আজ বিশ্ব বন্ধু দিবস: বন্ধুত্ব মানে শর্ত ও স্বার্থহীন ভালোবাসা। দূরের ও কাছের সকল বন্ধুরা, ভালোবাসা নিস...
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
আত্মার কাছাকাছি যে বসবাস করে, সে আত্মার আত্মীয়; বন্ধু বা স্বজন। `বন্ধু' দুটি অরের একটি শব্দ। এই শব্দের মাঝে মিশে আছে যেনও পৃথিবীর সকল প্রশান্তির ছায়া, নির্ভরতার বিশ্বস্থ নাম। বন্ধু আর বন্ধন একই মূদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। পাকাপোক্ত বন্ধনের ভিত্তিই বন্ধুত্ব। মানুষ একা বাস করতে পারে না। সমাজে বাস করতে হলে, প্রতিদিন কারো না কারো মুখাপেক্ষী হতে হয়। কাউকে আপন করতে হয় আবার কাউকে পর করতে হয়। এ সবই প্রয়োজনের তাগিদে। তবে বন্ধুত্ব এমন একটি বন্ধন, এতে থাকে শর্ত ও স্বার্থহীন ভালোবাসা। বয়েসের অবস্থান, পরিবেশ, সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়ে বন্ধুত্বের ধরণও হয় ভিন্ন ভিন্ন।
`সুসময়ে বন্ধু বটে হয়, অসময়ে কেউ কারো নয়'- এই খনার বচনকে উপো করতে পারলেই প্রকৃত বন্ধুত্ব গড়ে তোলা সম্ভব। যুগ পরিবর্তনের সাথে সাথে বন্ধুত্বের ধরণ পাল্টে গিয়েছে বহুলাংশে। যুগ পাল্টালেও বন্ধুত্বের বন্ধন আদি ও অকৃত্রিম। প্রকৃতির চিরন্তণ নিয়মে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে; মানুষে-মানুষে, ছেলে-মেয়েতে, ছাত্র-শিক্ষকে, বাবা-মায়ে, পাড়া-প্রতিবেশীতে। জীবনের পথ পরিক্রমায় শৈশব, কৈশর, ছাত্রজীবন, কর্মক্ষেত্রে, সংসার ও সমাজ জীবনে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে অনেকের সাথে। প্রকৃত ও যোগ্য বন্ধু নির্বাচন একটি সঠিক সিদ্ধান্ত জীবনের জন্য প্রয়োজন। বন্ধু নির্বাচনে ভুল করলে জীবনে ছন্দ পতন ঘটে। ছেলে মেয়ে প্রত্যেকেরই উচিৎ সঠিক ও যোগ্য বন্ধু নির্বাচন করা। যে যতটুকু ভার বহন করতে পারে, তার ততটুকু বোঝা উত্তলন করা উচিৎ।
ডিজিলাট শতাব্দীতে এসে পুরো পৃখিবীটা একটা সমাজে পরিনত হয়ে যাচ্ছে। বন্ধুত্ব ছড়িয়ে পরছে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে দূর তেপান্তরের রাজ্যে। গোটা বিশ্ব হাতের মুঠোয় চলে এসেছে প্রযুক্তির কল্যাণে। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোনও দেশের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করা যায় অনায়াসে। বন্ধুত্বের পরিধী আজ বিশ্বময়। বন্ধুত্ব এমন এক আত্মিক সম্পর্ক; এ সম্পর্কের গাণিতিক বা জ্যামিতিক ব্যাখ্যা দাঁড় করানো সম্ভব নয়। সৃষ্টির শুরুতে বন্ধুত্ব ছিল, এখনও আছে, থাকবে অনন্তকাল।
বন্ধু দিবসের এই দিনে, দূরের ও কাছের সকল বন্ধুরা, ভালোবাসা নিস...।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।