গত বছরের বিতর্কিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত হওয়া একজন সাংবাদিক ও নারী অধিকার বিষয়ক প্রচারককে মুক্তি দিতে ইরানী কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ।
আপিল আদালত তার শাস্তি বহাল রাখার রায় ঘোষণার পর হেনগামেহ শাহিদি গত সপ্তাহ থেকে তেহরানের ইভিন প্রিজনে ছয়বছরের সাজা খাটা শুরু করেছেন।
সরকার বিরোধীদের ঘনিষ্ঠ সাংবাদিকদের ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে চলমান সরকারি আক্রমণের সর্বশেষ উদাহরণটি হলো হেনগামেহ শাহিদির আটকাদেশ প্রদান।
তাকে গ্রেফতারের পরপরই গত ১ মার্চ সংবাদমাধ্যম তত্ত্বাবধানকারী সংস্থা (প্রেস সুপারভাইজরি বোর্ড) পরাজিত রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মেহেদি কারুবির সমর্থক ইলিয়াস হজরতি চালিত দৈনিক ইত্তেমাদ এবং সাপ্তাহিক পত্রিকা ইরান দখত (মেহেদি কারুবির স্ত্রী ও পুত্র চালিত) বন্ধ করে দেয়।
বিধিবদ্ধ আইন মেনে পরিচালনা না করার অভিযোগে আরেকটি প্রাদেশিক সাপ্তাহিক পত্রিকা সিনা বন্ধ করে দেয়া হয়।
হেনগামেহ শাহিদির ছয় বছরের শাস্তির মধ্যে পাঁচ বছরের সাজা হলো “রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতির অভিপ্রায়ে একত্রিত ও ষড়যন্ত্রমূলক গোপন চুক্তি করা” এবং এক বছরের সাজা দেয়া হয়েছে “রাষ্ট্রীয় প্রশাসন যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচার ও প্রচারণার অভিযোগে”। আপিল আদালত “রাষ্ট্রপতিকে অপমান” করা সংক্রান্ত অভিযোগটি খারিজ করে দেয়, যার জন্য ৯১ দিনের সাজা ও জরিমানার বিধান রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ Click This Link