লেখাটা ফেসবুক থেকে পাওয়া....................
জজকোর্ট এলাকা। হঠাৎ একটা ছেলে কে কোপাতে শুরু করলো কয়েকজন। পাশ দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্যাশিয়ার রিকশা থেকে নেমে হাত চেপে ধরলেন চাপাতি হাতের ছেলেটির। চায়েরদোকানে উৎসুক লোক গুলি চেপে ধরলো অন্য আরেকজনের হাত। ছবি তুলতে থাকা সাংবাদিক হাতের ডিএসলার ফেলে বিশ্বজিৎ কে আড়াল করলো তিন-চারটা রডের সামনে থেকে। দুজন পুলিশ দৌড়ে এসে কলার চেপে ধরলো চাপাতি হাতের ছেলে গুলোর, লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করলো রড ধরা হাতের ওপর। ফুটপাতের চা-ওয়ালা তার ছেলে কে নিয়ে বিশ্বজিৎ নামের ছেলে টির দিকে আগালো, কোপানো'র জায়গা গুলো হাত দিয়ে চেপে ধরলো। জগন্নাথের সমাজবিজ্ঞানে পড়া ছেলেটি শক্ত করে ধরে রাখলো বিশ্বজিৎ এর হাত, ছেলে টাকে বাচাতে হবে। রিকশাওয়ালা প্রচন্ড গতি তে ছুটলো মেডিকেলে। ফেসবুকের স্টাটাস না, সবাই গেল বিশ্বজিৎ কে দেখতে। বেচে গেল বিশ্বজিৎ। বহিষ্কার করা হলো ছাত্র নামের ওই পশু গুলো কে।
কল্পনা করতে ভালো লাগে। কেউ দূর থেকে বিশ্বজিৎ এর কোপানো দেখলো না। সবাই ছেলেটিকে বাচতে রুখে দাড়ালো। কিন্তু কল্পনা তো কল্পনাই। টিকে থাকাই এখন সার্থকতা, তাই তেলাপোকার মত টিকে থাকি।
আমার প্রশ্ন হল বিশ্বজিৎ কি হতভাগা না আমরা?