প্রিয় বিশ্ববাসী , বর্তমানে প্রায় সকল লোকই লোক দেখানো বা লোকের ভয়ে ইবাদত করে । যা পূর্ণ শিরক । বর্তমান সময়ে পায়খানা থেকে বের হয়ে অযু করা একটি আধুনিক অভ্যাসে পরিনত হয়েছে , যা মানুষের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতার বাইরে , আর এজন্যই এটা পরিপূর্ণ শিরিকি আমল । তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিত পায়খানা থেকে বের হয়ে তায়াম্মুম করা । এছাড়াও স্ত্রীসহবাসের পর ঘুমানোর ইচ্ছা করলে , তখন অযু না করে তায়াম্মুম করা কর্তব্য । কারণ অযু করলে তা লোকদেখানো হবে এবং শিরক হবে । আর এটা সারাজীবনই হবে ।
তায়াম্মুম একটি বিস্তর আলোচনা , তাই এখানে সংক্ষিপ্ত করে বলা হলো । বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে ভোগে , সেক্ষেত্রে অযু করলে রোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে । অথচ মানুষ লোকের ভয়ে বা লোক দেখানো অযু করে , যা পূর্ণ শিরক । তবে কেউ কেউ ওজরের কারণে এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও অযু করে , সেক্ষেত্রে তার শিরক হবে না । আর এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য অর্থাৎ তায়াম্মুমকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সবাইকে কিছু কাজ করা উচিত । কমপক্ষে এই দোয়া করা উচিত যে , হে আল্লাহ এমন এক সংস্কারক পাঠাও , যিনি বর্তমান দুর্বল মানুষদের জন্য দ্বীন ইসলামকে সহজ করে দিবেন এবং মানুষ ইসলামকে সহজভাবে পালন করতে পারবে ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , আমাকে সমস্ত শিরক ধ্বংস করার জন্য পাঠানো হয়েছে । কিন্তু কিছু ধর্ম থাকবে , যারা চরম উৎকণ্ঠা ও চরম অস্থিরতার সহিত এবং চরম সন্দেহ ও সংশয়ের সহিত শিরক করবে । কারণ আমি সত্যকে সবার হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করবই ইনশাআল্লাহ । কিন্তু তাদের নফস তাদের হৃদয়ের কথাকে প্রতিষ্ঠিত করতে দিবে না । অতঃপর আমি সমস্ত মৌলবাদ , সমস্ত জঙ্গিবাদ এবং লোকদেখানো ধর্ম ধ্বংস করবই ইনশাআল্লাহ , কমপক্ষে প্রত্যেকের বিবেকে । তাছাড়া আমি প্রচুর গান দেখি এবং এক্ষেত্রে আমি কাউকেই পরওয়া করি না । আর শিরককে ধ্বংস করাই আমার কাজ ।
প্রিয় মুসলিম , যদি আপনারা ভালো ঔষধ পান এবং ঠান্ডা পানিতে রোগ বৃদ্ধি না ঘটে , তবে অযু করবেন । তাছাড়া যে ব্যাক্তির ঠান্ডা পানিতে রোগ বৃদ্ধি ঘটে , তার গরম পানিতেও কিছু রোগ বৃদ্ধি ঘটবে , তাই তার জন্য একমাত্র পদ্ধতি তায়াম্মুম ।
এখন অনেক ঔষধ আছে , যা খেলে ঠান্ডা নিয়ন্ত্রণে থাকে অথবা ভালো হয়ে যায় , আবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণেও থাকে না এবং ভালোও হয় না , অতএব , যেখানে চিকিৎসায় ভালো কাজ হয় , সেখানে নামাজের জন্য অযু করতে হবে , আর যেখানে চিকিৎসায় ভালো কাজ না হয় , সেখানে তায়াম্মুম করতে হবে । এটাই এখন সব মাজহাবকে মানতে হবে ।
অযু করে নামাজ পড়লে অনেক মজা পাওয়া যায় , যেটা তায়াম্মুম করে পড়লে পাওয়া যায় না । কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে অযু করলে তা সম্পূর্ণ লোকদেখানো ইবাদত হয়ে যায় এবং তখন তায়াম্মুম করাই কর্তব্য । তাছাড়া তায়াম্মুম করলে যদি চরম অপমানের আশংকা থাকে , তবে তখন অযু করাই কর্তব্য ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।