somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মডারেট মুসলিমের শত্রুরা

১০ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইমাম গাজ্জালী একদিন লিখতেছিলেন , হঠাৎ লিখা বন্ধ করে কলম ফেলে দিলেন । লিখা বন্ধ করার কারণ ছিলো - ইমাম গাজ্জালীর হৃদয়ে লিখার মাধ্যমে মান ইজ্জতের আকাংখার উদয় হয়েছিলো । অতঃপর কান্নাকাটি শুরু করলেন এবং মহান আল্লাহর নিকট লিখার দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাইলেন । এমন সময় মহান আল্লাহ তাকে ইলহাম নাযিল করলেন যে , হে গাজ্জালী তুমি যদি লিখা বন্ধ করো তাহলে তুমি জাহান্নামি হয়ে যাবে । আর এই ঘটনার পর গাজ্জালী লিখলেন - যদি কেউ কোনো বই লিখে এবং সেই বই অন্য কেউ চুরি করে দ্বিতীয় কোনো ব্যাক্তির নামে ছাপিয়ে দেয় , আর প্রথম ব্যাক্তি নিজের নাম না থাকার কারণে যদি সামান্যটুকু কষ্টও পায় , তাহলে প্রথম ব্যাক্তি বই লেখার কারণে সওয়াব তো পাবেই না , উল্টো তার গুনাহ হবে । প্রিয় বিশ্ববাসী উপরোক্ত ঘটনার প্রথম অংশ কোনো বইয়ে পাবেন না , কিন্তু প্রত্যেকের ভিতর যে ফেরেশতা আছে , সে তাকে এই ঘটনা বিশ্বাস করার তাগিদ দিবে ।



মূল আলোচনায় আসি - প্রায় সব দলই নিজেদেরকে মধ্যপন্থী মুসলিম দাবি করে । কিন্তু জাতে হক্বের কসম করে বলছি , আমার নীতিমালা অনুযায়ী "মডারেট মুসলিম"ই হচ্ছে একমাত্র মধ্যপন্থী দল ।



প্রিয় বিশ্ববাসী , আমার দলের শত্রু শুধু মৌলবাদীরা নয় বা জঙ্গিবাদীরা নয় , বরং আধুনিক মুসলিমরাও । বিশেষ করে বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠিত মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা , যারা হিন্দু ধর্মের একজন বড়ো পন্ডিত রবীন্দ্রনাথকে নবীর মতো মান্য করে ( নাউজুবিল্লাহ ) । কথায় কথায় এইসব বুদ্ধিজীবীরা রবীন্দ্রনাথকে রেফারেন্স দেয় । যেখানে প্রত্যেক মুসলিমের রেফারেন্স দিতে হবে কোরান হাদিস বা পূর্ণ ইসলামিক স্কলারদের থেকে । আসলে এইসব বুদ্ধিজীবীরা রবীন্দ্রনাথের উম্মত ( নাউজুবিল্লাহ ) । আব্দুল গাফফার চৌধুরী , মুহাম্মদ জাফর ইকবাল , আনিসুল হক , অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ , একাত্তর টিভির সাংবাদিকগনসহ অনেকেই নামে মুসলিম , কিন্তু কাজে মুশরিক এবং এরা রবীন্দ্রনাথের সর্বোচ্চ মাত্রার অনুসারী । আর আমাদের জন্য তথা মডারেট মুসলিমের জন্য মৌলবাদীরা বা জঙ্গিবাদীরা যেমন প্রতিবন্ধক , তেমনি প্রায় সমান প্রতিবন্ধক এই রবীন্দ্রনাথের অনুসারীরা ।



বর্ণিত বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশের যেসব দলকে বুদ্ধি দিয়ে থাকেন , এরা অবশ্যই মডারেট মুসলিমকে প্রবল বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন । সন্দেহ নাই । কিন্তু মহান আল্লাহর দয়ায় আমরা সব বাঁধা পেরিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ ।



