মৃত্যুর কি ঘ্রাণ হয়?
কেমন হয় সে ঘ্রাণ?
শিউলির মতো ম্লান নাকি কাঠগোলাপের মতো মিষ্টি?
কালো গোলাপের মতো মৃদু
নাকি বকুলের মতো বাসি হয়েও প্রখর তিব্র?
কেমন হয় সে ঘ্রাণ?
হাসনাহেনার মতো কি ঘোর ঝিম ধরানো?
যেন দু'চোখের পাতায় ঈশ্বর পরম মমতায়
ঢেলে দেয় সর্ব রাজ্যের ঘুম।
মাতালের মতো আমি তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখে চেয়ে থাকি।
কেমন হয় সে ঘ্রাণ?
আমার প্রিয়তমার দেহের মতো কি সে পরিচিত
কমলালেবু ফুলের মতো মিষ্টি কামিনীর ঘ্রাণ?
যাকে আমি প্রতিনিয়ত ভুলে যেতে চাই।
ভুলে যেতে চাই তার দেয়া প্রতিটা প্রতিশ্রুতি।
কেমন হয় সে ঘ্রাণ?
নবজাতক শিশুর মুখে মায়ের দুগ্ধের মতো পবিত্র?
নাকি নেশায় বিভোর মদারুর মুখের মতো জঘন্য?
আমারও যে খুব জানতে ইচ্ছে হয়।
যেভাবে একজন দৃষ্টিহীন মানুষ তীক্ষ্ণ ভাবে
সবকিছু ঘ্রাণে বুঝে নিয়ে পৃথক করে নেয়।
মাঝে মাঝে ভাবি আমিও যদি দৃষ্টিহীন হতাম
তবে তোমার মায়াবী চোখের ইন্দ্রজালে না জড়িয়ে
তোমার ঘ্রাণে হয়তো তোমার মন বুঝে যেতাম।
অথচ তোমার চোখে আমার মৃত্যু ছিল লেখা।
আচ্ছা সত্যি কি মৃত্যুর ঘ্রাণ হয়?
হয়তো হয়! কই আমি তো পাইনি!
যেদিন চারদিন কোমায় থেকে ফিরলাম
আইসিইউর বেডে নিজেকে সেই শিশুরমতো পেলাম।
ক্ষনিকের জন্য সব ভুলে যেন নতুন জন্ম আমার।
গাঢ়-গভীর একটা ঘুম, যে ঘুমে কোন যন্ত্রণা নেই।
এমন শান্তির ঘুমিতো আমি কতকাল চেয়েছিলাম।
অথচ ঈশ্বর আবারও আমাকে ছুঁড়ে-ফেলে দিলেন
পৃথিবী নামক একটা নরকে।
কিংবা কে জানে হয়তো নতুন কোন স্বর্গে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৩৪