অনেকেই বলেন মহান আল্লাহ মুমিন দের দোষ ত্রুটি গোপন করতে বলেছেন, তাই বলাৎকারের ব্যপারে চুপ থাকেতে বলেন আমাকে অনেকে ইনবক্সে৷

আসল কথা হচ্ছে "কোনো বলাৎকারী আর যাই হউক মুমিন হতে পারেন না"।
আর দোষ ত্রুটি বলতে কি বোঝায়?
এই যেমন কেউ বেশী খায়, কেউ নাক বেশী খুটে, কেউ অলস প্রকৃতির, কেউ পেটের কথা রাখতে পারেনা, এই ধরণের ছোটো খাটো মুদ্রাদোষ টাইপের ত্রুটি সবার থাকে আর এধরণের ব্যপার গুলো আমরা কাউকে হেনস্থা করতে যেন তুলে না ধরি তাই বলা হয়েছে৷
এখন ধর্ষণ এর মতন অপরাধ যা কিনা ছোটো ছোটো বাচ্চাদের সাথে হয়৷ সারাটা জীবন এরা কি নিয়ে বেড়াবে তা কি এরা বোঝেনা?
যারা কিনা এই বলাৎকারী দের ব্যপারে চুপ থাকে তাদের আল্লাহ ক্ষমা করবেন? আপনাদের কি ভয় হয় না? বছরে হাজার হাজার ঘটনা ঘটছে, ফেসবুক নিউজ ফিড দেখলেই মনটা ভারী হয়ে যায়৷
দেশের ওয়াজী রা সব ব্যপারে কথা বলতে পারে খালি এই ব্যপারেই মুখে কুলুপ এটে বসে থাকে৷
মেয়েরা নাকি নগ্ন হয়ে বেহায়া পনা করে ফুটবল মাঠে, এই নিয়ে এদের আলাপের শেষ নাই। কিন্তু নিজেদের কে ঠিক করার জন্য কোনো আলাপ নাই কোনো হুংকার নাই৷
আমি শুধু আল্লাহর কাছে এই কামনা ই করি যেন এদের উনি ধ্বংস করে দেন৷ ছোটো ছোটো ছেলে, যাদের কে হাফেজ বানানোর জন্য বাবা মায়েরা শত ত্যাগ করেও প্রতিষ্ঠানে পাঠায় আল্লাহর মনোনিত ধর্মে দীক্ষিত করার জন্য৷ কিন্তু এরা সব ধ্বংস করে দেয়৷
আজকে যা ঘটলো ৪০০ শিক্ষার্থীদের বাবা মায়েরা মাদ্রাসা থেকে নিয়ে গেলো, আর পড়াবেনা বলে। ক্ষতি টা কার হইলো?
জ্বী ভাই এই মাদ্রাসা কোনো নাস্তিক বন্ধ করে নাই, কোনো আমেরিকান এসে বন্ধ করে নাই৷ দুইজন শিক্ষক এর চরম ঘৃণ্য লালসায় এই মাদ্রাসা বন্ধ হয়েছে৷
এইযে মাদ্রাসা বন্ধ হইলো, একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হলো ৪০০ শিশু৷ এবার কি আপনারা জাগবেন না৷ খুব সহজেই বিণা কারণে হিন্দু শিক্ষক মারধর করেন ফেক আইডী দিয়ে বানানো ধর্ম অবমাননা নিয়ে, ইকবালের করা কান্ডে দেশ টা জ্বালিয়ে দেন৷ কিন্তু কুরাআনের পাখিদের যারা নির্মম নির্যাতন করে তখন চুপ থাকেন৷ আপনাকে আল্লাহ ধ্বংস করে দেক৷ আপনাদের চুপ থাকা আর যারা প্রতিবাদ করে তাদের হুমকী দেয়া প্রমাণ করে আপনিও সুযোগ পেলে এই একই কাজ করবেন৷
আজকের ঘটনাঃ নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রদের অভিভাবকরা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে সন্তানদের হাফেজ বানাতে যাত্রাবাড়ীর মারকাজুত তাহফিজ মাদরাসায় ভর্তি করান। কিন্তু আবাসিক এই মাদরাসায় বছরের পর বছর শিক্ষার্থী বলাৎকারের অভিযোগ ছিলো। হাতে নাতে যার প্রমাণ মেলে শুক্রবার। হেফজ শাখার আট ও দশ বছরের দুই শিক্ষার্থী বহুদিন ধরে বলাৎকারের শিকার হয়ে আসছিল। শুক্রবার তারা বাড়ি গিয়ে পরিবারে ঘটনা জানালে অভিভাবকরা এসে দুই শিক্ষক আবু বকর ও আল আমীনকে গণপিটুনি দেয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




