somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ রং নাম্বার

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়ার ইচ্ছা ছিল খোকনের। এইচ এস সি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়ে পাশ করার পর সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভাইভার জন্য ডাক পেল। ভাইভা বোর্ডে তাকে প্রশ্ন করা হলোঃ ‘তুমি কি মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের নাম শুনেছ?’
‘জি স্যার, শুনেছি।’
‘তাহলে বলো তো মওলানা ভাসানী কে ছিলেন?’
খোকন চটপট জবাব দিল, ‘তিনি বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত হকি খেলোয়াড় ছিলেন। তাই তার মৃত্যুর পর তার নামে স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়েছে।’

ভাইভা বোর্ডের শিক্ষকদের মধ্যে ডীনও ছিলেন। তিনি আবার ছাত্রজীবনে মওলানা ভাসানীর খুব ভক্ত ছিলেন। ন্যাপ বা ছাত্র ইউনিয়ন না করলেও ১৯৭৬ সালে ফারাক্কা লং মার্চের সময় তিনি তাতে অংশগ্রহণ করে মওলানা ভাসানীর সাহচর্যে আসার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন। জীবনের এই স্মরণীয় ঘটনার কথা মনে হলে আজও তিনি পুলক অনুভব করেন। কিন্তু ভর্তিচ্ছুক ছাত্রের উত্তর শুনে তাঁর ভিরমি খাওয়ার দশা হলো। অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে বোবা দৃষ্টি বিনিময় করে তিনি গম্ভীর মুখে খোকনকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি ভাসানী নভো থিয়েটারের নাম শুনেছ?’
‘জি স্যার, শুনেছি।’
‘ওখানে কি করা হয়?’
খোকন মাথা চুলকে বললো, ‘ওই যে নাটক টাটক হয় না! মঞ্চ নাটক! থিয়েটারে মঞ্চ নাটকই তো হয় স্যার।’
‘তুমি বললে, মওলানা ভাসানী বিখ্যাত হকি খেলোয়াড় ছিলেন। তাহলে মঞ্চ নাটকের থিয়েটারের সাথে তাঁর নাম এলো কিভাবে?’
খোকন একগাল হেসে বললো, ‘তিনি যে একজন নাম করা মঞ্চ অভিনেতাও ছিলেন, স্যার। তার পার্ট করা অনেক হিট নাটক আছে।’

ভাইভা বোর্ডের শিক্ষকরা সবাই চুপ। তাঁরা সবাই একযোগে অবাক হয়ে খোকনের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন দেখে খোকনের অস্বস্তি বোধ হলো। সে মাথা নিচু করে পরবর্তী প্রশ্নের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। পরবর্তী প্রশ্ন হলো এরকমঃ ‘তোমার এস এস সি ও এইচ এস সির রেজাল্ট কি?’
‘জিপিএ ফাইভ, স্যার। এ প্লাস।’
‘তুমি কি গাঁজা খাও?’
‘কি বললেন, স্যার?’
‘তুমি কি গাঁজা খাও? অথবা ফেন্সিডিল?’
‘ছিঃ ছিঃ স্যার, এসব খাবো কেন? আমাদের বংশে এসব কেউ খায় না।’
‘তাহলে হেরোইন বা ইয়াবা?’
‘ছিঃ ছিঃ।’

এই খোকন হলো সিটি মেয়র আলাউদ্দিন মিয়ার ভাগ্নে। তিনি আবার ক্ষমতাসীন সরকারি দলের ডাকসাইটে নেতা। একই সাথে একজন অনলবর্ষী বক্তাও বটে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া খোকনের জন্য সমস্যা হলো না। ভর্তি হবার ছয় মাসের মধ্যে খোকন দুটো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে ফেললো। ক্ষমতায় মামা ধামা থাকলে যা হয় আর কি! সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনে নাম লিখিয়ে খোকন একটি মাঝারী গোছের পদ বাগিয়ে নিয়ে ছাত্রনেতা বনে গেল। আর তার ক্লাসের সব চেয়ে সুন্দরী ছাত্রী ইশিতাকে সে ভালোবেসে ফেললো। ইশিতা হলে সিট পাচ্ছেনা শুনে সে ভীষণ বিচলিত হয়ে তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে একদিন প্রভোস্টের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। ছাত্রী হলের প্রভোস্ট মনোয়ারা বেগমের প্রায় শ্লীলতাহানির দশা। সিট বরাদ্দ দেওয়া তার কাজ নয়-এ কথা বার বার বলেও তিনি রেহাই পেলেন না। শাড়ি ব্লাউজ ছিঁড়ে, কপাল কেটে, চশমা ভেঙ্গে তাঁর শিক্ষকের চেহারা ভিক্ষুকের মতো হয়ে গেল। এই ঘটনায় মামলা মোকদ্দমা হলো। লাঠি, বন্দুক আর প্লাস্টিকের ঢাল নিয়ে পুলিশ দৌর্দন্ড প্রতাপে ক্যাম্পাসে টহল দিতে লাগলো। তিন দিনের মধ্যে তারা খোকনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র সংগঠনের কিছু নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করে নানারকম মামলা দিয়ে তাদের কোর্টে চালান করে দিল। বিজ্ঞ হাকিম তাদের জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মিডিয়ার লোকদের ডেকে জানালেন, অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন তাকে ক্ষমা করা হবে না। এক ডজন মাইক্রোফোনের সামনে থুঁতনি পর্যন্ত ঢেকে যাওয়া ছবিসহ তাঁর এই বলিষ্ঠ প্রতিশ্রুতির খবর টিভি চ্যানেলগুলো বার বার প্রচার করতে লাগলো।

