somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাঝখানের ইসলাম

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবীতে এখন ইসলামের গরম এবং নরম পদ্ধতি চলমান , কিন্তু মাঝখানের ইসলাম পূর্ণভাবে বিলুপ্ত , যদিও মাঝখানের ইসলামই একমাত্র ইসলাম । তাছাড়া মাঝখানের ইসলাম সংজ্ঞায়িত হবে বর্তমান অনুযায়ী এবং শতাব্দীর মুজাদ্দিদগনও ইসলামকে সংজ্ঞায়িত করবেন বর্তমান অনুযায়ী । মাঝখানের ইসলাম এবং শতাব্দীর মুজাদ্দিদগন কখনোই অতীত অনুযায়ী চলবেন না এবং ভবিষ্যৎ অনুযায়ীও চলবেন না , বরং সম্পূর্ণরুপে বর্তমান অনুযায়ীই চলবেন । আর এটাই চিরসত্য ।



বর্তমানের করোনা নামক মহাসংকট থেকে উত্তরণের পথ একটাই , আর তা হলো - বর্তমানের উপস্থিত মুজাদ্দিদের সংজ্ঞায়িত ইসলামের পূর্ণ আনুগত্য করা । আর বর্তমানের মুজাদ্দিদ যেমনিভাবে নামাজে নিজেকে ভুলে যান , আবার তেমনিভাবে গানও দেখেন , যাতে করে তিনি হৃদয়কে সংগীত দ্বারা চাপমুক্ত করেন এবং পুনরায় হৃদয়কে একনিষ্ঠ ইবাদতের জন্য প্রস্তুত করেন । অন্যদিকে যারা সংগীত দেখেন না ( এটা যেকোনো সংগীত ) , তারা বর্তমানে কোনোভাবেই একনিষ্ঠ ইবাদত করতে পারবেন না । আল্লাহর কসম করে বলছি পারবেন না । তারা মনকে চাপমুক্ত না করার কারণে কখনোই হৃদয়ের ভিতর থেকে ইবাদত করতে পারবেন না । আর এজন্যই খিযির আঃ আমাকে গান দেখার পূর্ণ অনুমতি দিয়েছেন এবং সুক্ষ্ম চিন্তার উৎসাহ দিয়েছেন ।



গরম ইসলামে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে জঙ্গিরা , অথচ এদের ভিতরে সামান্যতম ঈমান নেই , কারণ এরা হিংসুক এবং চরম জেদি । এদের যে সামান্য ঈমান রয়েছে তা মহাশূন্যে অবস্থান করে । আবার যারা উগ্রবাদী রাজনীতি করে তাদের ঈমানও মুখের তালুতে অবস্থান করে । মুসলিম ব্রাদারহুড , জামাত ইসলামের মতো দলগুলো হলো উগ্রবাদী দল । জঙ্গিবাদী এবং উগ্রবাদী , এদের কারো ঈমানই পরকাল পর্যন্ত পৌঁছবে না । এছাড়াও উগ্রবাদীদের তালিকায় আরো আছেন আহলে হাদিসগন ।



চরমোনাই এবং হেফাজত , এদের ইসলামও চামড়ার নিচে । চামড়ার অনেকগুলি স্তর আছে , সবার উপরে থাকে মৃত কোষের স্তর , চরমোনাই এবং হেফাজতদের ইসলাম সেই মৃত কোষের স্তরের নিচে অবস্থান করে । এরা যখন বক্তৃতা দেয় , তখন এদের ঈমান মুখের চামড়ার নিচে অবস্থান করে এবং রক্তের প্রচাপনে ঈমানটা জ্বলজ্বল করে , কিন্তু সকল মানুষের কর্তব্য হলো ঈমানকে হৃদয়ে ধারণ করা । আপনারা এদের বক্তৃতার সময় লক্ষ্য করলে দেখবেন এদের ঈমান মুখের চামড়ার উপরেই জ্বলজ্বল করতেছে , আর তারা যে কান্না করে , তার কারণ হলো অভিনয় । যাতে করে মুরিদরা তাদের বশে থাকে । প্রকৃতপক্ষে এদের ঈমানও পরকাল পর্যন্ত পৌঁছবে না ।



এভাবে এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীসহ যারাই কঠোর ইবাদতের আদেশ দেয় , তাদের ইসলাম কন্ঠনালী পর্যস্ত পৌঁছে না বরং আলাজিহ্বা পর্যন্ত থাকে । এদের ঈমানও পরকাল পর্যন্ত পৌঁছবে না ।



নরম ইসলামের মধ্যে তাবলীগ জামাত জাকের পার্টি , ভন্ডপীরসহ সবারই ঈমান শরীরের বাইরে বাতাসে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে , এদের ঈমানও পরকাল পর্যন্ত পৌঁছবে না ।



এখন আমরা মাঝখানের ইসলাম নিয়ে দুই একটি কথা বলবো -



মাঝখানের ইসলাম বুঝার আগে আমাদের বর্তমান পৃথিবীর হালচাল পূর্ণভাবে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে । বর্তমানে টিভি নেট এতটাই সহজলভ্য যে , এটাকে হারাম বললে সমস্ত লোক চরম মানসিক চাপে পড়বে এবং সবাই লোকদেখানো ইবাদত করতে বাধ্য হবে । উপরে বর্ণিত দলের সকল লোক এরকম লোকদেখানো এবং ভাসা ভাসা ইবাদত করে থাকে । তাছাড়া আমার টাইম লাইনে সমস্ত লেখাই মাঝখানের ইসলাম নিয়ে বা মাঝখানের ইসলামকে উদ্দেশ্য করে লেখা এবং আরো শিখতে চাইলে আমার লেখাসমূহ অনুসরণ করতে থাকুন ।



প্রিয় বিশ্ববাসী , আমি টিভি নেট দেখাকে যেভাবে জায়েজ বলেছি , সেভাবে অবশ্যই জায়েজ , তাছাড়া , আমি অনেক সময় প্রচুর গান দেখি ( যেকোনো গান ) এবং এটাকে আমি মুবাহ মনে করি । যেহেতু খিযির আঃ আমাকে গান দেখার পূর্ণ অনুমতি দিয়েছেন এবং সুক্ষ্ম চিন্তার উৎসাহ দিয়েছেন । আর এটাই বর্তমানের ইসলাম । আমি গানও দেখি , আবার এমন নামাজে রত হই যে , যাতে নিজেকে ভুলে যাই , আর এটা অন্যকেউ পারবে না , কারণ তারা গান দেখে না ।



আমার পরিবার ব্যাতীত অন্যকেউ যদি আমার গান দেখার সমালোচনা বা হাসি ঠাট্টা করে , তা সে যত বড়ো বন্ধু বা আত্মীয় হউক না কেনো , তার উপর আল্লাহ এবং মানুষ ও জ্বীন ব্যাতীত সমস্ত সৃষ্টির লানত । সে ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরন করতে পারবে না । কারণ যে গান দেখার সমালোচনা করবে , আসলে সে গানকে প্রচন্ড ভালবাসে এবং গান না দেখলে একনিষ্ঠ ইবাদত করতে পারে না ।



প্রিয় বিশ্ববাসী , মাঝখানের ইসলামে আমি একাই অবস্থান করিতেছি , আছে কি কোনো সাহসী যোদ্ধা , যে আমার মাঝখানের ইসলামে সাথী হবেন । এটা ঠিক যে , তাকে আমার পছন্দ হতে হবে , নতুবা দূরে থেকেই আমার পূর্ণ আনুগত্য করুন । যে ভাগ্যবান আমার নিকটবর্তী হবেন তিনি খুব দ্রুত আধ্যাত্মিকতার অসংখ্য স্তর অতিক্রম করবেন এবং অসংখ্য অলৌকিক চাক্ষুষভাবে দেখতে পাবেন ইনশাআল্লাহ ।



( ডাঃ আকন্দ ) ।
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×