২০১৩ সালে ১০ মিনিট লেগেছিলো শুধু কানে ধরে বের করে দিতে। মরার ভান করে পড়েছিলো শহীদ হতে চাওয়া ভাইয়েরা। বড় নেতা সব গুলো সন্ধ্যা ৬ টার পরে ময়দান ছেড়ে পালিয়েছিলো। এতিম নিষ্পাপ বাচ্চা গুলো কে ঢাল বানিয়ে মাঠ ছেড়েছিলো তারা । ২ থেকে ৩ দিন আগে মাওলানা বাবুনগরী সাহেব বললেন, সিসিটিভি দেখে যাদের দেখা যায় তাদের গ্রেপ্তার করতে। নেতাদের ছেড়ে দিতে।
এখন নেতারা তো মাঠে ছিলনা ছিলো বাচ্চারা। তার মানে উনি আবার বাচ্চা দের ঢাল করে বড় নেতাদের বের করে আনতে চাচ্ছেন। সিসিটিভি তে হুকুমের আসামী কেউ নাই আছে হুকুম পালন কারী রা । হুকুম পালন কারী রা অন্ধ নিষ্পাপ শিশু । পেটে ভাত পড়ে মাদ্রাসায়। হুকুম দাতা যা বলেন তাই করতে হয় ।
বার বার এদের ঢাল করে যে অপকর্ম তারা করে তাদের কিভাবে সমর্থন করে মানুষ। ফেসবুকে কমেন্ট করে বড় হুকুম দাতাদের পক্ষে কথা বলেন,
সকল কষ্ট পায় নিষ্পাপ এতিম শিশু গুলো, যারা নেতার কথা ডানে অথবা বায়ে যায় ।
আর হেফাজত কে কুপোকাত করতে সরকারের লক ডাউন দেয়া দরকার ছিলনা। যে ঘরের বাইরে বের হওয়ার সে বের হলে আটকাতে পারবেনা কেউ । হাজার হাজার মানুষ কে ধরে রাখবে। সমস্যা হচ্ছে আপনাদের বিতর্কিত কর্মকান্ড আপনাদের দূরে সরিয়ে দিয়েছে। যা আপনাদের বোঝার সম্ভব না। ফেসবুকে কমেন্ট কপচালেই হয় না। ওদের কথা টাও ভাবুন ।
হুজুর মামুনুল সাহেবের ঘটনা টা বিশ্বাস করি কি করিনা সেই কথায় যাচ্ছি না। তার ব্যাপারে নেট পাড়ায় কথা হচ্ছিলো, কেউ একটা বিপক্ষে বলাতেই তাদের বাহিনী যে গালাগালের বহর নিয়ে আসলো! ভাবলাম রোজার মাসে এই অবস্থার উন্নতি হবে । যা মনে হচ্ছে ওরা আসলে রোজাটাও রাখেনা । বিভিন্ন নিউজ পোর্টালের পেজ গুলোর কমেন্ট সেকশনে তো ঢোকাই যায় না।
অনেকেই বললেন মামুনুল সাহেব একজন আলেম,
আলেমের বিপক্ষে যে কথা বলে সে কিনা জার*...
এবার ৬২ জন হক্বানী আলেম হেফাজতের বিপক্ষে ফতোয়া দিলেন।
এই ৬২ জন আলেম কে এরা যে পরিমাণ গালাগাল করছে।
তারাই ফতোয়া দেয় আলেমের বিপক্ষে গেলে জার* আবার তারাই কিনা ৬২ জন আলেমের বংশ শুদ্ধ উদ্ধার করে ফেলছে ।
আমি সেই কথায় যাবনা, মামুনুলের দোষ আছে কি নাই, হেফাজতের দোষ আছে কি নাই ।
আমি শুধু এটুকু বলবো যাদের মুখের ভাষা আর কলমের ভাষা এমন তাদের সাথে আল্লাহ কেন দেবেন?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৪