এবার গাজ্জালীর ঘটনা বলার কারণ বর্ণনা করছি - বর্তমানে রমজান চলছে , বেশিরভাগ মানুষই ২০ রাকাত তারাবি পড়ছেন । কিন্তু আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি এখন মানুষের ২০ রাকাত তারাবি পড়ার ক্ষমতা নেই । দলীল - কোরানের ৮ নম্বর সুরার ৬৫ , ৬৬ আয়াত । তবে যেকোনো ব্যাক্তির জন্য ১০০ রাকাত নফল নামাজ পড়তে কোনো কষ্ট নেই , কারণ ২০ রাকাত তারাবিকে আবশ্যিক ধরা হয় , আর ১০০ রাকাত নফল নামাজ ঐচ্ছিক । অতএব ২০ রাকাত তারাবি যারা পড়ছেন , তারা সুস্পষ্ট পরোক্ষ শিরক করছেন তথা লোক দেখানো ইবাদত করছেন । আমি ৮ রাকাত পড়ছি এবং পরম শান্তি ও তৃপ্তি নিয়ে অত্যন্ত মোহাব্বতের সাথে আদায় করছি । অথচ এমন জায়গায়ও আছে যেখানে এক রমজানের তারাবিতে কয়েক খতম কোরান পড়া হয় , আল্লাহর কসম করে বলছি এটা ইবাদত নয় , বরং চরম জুলুম এবং শিরক । এজন্যই লোকমান হিকিম শিরককে চরম জুলুম বলেছেন ।



প্রিয় মুসলিম , গাজ্জালীর সামান্য সময় ইজ্জতের আকাংখা উদয় হওয়ার কারণে লিখা বাদ দিতে চেয়েছিলেন , অথচ তুমি লোক দেখানো নামাজ পড়ছো , রমজানের মতো মহাপবিত্র ও মহারহমতের মাসে । ধিক এবং শত ধিক তোমার জন্য ।



প্রিয় মুসলিম , এই ইবাদতের নামে শিরক করার জন্যই রবীন্দ্রনাথ অনুসারীদের চাইতে মৌলবাদীরা বেশি ভয়ংকর । আব্দুল গাফফারদের শত্রুতা দেখা যায় , কিন্তু মৌলবাদী বা জঙ্গিবাদীদের শত্রুতা দেখা যায় না । আর একারণেই মৌলবাদীরা মডারেট মুসলিমের বড়ো শত্রু , তবে রবীন্দ্রনাথ অনুসারীরাও কম যায় না ।



এদের ছাড়াও মুসলমান নামের মুনাফিকরা মডারেট মুসলিমের জন্য চরম আতংক , কারণ এদেরকে সবাই চিনতে পারে না । এদেরকে চেনার জন্য আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ নুরের প্রয়োজন হয় এবং মুনাফিকদের সাথে কিছু সময় কথোপকথনের প্রয়োজন হয় । সত্যিকার অর্থে মডারেট মুসলিমের জন্য এক মহাপরীক্ষার নাম মুনাফিকের দল ।



এসব ছাড়াও বর্তমানে সকল কাফের মুশরিকরা আমাদের চরম শত্রু । কারণ কাফের মুশরিকরা সর্বোচ্চ মাত্রায় জেদি , অহংকারী , লোভী , হিংসুক এবং চরম ঈর্ষাপরায়ণ । তাছাড়া কাফির মুশরিকরা ছাড়াও এখন সকল মানুষের মাঝেই এই খারাপ গুণগুলো সর্বোচ্চ মাত্রায় বিরাজমান । ইনশাআল্লাহ এই খারাপ গুণগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য মহান আল্লাহ আমাকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন ।



অতএব , আমার দল মডারেট মুসলিমে যোগ দিন এবং আমার পূর্ণ আনুগত্য করুন ।



( ডাঃ আকন্দ ) ।
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×