নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু কি-সহ সকল রাজনৈতিক বন্দীর রাজনৈতিক দলে যোগদানে বাধা দিতে সম্প্রতি পাসকৃত একটি আইন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে বাতিল করতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মায়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মায়ানমার বিষয়ক গবেষক বেঞ্জামিন ঝাওয়াকি বলেছেন, “মায়ানমারে কমপক্ষে ২,২০০ রাজনৈতিক বন্দী রয়েছেন, এদের বেশিরভাগের কারারুদ্ধ হওয়ার কারণ তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অধিকার অনুশীলন করার চেষ্টা করেছিলেন।”
তিনি আরো বলেন, “মায়ানমার কর্তৃপক্ষের উচিত রাজনৈতিক বন্দীদের অধিকার খর্ব করে এমন আইন পাস করার পরিবর্তে অং সান সু কি-সহ সকল রাজনৈতিক বন্দীদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দেয়া এবং তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের উপর থেকে সকল ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেয়া।”
অং সান সু কি ২০০৮ সালের সংবিধান অনুসারে নির্বাচনে অংশে নিতে পারবেন না, কারণ সেখানে বলা আছে যে, কেউ যদি বিদেশী নাগরিককে বিয়ে করেন তবে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
বেঞ্জামিন ঝাওয়াকি বলেন, “নির্বাচনের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে সক্রিয় মানবাধিকার কর্মীরা বর্ধিতহারে নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যে, মায়ানমার সরকার তাদের শাসনের প্রতি যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
রিপ্রেশন অফ এথনিক মাইনরিটি অ্যাক্টিভিস্টস ইন মায়ানমার শীর্ষক সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মায়ানমারের বৃহৎ সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর কর্মীদের কণ্ঠরোধ করতে সরকার পদ্ধতিগতভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে। প্রতিবেদনে সতর্ক করে দেয়া হয় যে, নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মীদের বিরুদ্ধে এমনকি আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
প্রতিবেদনটি নিচে উল্লেখিত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে:
Click This Link.