অচিরেই ভিসির এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখা গেল। মনোয়ারা বেগমকে প্রভোস্টের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দিয়ে নিজেরাও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন। ভিসি, প্রো-ভিসি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন।
খোকন তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল করে বীরবিক্রমে শ্লোগান দিতে লাগলো, আব্দুল হাইয়ের চামড়া, তুলে নেব আমরা (আব্দুল হাই প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র সংগঠনের নেতা এবং এই ঘটনায় পলাতক)। শিক্ষক সমিতির সরকার সমর্থক সদস্যরাও মিছিল করে শ্লোগান দিলেন, প্রতিরোধের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়। দুটি মিছিলের সামনে পেছনে এসকর্ট করে পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তা দিল। অন্যদিকে কিছু নিরীহ ছাত্র ছাত্রী প্রভোস্ট মনোয়ারা বেগমকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মিছিল করে মিনমিনে গলায় শ্লোগান দেবার চেষ্টা করলে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিল।

প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র সংগঠনের সমর্থক এক ছাত্রীর সিট বরাদ্দ বাতিল করে কর্তৃপক্ষ সেটি ইশিতার নামে বরাদ্দ দিল। ছাত্রীটিকে হল থেকে বের করে দেবার সময় মেয়েদের মধ্যে চুল ছেঁড়াছেঁড়ি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলো। ছাত্রীটি কাঁদতে কাঁদতে রিক্সা বোঝাই করে বিছানা বালিশ ও বইপত্র নিয়ে চলে না যাওয়া পর্যন্ত খোকন তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে ছাত্রী হলের সামনে টহল দিতে থাকলো। ছাত্রীটির ছেড়ে যাওয়া সিটে নিজের বিছানা বালিশ পেতে হেলান দিয়ে ইশিতা মোবাইল ফোনে খোকনকে দখল পর্ব সম্পন্ন হওয়ার খবর দেয়ার পর তারা বিজয় উল্লাস করতে করতে স্থান ত্যাগ করলো।

চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত থাকায় খোকনের ফার্স্ট ইয়ারের পরীক্ষা ভালো হল না। এদিকে দেশে সংসদ নির্বাচন হয়ে ফলাফল ঘোষণার পর গনেশ উল্টে গেল। আব্দুল হাই কোমরে রিভলবার গুঁজে হিন্দি সিনেমার ভিলেনের মতো বীরবিক্রমে দলবল নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়লো এবং পুলিশ পাহাড়ায় হল দখলের উৎসবে মেতে উঠলো। রামদা’, চাপাতি ও হকি স্টিক নিয়ে দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেল। দুটো লাশ পড়ে গেল। দিনভর এ্যাম্বুলেন্সের আওয়াজে ক্যাম্পাস কেঁপে কেঁপে উঠতে লাগলো। রাতভর গুলি বিনিময়ের পর খোকন ও তার বাহিনী ক্যাম্পাস ছাড়া হলো। পরদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিসীমানায় তাদের আর দেখা গেল না। বিশ্ববিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেল।

হলগুলো সহ পুরো ক্যাম্পাস থেকে একদল মৃত ও জীবিত নেতা নেত্রীর ছবিওয়ালা পোস্টার তুলে ফেলে আর একদল মৃত ও জীবিত নেতা নেত্রীর ছবিওয়ালা পোস্টার টানিয়ে দেওয়া হল। ইশিতাকে টেনে হিঁচড়ে হল থেকে বের করে দেওয়া হল। তার মতো অনেক ছাত্র ছাত্রী হল থেকে বহিস্কার হলো। তাদের কাউকে কাউকে হলের দোতলা তিনতলা থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হলো।
তবে ইশিতা বুদ্ধিমতি মেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর সে পার্লারে গিয়ে সাজগোজ করে আব্দুল হাইয়ের সাথে দেখা করলো। বললো, ‘ভাইয়া, আমি তো কোন দল করিনা। আমার ব্যাপারটা কি একটু দেখবেন, প্লিজ!’

