আমি বুঝিনা আমেরিকা হউক আর চীন হউক যেখান থেকেই বিনিয়োগ আসুক না কেন ভারতের মিডিয়ার এতো জ্বালা কেন? আমাদের বরেন্য কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ মারা যাওয়ার পরেও তাদের মিডিয়া তে কোনো প্রচার হয় নাই। কিন্তু যখনই কোনো দেশ কোনো বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে আসে তখন ই তাদের জ্বালা বেড়ে যায় । দাদারা বলছে আমারা নাকি বিক্রি হয়ে যাবো চীনের কাছে মাত্র ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়া হচ্ছে চীন থেকে তিস্তা বাঁধের জন্য, আমাদের জাতীয় আয় ৩২২ বিলিয়ন ডলার, সামান্য এক বিলিয়ন ডলারে আমাদের কোনো ভয় নাই। দাদাদের কাজই হচ্ছে আমাদের ভেতরে ভয় ঢুকিয়ে দেয়া ।
আমাদের রিজার্ভও কিন্তু আল্লাহ দিলে কম না। ভারতের কাছ থেকে তো আমরাও ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছিলাম।
দাদাদের শর্তও ছিলো অদ্ভুত। ঋণের ৭৫ শতাংশ পন্য ভারত থেকেই আমদানি করতে হয়েছে। সেই ঋণের টাকায় ভারত
থেকে যে পরিমাণ বাস, ট্রাক ১০০০টি বিআরটিসির জন্য তা সবই তো ভেঙ্গে চুড়ে ভাগাড়ে পড়ে আছে। ভারত কি তাহলে
এই ভেবেছিলো ২ বিলিয়ন ডলারের ফাদে ফেলে আমাদের জিম্মি করে ফেলবে? চীনের ১ বিলিয়নে যদি আমরা
বিক্রি হয়ে যাই তাহলে ২ বিলিয়নে তো কথাই নেই । তাই না!
এখন আমার মত যুব সমাজের একটা লক্ষ্য কোনো ভাবে যদি তিস্তা প্রকল্প টা বাস্তবায়ন হয়ে যায় । তিস্তা পাড়ের মানুষদের ভাগ্য ফেরাতে আরও ১০ বছর লাগতে পারে। প্রকল্প ব্যয় অনেক বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু আমাদের পিছিয়ে গেলে হবেনা । কয়েক মাস আগে যেভাবে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছিলো তা আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে । দেখা যাক সামনে কি হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪০