আজ সকাল ৮টার দিকে আমি আমাদের স্কুলের সামনের সেই চা স্টলের সামনে বসে ফোনে গেম খেলতেছি।
হঠাত একটা ৫০-৫৫ বছর বয়সী (অনুমানিক) একটা মহিলা আমার পাশে এর দারিয়ে অনেকক্ষণ দারিয়ে রইলো,কিছুক্ষণ দারিয়ে থাকার পর হটাত বলতেছে
"অতো সুন্দর মোবিল, আমার পোলাডার লাগি যদি ইতা একটা মোবিল কিন্না দিতাম হারতাম" :-(
বলে মন খারাপ করে চলে গেলেন।
কিছুক্ষন পর আবার মহিলা টা আমার কাছে আসে বলতেছে,, "বাবা তুমার মুবিল ডা দা আমার ফোলাডার কছে একটা মুবিল কইরা দিবা দু'ডা কতা কইতাম....
কিছুক্ষণ অবাক দৃষ্টিতে এক পলক তাকিয়ে,,,
-জ্বি আন্টি নাম্বার তা দেন।
উনি - হ বাবা ইকটু হারইন আমি লাম্বর ডা লইয়া আইতাছি।
বলে জলদি হেটে কোথা থেকে যেন অনেক সুন্দর হাতের লেখা একটি মুটা কাগজ নিয়ে আসলেন,তিন টা নাম্বার ছিলো ওই কাগজে।
মহিলার চেহারায় একটা আনন্দের ছাপ দেখলাম।
পাশে দারানো অন্য একটা মহিলার কাছে বলতেছে..- লাইজ্জের দিন ফরে আমার জি ডার লগে কতা কইতাম পারুম,আমার ফোলা ডা কিরুম আছে ইড্ডা ও জানতারুম।
তখন জানলাম উনি উনার ছেলে-মেয়ে গুলি বড় করার জন্য আমাদের এলাকার মানুষের বাসায়-বাসায় কাজ করেন,, সামি মারা গেছে ৮-১০ বছর হবে।
উনার ছেলের বয়স ১৪-১৬ এর বিতর হবে আর মেয়ে ৯-১০ বছের হবে।
উনার সামি মাড়া যাবার ৭দিন আগে নাকি উনার মেয়ে হইছিলো।
উনার সাথে কথা বলার মাঝে ফোন হচ্ছে উনার ছেলের ফোনে।
৭ বার ট্রাই করলাম প্রতিবার ই ফোন তা কেটে দিলো।
মহিলার কাছে বলার পড় উনি মুখ টা ছোট করে ওই সাথে সেই মহিলাটার কাছে বলতে লাগলেন - হে সব সম ওই ইরুম করে,,যত দিন ওই কল দেই ইরুম ওই করে। একদিন ও আমি কল দিলে কল ডা দরে না। আবার বাইত গেলে দেহি হারাদিন কার লগে জানি কথা কইতে ওই তাহে কইতে ওই তাহে।
এই কথা বলে মহিলা চলে গেলেন।
চলে যাবার পর গেম স্টপ করে ভাবতে থাকলাম মা টা কত কষ্ট করে ছেলেকে সুখে রাখার জন্য,অথচ উনার ছেলে?
সারাদিন কথা বলার সময় আছে মা কত দিন ফোন দেয় কিন্তু কোন দিন ই ওই ছেলের সাথে কথা বলতে পারে না,,
সম্ভাব্য 8/9 অথবা 10 এ পড়ে উনার ছেলে,,,সারাক্ষণ ফোনে কথা বলে।
আমার ফোন দেখে বলতেছে এই রকম একটা ফোন উনার ছেলেরে কিনে দিতে পারলে ছেলে টা অনেক খুশি হতো।
কিন্তু এই ছেলে মায়ের সাথে কথা বলার টাইম নাই।
এই মায়ের কষ্ট তা দেখে আমার নিজের ও অনেক টা খারাপ লাগছে,,,,,, আসলে সব মায়েরা বুজি এরকম ই হয়।
#love_u_ammu