অনেক দিন আগে:
কোন এক গ্রামে অসৎ এক চেংড়া পোলা কালুর বড়ই গাছে ঝাকি দিয়ে বড্ড অন্যায় করেছে।
মহল্লাবাসি লবন-মরিচ নিয়ে এসে বড়ই টোকাতে টোকাতে চেংড়ার পিন্ডি চটকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বড়ইগুলো একটু চিড়ে লবন মরিচ মাখিয়ে মুখে পুরে দিয়ে: ওমাহ্! কি টকরে! ওই চেংড়া! অন্যের গাছে ঝাকি দিয়ে বড়ইতো ঠিকই পারতে পারো! মিষ্টি গাছে ঝাকি দিতে পারো না?!
আজকে তোর বিচার হবেই হবে, হতেই হবে। কত বড় খারাপ মানুষ তুই!
ওই তোরা কে কোথায় আছিস! বড়ই মুখে দিয়ে শেষ করে নে, ওর বিচার করতে হবে যে!
বড়ই গাছের নিচেই চেংড়াকে বাধা হয়েছে।
মোড়ল এলেন, গুটিকয়েক বড়ই মুখে দিয়ে বললেন: আজকের বিচারের বিষয় কি???
মহল্লাবাসি তাদের অভিযোগ পেশ করলেন: চেংড়া পোলা কালুর বড়ই গাছে ঝাকি দিয়েছে, ঠিক এইভাবে(!) বড়ই পরলো, কিন্তু মোড়লের মন ভড়লো না, এই কয়টা বড়ই পেরেছে?!
না মোড়ল সাহেব! কি যে বলেন! চেংড়া কি আর যেন তেন খারাপ?! ভালো করে দেখাচ্ছি…
এবার সবাই মিলে ঝাকি দিয়ে দেখালো, অনেক বড়ই ঝড়লো, মহল্লাবাসি পরিষ্কারভাবে দেখাতে সক্ষম হলো খিব কিভাবে বড়ই পরেছিলো।
ইতিমধ্যে লবন মরিচের মিশ্রনও শেষ, আরেক দফা আনা হলো, সবাই তৃপ্তি সহকারে খেয়ে এবার বিচারের শাস্তি কি হতে পারে তা নিয়ে আলাপ শুরু করলেন।
কত খারাপ চেংড়া! মানুষ এত খারাপ হয় কি করে!
এই চেংড়ার ফাঁসি হওয়া উচিৎ!
না না! ইতিমধ্যে সস্তা হয়ে যাওয়া ফাঁসিটাকেও যে আর বড় শাস্তি লাগছে না!!!
বড়ই এর কড়া টকে শিরশিরী ভরা দাঁতে লবন ঘষতে ঘষতে মোক্ষম শাস্তি ঠিক কি দেয়া যায় খুজতে হয়রান মহল্লাবাসি চেংড়াকে গাছের তলায় বেঁধে রেখেই যে যার ঘরে চলে গেলেন।
----------------
বর্তমানে:
চেংড়ার মতো আরেকজন ধরা পরেছে!
নাম তার পরীমনি।
সে অন্যায় কি করেছে, ঠিক কিভাবে করেছে তার সকল প্রমাণ দেশবাসী ভিডিওচিত্র শেয়ারের মাধ্যমে বিচারের প্ল্যাটফর্ম তৈরী করে মহৎ দায়িত্ব পালন করে একটু পরপর ফেইসবুকের নটিফিকেশন চেক করছেন।
ভবিষ্যতে:
দেশবাসী’র দায়িত্ব পালন থেকে শিক্ষা নিয়ে সদ্য ডেইটিং শুরু করা তরুন তার প্রেমিকার কাছে আবদার: আমাকে কিন্তু পরীমনি’র মতো কেক খাইয়ে দিতে হবে।
: এরুপ সামাজিক শিক্ষা প্রচারের দায়িত্ব আপনার, আমার, সকলের।
নইলে আমাদের ভবিষৎ প্রজন্ম সামাজিক শিক্ষা পাবে কি করে????