আব্দুল হাই ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। সবে সেকেন্ড ইয়ারে ওঠা একটি সুন্দরী মেয়ের এমন আকুল আবেদন তার মতো একজন সিনিয়র ছাত্রের হৃদয়ে আঘাত না করেই পারে না। সে ভর্তি বানিজ্য ও টেন্ডারবাজির পাশাপাশি অবশ্য কর্তব্য বিবেচনায় ইশিতাকে আবার সসম্মানে হলে তুলে দিল। এতে ইশিতা কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ক্লাসে যাওয়া আসার পথে আব্দুল হাইকে হাই, হ্যালো ইত্যাদি লাভ সিগন্যালসহ মুক্তোঝরা হাসি উপহার দিয়ে ঋণ শোধ করার চেষ্টা করতে লাগলো।

এদিকে মনোয়ারা বেগম আবার প্রভোস্ট পদে ফিরে এলেন। তিনি নতুন ভিসি, প্রো-ভিসি ও শিক্ষক সমিতির একাংশের সহযোগিতায় ছয় মাস আগের সেই লাঞ্ছনার ঘটনায় খোকনসহ এক ডজন ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করলেন। ওপর থেকে কড়া নির্দেশ পেয়ে পুলিশ চিরুনি অভিযান চালালো। শেষ পর্যন্ত এক হোটেল থেকে সুরা ও সাকিসহ ধরা পড়লো খোকন। একরাত থানা হাজতে মশার কামড় খেয়ে সকালবেলা সে কোর্টে চালান হলো। জামিন না হওয়ায় তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো জেল হাজতে। সেখানে গিয়ে মামা আলাউদ্দিন মিয়ার সাথে তার দেখা হলো। দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আলাউদ্দিন মিয়া জেলে এসেছেন এবং সিটি মেয়র হয়েও জেলে ডিভিশন না পাওয়ায় ভীষণ হম্বি তম্বি করছেন। ভাগ্নেকে দেখে তিনি হুংকার দিয়ে বললেন, ‘তোর কি কেস?’
‘সেটা তো জানিনা মামা।’
‘জানিস না মানে? তুই কি এখনো ফিডার খাস?’
‘না মামা, আপনি বুঝতে পারছেন না। আমি হোটেলে লুকিয়ে ছিলাম। এই ব্যাটা পুলিশের বাচ্চারা কোত্থেকে এক বোতল মদ আর বাজে মেয়েমানুষ এনে আমাকে ফাঁসিয়ে দিল।’
‘তোর বাপকে ফোন করে উকিল দিতে বল। এখানে বেশিদিন থাকলে চুলকানি পাঁচড়া হয়ে মরবি। সিটি মেয়র হয়েও আমি ডিভিশন পাচ্ছিনা। চোর ডাকাতদের সাথে থেকে থেকে আমার খুজলি হয়ে গেছে। সারারাত চুলকায়। খুজলি না দাদ কে জানে? আর মশার অত্যাচারে ডেঙ্গু হলো বলে!’ কথা বলতে বলতে আলাউদ্দিন মিয়া কাপড়ের ওপর দিয়ে লজ্জাস্থান চুলকে ঘা করে ফেললেন।

কারারক্ষীদের অনেকেই মোবাইল ফোনের ব্যবসা করে। আত্মীয় স্বজনের সাথে বন্দীদের গোপনে কথা বলিয়ে দেয়। প্রতি মিনিট কুড়ি টাকা। বন্দীর কাছে টাকা না থাকলে তার আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে রাহা খরচসহ টাকা আদায়ের ব্যবস্থা আছে। এমন একজন কারারক্ষীর মোবাইল ফোন নিয়ে কথা বললো খোকন। তবে তার বাবার সাথে নয়, ইশিতার সাথে। ইশিতা কল রিসিভ করলে খোকন উদগ্রীব হয়ে বললো, ‘ইশিতা, আমি। আমি খোকন বলছি।’
‘কোন খোকন?’
‘আরে আমি খোকন, খোকন।’
‘রং নাম্বার!’ ওপাশ থেকে লাইন কেটে গেল। ধুর! অচেনা নাম্বার থেকে রিং করায় ইশিতা বোধহয় চিনতেই পারলো না। শুধু শুধু কুড়ি টাকা গচ্চা গেল খোকনের। আচ্ছা, পরে আবার ট্রাই করা যাবে। অসুবিধা নাই।
*******************************************************************************************************************
রি-পোস্ট।
ছবিঃ নেট।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:২৬
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×