হঠাৎ করেই আমন্ত্রণ বন্ধুর বাড়ি। বাড়ি তাঁর মানিকগঞ্জের আরিচার যমুনার কাছে। এর আগের বার যখন তার বাড়ি যাই তখন উজানের পানির ঢলের কারণে মহাসড়ক আর উচু স্থান ছাড়া সব কিছু পানির নিচে ছিল। নৌকায় এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যেতে হত। তখন তাঁর বাড়ির মধ্যে দিন যাপন করতে হয়েছিল। তাই পরের বার যখন আমন্ত্রণ পাই শুকনা মৌসুমে, তরিঘরি করে যাত্রা করি।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর শ্বশুর বাড়ি বন্ধুর বাড়ি থেকে পাঁচ ছয় কিলো। বন্ধুর মটর সাইকেলে চড়ে যমুনার পাড় দিয়ে একেবেঁকে চলে যাওয়া রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বারবার মনে পরেছে কবির কথা। কবির শ্বশুর বাড়ি দেখে কষ্ঠ আরো বেড়েছে। যা ছবি দেখলে আপনারও বুঝবেন।
কবির তথ্যসম্বলিত সাইনবোর্ড
বাড়ির প্রবেশদার
বাড়ির অন্দরমহল
ছাদ
ছাদ থেকে দীঘির ছবি (এই দীঘিতে কবি গোসল করেন)
বাড়ির অন্য অংশের ধ্বংসাবশেষ
কাছারি ঘর
সবশেষে দিলাম যমুনা নদীর ছবি।
ছবির কোয়ালিটি ভাল না। এর জন্য দুঃখিত। মোবাইল দিয়ে তোলা। পাঁচ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
আর শিরোনামটি মুলোত গান
আমার কোন কুলে আজ ভিড়লো তরী
এ কোন সোনার গাঁয়?
আমার ভাটির তরী আবার কেন
উজান যেতে চায়?
দুখেরে কান্ডারী করি
আমি ভাসিয়েছিলাম ভাঙ্গা তরী
তুমি ডাক দিলে কি স্বপন পরী
নয়ন ইশারায় গো?
নিভিয়ে দিয়ে ঘরের বাতি
ডেকেছিলে ঝড়ের রাতি
কে এলে মোর সুরের সাথি
গানের কিনারায়?
সোনার দেশের সোনার মেয়ে
ওগো হবে কি মোর তরীর নেয়ে
এবার ভাঙ্গা তরী চল বেয়ে
রাঙা অলকায়।।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