আপনি যদি ইসলাম না মানেন তবে এটাকে আরবের কালচার বলবেন। আর যদি মানেন তবে আগে জেনে তার পর না হয় পোস্ট দিন।
ইনশাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহ খাইরান এগুলা বলা ইবাদত। কখন এগুলো বলতে হবে তার বর্ণনা রাসুল (সাঃ) শিখিয়ে দিয়েছেন।
ক) ইনশাল্লাহ অর্থ আল্লাহ ইচ্ছা করলে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার উম্মতকে শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, বিষ্যতকালে কোন কাজ করার ওয়াদা বা স্বীকারোক্তি করলে এর সাথে “ইনশাআল্লাহ” বাক্যটি যুক্ত করতে হবে। কেননা, ভবিষ্যতে জীবিত থাকবে কিনা তা কারো জানা নেই। জীবিত থাকলেও কাজটি করতে পারবে কিনা, তারও নিশ্চয়তা নেই। কাজেই মুমিনের উচিত মনে মনে এবং মুখে স্বীকারোক্তির মাধ্যমে আল্লাহর উপর ভরসা করা। ভবিষ্যতে কোন কাজ করার কথা বললে এভাবে বলা দরকারঃ যদি আল্লাহ চান, তবে আমি এ কাজটি আগামী কাল করব। ইনশাআল্লাহ বাক্যের অর্থ তাই।
খ) আলহামদুলিল্লাহ সমস্ত প্রশংসা তাঁরই প্রাপ্য। যে কোনো সুখবর বা ভালো অবস্থা সম্পর্কিত সংবাদের বিপরীতে সাধারণত শব্দটি বলা হয়ে থাকে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ সবচেয়ে উত্তম দোআ হলো আলহামদুলিল্লাহ।---তিরমিযীঃ ৩৩০৫, ইবনে মাজাহঃ ৩৭৯০
তোমরা প্রতি সালাতের পরে তেত্রিশ বার করে তাসবীহ, তাকবীর ও তাহমীদ করবে। (সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ও আলহামদুলিল্লাহ পড়বে)।---বুখারী: ৮৪৩, মুসলিম: ৫৯৫
গ) ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ অর্থ আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিন
একবার উসাইদ বিন হুযাইর রাযি. কোন এক প্রেক্ষিতে শুকরিয়া স্বরূপ রাসূল ﷺ -কে বললেন, ‘জাযাকাল্লাহু খায়রান’ বা ‘জাযাকাল্লাহু আত্বইয়াবাল জাযা’। উত্তরে তিনি বললেন, ‘ফা জাযাকুমুল্লাহু খায়রান’ বা ‘ফা’জাযাকাল্লাহু আত্বইয়াবাল জাযা’।
------ (নাসাই কুবরা ৮০২৪ ইবনে হিববান ৭২৭৭ মুসতাদরাক হাকিম ৪/৭৯)
তোমরা যদি জানতে, তোমাদের ভাইদের জন্যে তোমাদের বলা কথা ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ এর মধ্যে কী কল্যাণ নিহিত রয়েছে, তাহলে একে অন্যের সাথে প্রতিযোগী হয়ে বেশি বেশি ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলতে।--- (মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবাহ ৫/৩২২)
কখন সালাম দিতে হবে তার নিয়ম জেনে তার পর না হয় কমেন্ট করি।
১. একজনকে সালাম দেওয়ার পর গাছ বা দেওয়ালের আড়াল হয়ে পুনরায় দেখা হলে আবার সালাম দেওয়া সুন্নাত। যেহেতু আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন, ‘‘তোমাদের কারো নিজ ভায়ের সাথে সাক্ষাৎ হলে তাকে সালাম কর। অতঃপর উভয়ের মাঝে কোন গাছ কিংবা দেওয়াল কিংবা পাথর আড়াল হওয়ার পর আবার সাক্ষাৎ হলে আবার সালাম দাও।’’--- আবূ দাঊদ হা/৫২০০
২. "নামাযরত মুসল্লীকেও সালাম দেওয়া বৈধ। অবশ্য মুসল্লী মুখে কিছু না বলে কেবল হাত অথবা আঙ্গুলের ইশারায় সালামের উত্তর দেবে।"---- মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/৫৪০, আবূ দাঊদ হা/৯২৫
৩. আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন, ‘‘তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না মু’মিন হয়েছ; আর ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতেও পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপোসে সম্প্রীতি কায়েম করেছ। আমি কি তোমাদেরকে এমন এক কাজের সংবাদ দেব না, যা করলে তোমাদের আপোসে সম্প্রীতি কায়েম হবে? তোমরা আপোসের মধ্যে সালাম প্রচার কর।’’ ---মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/৫৪
৪. রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘‘সবচেয়ে বড় চোর সে, যে নামায চুরি করে এবং সবচেয়ে বড় বখীল সে, যে সালাম দিতে বখীলি করে।’’---সহীহুল জা’মে হা/৯৬৬
৫. ‘সবচেয়ে বড় অক্ষম সে, যে দু‘আ করতে অক্ষমতা প্রকাশ করে এবং সবচেয়ে বড় কৃপণ সে, যে সালাম দিতে কৃপণতা করে।’---সহীহুল জা’মে হা/৯৬৬, আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/১০৪৪
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৬