
আওয়ামী নস্টালজিয়ায় যারা অন্তরের ভিতর পুলকিত বোধ করে তাদের কাছে বাংলাদেশ মানেই হলো জঙ্গী, অকার্যকর অথবা পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র। ৩৬ জুলাই পরবর্তী মহা-গণবিস্ফােরনকে কোনাভাবেই মানতে পারেনি তারা ভয়ে হোক বা সুশিলতার ভেক ধরেই হোক তাদের অনেকেই তখন সমর্থন করলেও এখন ধীরে ধীরে তাদের সেই ফেসিজমের চেহারা ফুঁটে উঠছে।
একটু পিছন থেকে আসি।
১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল। মেমফিসের লোরেইন মোটেলের বারান্দায় দাড়িয়ে ছিলেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, অহিংস প্রতিবাদের প্রতীক হওয়া সত্ত্বেও আততায়ীর গুলিতে নিহত হন, যা বিশ্বজুড়ে শোক ও ক্ষোভের জন্ম দেয়; তার মৃত্যুতে আমেরিকা জুড়ে ব্যাপক দাঙ্গা ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, যা বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের উপর তার গভীর প্রভাব এবং অহিংসার পাশাপাশি সহিংস প্রতিরোধের প্রতি কিছু মানুষের হতাশার ইঙ্গিত ফুঁটে ওঠে। ইহাকে কি আমরা জঙ্গী তকমা দেবো?
এবার আসি অতি সম্পতির ঘটনায়।
২০২০ সালের ২৫ মে। জর্জ ফ্লয়েড হত্যা ছিল মিনিয়াপোলিসের একজন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান। তাকে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ডেরেক চৌভিনের দ্বারা নৃশংসভাবে হত্যা, যেখানে চৌভিন প্রায় ১০ মিনিট ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু গেড়ে বসেছিলেন, যা "আমি শ্বাস নিতে পারছি না" এই আর্তনাদ সত্ত্বেও চলেছিল, যার ফলে বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদ ও পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় এবং এই ঘটনায় বিক্ষোভের সময় কিছু স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো সহিংস ঘটনাও ঘটে, বিশেষত মিনিয়াপোলিসে পুলিশের একটি থানায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ইহাকে কি আমরা জঙ্গী তকমা দেবো?
এবার আসি আমাদের দেশে।
২০২৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর। শরিফ ওসমান হাদি যিনি তারুণ্যে প্রতিক হয়ে উঠেছিলেন তাকে গুলি করে হত্যা করা হলো যার জানাযায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ জমায়েত হয়েছিল যা বাংলাদেশে ইতিহাসে হয়তো ২য় বার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সেই সময় খোভের বহিপ্রকাশ করতে গিয়ে প্রথম আলো ও ডেইলী স্টারের ভবনে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হোলো। ইহাকে কি আমরা জঙ্গী তকমা দেবো? না কোন ভাবেই না। উহা ধ্বংসাত্মক ছিল তবে কোন ভাবেই জঙ্গি ততপরতা নয়। এই সত্যটি সুশিলদের বোঝানো বড় দায়! একই ভাবে দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো কোন জঙ্গি ততপরতা নয় উহা ব্যবসায়িক বিদ্বেষ থেকে সংগঠিত হত্যাকান্ড।
প্রথম আলো ও ডেইলী স্টার সব সময়ই আওয়ামী বয়ান প্রতিষ্ঠা করতো এবং তারা পরিকল্পিত ভাবে একটা চক্রে জড়িত ছিল যেটা ওপেন সিক্রেট। সেই সংগে এই দুই পত্রিকা কাছামেড়ে বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে লেগেছিল। প্রথম আলো ও ডেইলী স্টারে কমিউনিস্ট ও বাম ধারার লোক ছাড়া কেউ চাকুরী পায় না। এখন আবার মতিউর-আনাম গং ভোল পাল্টানো শুরু করেছে। মতিউর স্বীকার করেছে যে তার সাংবাদিকতা জীবনে এক-এগারো পরবর্তী খালেদা-তারেকের বয়ান ছিল ভুল।
ধ্বংসাত্মক কাজ আর জঙ্গি ততপরতা কখনোই এক বিষয় নয়। তাই আবারো বলছি দেশে জঙ্গী নেই উহা ছিল আম্লিগ ও ভারতের তৈরী। হাসিনার উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতা চিরকাল ধরে রাখা অন্যদিকে ভারতের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে করদ রাজ্য করা ও সুবধিা আদায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



