা করি।
দেশটা কি কারো নিজের সম্পত্তি যে পান থেকে চুন খসে গেলেই হরতালের ডাক দিয়ে দিতে হবে।
বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভদ্র ও ভাল আচরণের অধিকারী। দেশের মানুষ যদি এক সাথে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তাহলে দেশে যে হাজারটি যুদ্ধ জয় করা যায় তা এই জাতির মানুষ ভাল করেই জানে। এই বিষয়টি দেশের হর্তা কর্তদের মনে করলে চলবে না বাঙ্গালি কিছুই বুঝে না। তারা যা করে তাই মেনে নেবে।
সরকারকেই বলছি, আন্দোলনের নামে দেশের অর্থ-সম্পদের বারোটা বাজিয়ে এ কি ধরনের রাজনীতি চলছে বাংলাদেশে। আর তা এই অপার সম্ভাবনাময় দেশটিকে কোন স্তরে নামিয়ে দিচ্ছে? এসব প্রশ্নের যদি কোন সদুত্তর আমাদের কাছে না থাকে তা যদি দেশের সকল শ্রেণীর মানুষ এখনো টের না পায়, তাহলে দেশটিকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে পাওয়া খুব বেশী দিনের ব্যাপার নয় হয়তো।
আর এর দায় ভার নিতে হবে-
সরকার দলকে
বিরোধী দলকে এবং
ইসলামের নামে যারা রাজপতে ভ-ামী করছে তাদেরকে।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×