somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাবর্ত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় সামরিক বাহিনীর সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তদন্তের দাবি

১৮ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গত ২০ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত পাবর্ত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দা দুইজন জুম্মা আদিবাসীর মৃত্যুর ঘটনা অনতিবিলম্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

যদিও সরকারি কর্মকর্তাগণ মাত্র দু্ইজনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে কিন্তু স্থানীয় জনগণের দেয়া তথ্য মতে অন্ততপক্ষে ছয়জন আদিবাসী জুম্মা ২০ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় মারা গিয়েছেন, যদিও তাদের লাশ উদ্ধার করা যায়নি।

ঘটনার দিন নিহত দুইজন পুরুষসহ কয়েক শত জুম্মা আদিবাসী তাদের ঘরবাড়িতে বাঙালি বসতিস্থাপনকারীদের হামলার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলো। তারা নিরাপত্তার দাবী জানাচ্ছিল কারণ ১৯ তারিখ রাতে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি এলাকায় অন্ততপক্ষে ৪০টি জুম্মা আদিবাসী বাড়িতে বাঙালি বসতিস্থাপনকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। জুম্মা আদিবাসী জনগণ তাদের আদিভূমিতে বাঙালি বসতি স্থাপনকারীদের অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ জানালে তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করা শুরু হয়। প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়, এরপর বাঙালি বসতিস্থাপনকারীগণ জুম্মা আদিবাসীদের বাড়িঘরে আক্রমণ চালায় এবং আদিবাসীদের ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

২০ ফেব্রুয়ারি জুম্মা আদিবাসীরা বাঙালি বসতিস্থাপনকারীদের আক্রমণের প্রতিবাদে তাদের গ্রামগুলোতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং সেনাবাহিনী তাদের বিক্ষোভ থামাতে সেখানে আসে। সেনাবাহিনীর একজন কমান্ডার আদিবাসী জনগণকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বললে তারা বিরোধীতা করে। জানা যায়, বিক্ষোভকারীদের একজন ছুরি নিয়ে সেনা কমান্ডারকে আক্রমণ করে এবং তাকে জখম করে। সেনাবাহিনী তখন বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে তাজা গুলি ছুড়লে অন্তত দুইজন আঘাত পান, যারা পরবর্তীতে মারা যান। গোলাগুলিতে অন্ততপক্ষে ২৫ জন ব্যক্তি জখম হয়। জুম্মা আদিবাসীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে শুরু করে কিন্তু বাঙালি বসতিস্থাপনকারীরা তখন তাদের এলাকায় ঢুকে অন্ততপক্ষে ১৬০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেনা সদস্যরা তাদেরকে থামাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ https://bangla.amnesty.org/bn/reports/cht/bd
২০টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×