ভদ্রলোক পশ্চিম বঙ্গে জয় লাভের জন্য গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের ব্যপারে চোখে টিনের চশমা দিয়ে একটার পর একটা মিথ্যে বলেই চলেছে, যেখানে তাদের ১ লক্ষের বেশী নাগরিক বাংলাদেশে প্রিমিয়াম লেভেলের চাকরি করছেন। বাংলাদেশে অল্প শিক্ষিত লোকেদের চাকরীর অভাব তেমন টা নেই। হ্যা উচ্চ শিক্ষিত লোকেদের চাকরীর অভাব আছে, কিন্তু উচ্চ শিক্ষিত লোকেরা তো আর ভারতে গিয়ে পড়ে থাকেনা । হ্যা কিছু অল্প লোক ভারতে থাকতে পারে । কিন্তু আমার বোঝে আসেনা ভারতে কি এমন কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা আছে যে সেখানে বাঙালি গেলেই কাজ পায়! এহেন মিথ্যে প্রপাগান্ডা দিয়ে বাংলাদেশ কে প্রতিনিয়ত হেয় করার মানে দেখিনা আমি।
বাংলাদেশ কে নির্বাচনী এজেন্ডা করে ঘারে কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার মত ঘৃণ্য কাজ মনে হয় এবার আর না করলেই নয়। আজা আমাদের জিডিপি ভারত কে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানের মুদ্রার মান থেকে আমাদের মুদ্রার মান বেশী। গ্লোবাল হাংগার ইন্ডেক্সে বাংলাদেশ ৮৮ তম যেখানে ইন্ডিয়া ৯৪ তম। অন্তত তাদের চেয়ে আমাদের অবস্থা ভালো আছে আর তারাই কিনা বলে আমরা না খেতে পেয়ে ভারতে গিয়ে কাজ করি । বাংলাদেশের ৯০ ভাগ লোকেরই ভালো শৌচাগার আছে যেখানে তাদের ৫০ ভাগ লোকেরই শৌচাগার নেই ।
শুধু মাত্র নির্বাচনে জয়ের জন্য কেউ প্রতেবেশীর দিকে এমন ছুড়ি চালায় তা ভারত কে দেখলেই জানা যায়।
তবে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও কিন্তু ছেড়ে কথা বলেন নি। প্রথম আলোকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন,
"অমিত শাহর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পৃথিবীতে অনেক জ্ঞানী লোক আছেন, দেখেও দেখেন না, জেনেও জানেন না। তবে তিনি (অমিত শাহ) যদি সেটা বলে থাকেন, আমি বলব, বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর জ্ঞান সীমিত। আমাদের দেশে এখন কেউ না খেয়ে মরে না। এখানে কোনো মঙ্গাও নেই।’
সামাজিক অনেক সূচকে বাংলাদেশের এগিয়ে থাকার প্রসঙ্গ টেনে আব্দুল মোমেন বলেন, ভারতের লোকদের ৫০ শতাংশের ভালো কোনো শৌচাগার নেই। আর আমাদের ৯০ শতাংশ লোকই ভালো শৌচাগার ব্যবহার করেন। তাঁরা যদি এ ধরনের চিন্তা করে থাকেন, তাহলে আমি বলব, তাঁদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে। আমার দেশের শিক্ষিত লোকের চাকরির অভাব আছে। তবে কম শিক্ষিত লোকের চাকরির অভাব নেই। আর ভারতের এক লাখের বেশি মানুষ বাংলাদেশে চাকরি করে। তাই আমাদের ভারতে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। "
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১২