আমাদের সাহিত্য জগতের নক্ষত্র হুমায়ূন আহমেদ মারা গেলেন, বাংলাদেশের জ্ঞান বুদ্ধি আছে এমন কোনো মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে যে তাকে চেনেন না। ওনার মৃত্যর পরে কলকাতার কোনো পত্রিকা, টিভি চ্যানেল কভার করে নাই। কলকাতার মিডিয়া প্রতিবেশীর এমন শোকের সময়ে কোন কেয়ার ই করেনাই।
আর কোন টিভি সিরিয়ালের কে মারা গেসে। সব জায়গায় কান্নার রোল পড়ে গেসে। আমি ভারত বিরোধী না ছাগুদের মতন। তবে আমার আত্ম সম্মান বোধ আছে।
ভাই হাসপাতালে যান, দেখবেন শত শত স্বামী অথবা স্ত্রী তাদের জীবন সাথীর শেষ সময়ে দিন রাত পরিশ্রম করছে। এটা কোনো রেয়ার কেইস না। মূলত আমাদের দেশের জাতীয় কোন ব্যক্তিত্ব মারা গেলে ওখানে কেউ গোনেও না।
আমাদের লজ্জ্বা নাই।
ঘটনাঃ এক টিভি অভিনেত্রী মারা গিয়েছেন ভারতে, ওনার জন্য অবশ্যই খারাপ লাগছে। তবে সবাই যেভাবে শোক পালন করছে, প্রথমে মনে করলাম আমাদের জাতীয় কোনো ব্যক্তিত্ব কে আমরা হারিয়েছি। পরে দেখলাম ঘটনা অন্য কিছু। আর সবাই বাহবা দিচ্ছে সেই স্বামীকে যে কিনা শেষ পর্যন্ত পাশে ছিলো। ভাইরে ভাই, শেষ পর্যন্ত পাশে থাকা টাই তো স্বাভাবিক ছিলো তাই না? কখনো হাসপাতালে যান নাই? সেখানে দেখেন সবার স্ত্রী অথবা স্বামী, ভাই বোন, তাদের অসুস্থ স্বজনের জন্য জান প্রাণ দিয়ে লড়াই করছে। এটা তো কোনো রেয়ার কেইস না। বরং এটাই তো স্বাভাবিক।