গত ২০০ বছর ধরে বিজ্ঞানের ব্যাপক উৎকর্ষতা হচ্ছে , এখন বিজ্ঞান উচ্চ শিখরে আরোহিত । গত ২০ - ৩০ বছর ধরে মোবাইল এবং রাসায়নিক সমৃদ্ধ খাবার মানুষকে একেবারে দুর্বল করে দিয়েছে । রাসায়নিক খাবার খেয়ে মানুষ অসুস্থ হওয়ার পর , পুনরায় সুস্থ হওয়ার জন্য আবার সেই রাসায়নিক ঔষধই খাচ্ছে । কি অদ্ভুত ব্যাপার !
তারপর আবার বেশিরভাগ মানুষ সর্দ্দি কাশি টনসিলাইটিস ও হাঁপানিতে আক্রান্ত । মানুষ তাহলে কতটা দুর্বল, একবার ভাবুন । এই দুর্বল মানুষের উপর এখনকার মুসলিম স্কলাররা সেই ১৪০০ বছর পূর্বের পূর্ণাঙ্গ ইসলাম চাপিয়ে দিচ্ছে । তাদের কথায় ইসলামে কখনোই কোনো কম বেশি করা যাবে না । ১৪০০ হিজরি বলুন , আর কিয়ামতের পূর্বেই বলুন , ইসলামে কোনো কম বেশি করা যাবে না । আল্লাহর কসম এদের চাইতে বড়ো জালেম এবং বড়ো মূর্খ একটাও নেই ।
বর্তমান জামানায় প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষ ঔষধের অছিলায় সুস্থ থাকার চেষ্টা করে । অনেক মানুষ এমনও আছে , যারা খাবার সংগ্রহের পূর্বে ঔষধ সংগ্রহ করে । তারপরও এই দুর্বল মানুষের উপর সেই ১৪০০ বছর পূর্বের পূর্ণাঙ্গ ইসলাম চাপিয়ে দেয়। অথচ কোরান হাদিস মতে এখন ১০ ভাগের ১ ভাগ আমল করলেই পরকাল মুক্তি নিশ্চিত । তবে ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ পরিপূর্ণ মানতে হবে এবং মানুষের হক তথা সৃষ্টির হকও পরিপূর্ণ আদায় করতে হবে ।
প্রিয় মুসলিম আমার কথা স্পষ্ট , এখন অধিকাংশ মানুষ সর্দ্দি কাশি টনসিলাইটিস ও হাঁপানিতে আক্রান্ত । তাছাড়া প্রায় সব মানুষ শারিরীক এবং মানসিকভাবে দুর্বল । এজন্য প্রায় সব মানুষের জন্যই পবিত্রতা অর্জনের জন্য অযুর বদলে তায়াম্মুমের প্রচলন করা আবশ্যিক তথা ফরজ । এখানে পানি গরম বা চিকিৎসার কথাও প্রযোজ্য হবে না । কারণ মানুষ এখন একেবারেই দুর্বল । আমার মতে প্রতিটি মসজিদে তায়াম্মুমের জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত । যাতে মানুষ সহজে তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করতে পারে ।
আরেকটি বিষয় হলো - বিয়ের সময় বর কনে , বিশেষ করে কনে অনেক সাজ সজ্জা করে থাকে । তাই তাদের অযু করা সম্ভব হয় না । এজন্য তো নামাজ ছাড়া যাবে না । তাই বর কনেও তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করবে । বর কনে তায়াম্মুমের সময় হাত দ্বারা মুখে শুধু হালকা চাপ দিবে , আর তাতেই মাসেহ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ ।
প্রিয় মুসলিম এটা আমার ব্যাক্তিগত মত না , বরং কোরান হাদিস দ্বারা বর্তমানের জন্য সাব্যস্ত । তাই এই বিধানকে ঘৃণা করে কেউ জালেম হবেন না । এই বিধানকে যারা ঘৃণা করবে , তারা জালেম সাব্যস্ত হবে এবং পরে ইমানহারা হয়ে যাবে। যদি মৃত্যুর পূর্বে তওবা না করে এবং উক্ত বিধান মেনে না নেয় , তাহলে তার মৃত্যু ইমানহারা অবস্থায় হবে এবং চিরজাহান্নামী হবে । এখন প্রায় শতভাগ মানুষই দুর্বল এবং অসুস্থ । তাই সবাই তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করতে পারবে । শীতকালে তো পারবেই , গরমকালেও সামান্য ওজর থাকলে তায়াম্মুম করতে পারবে । তাছাড়া যদি গোসল ফরজ হয় তাহলে গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে বা ঠান্ডা অল্প পানি দিয়ে গোসল করতে হবে । বেশি অসুস্থ হলে তায়াম্মুমই যথেষ্ট ।
কোনোভাবেই নামাজ ছাড়া যাবে না । তায়াম্মুম করুন এবং নামাজ আদায় করুন । কে কি বললো সেটার দিকে ভ্রূক্ষেপ করবেন না । এভাবেই বর্তমানে নামাজ প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ । যা অযুর মাধ্যমে সম্ভব নয় । কারণ মানুষ খুবই দুর্বল । পূর্ববর্তী হক সুফিদেরকে ভালবাসুন এবং তাদের অছিলা দিয়ে ধ্যান করুন ও দোয়া করুন , ইনশাআল্লাহ সফলকাম হতে পারবেন ।
( জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ ) ।