আল কোরানের ৯ নম্বর সুরা আত-তাওবাহ এর ১০২ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন - এমন অনেক লোক আছে , যারা মিশ্রিত আমল করেছে , ভালো ও মন্দ কাজের মিশ্রিত আমল এবং পরে তওবা করেছে, আশা করা যায় আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন ।
বিভিন্ন তাফসির গ্রন্থে এই আয়াত সম্বন্ধে বলা হয়েছে যে , এটা কয়েকজন সাহাবীর যুদ্ধে না যাওয়ার কারণে অবতীর্ণ হয়েছে । তবে তাফসিরকারকগন এটাও বলেছেন যে , মিশ্রিত আমলের উদাহরণটা কিয়ামত পর্যন্ত সকল লোকের জন্য প্রযোজ্য হবে ।
বর্তমান পৃথিবীতে অনেকে নামাজও পড়ছে পাশাপাশি পাপ কাজও করছে অথবা নামাজের ভিতরও পাপ চিন্তা করছে । উপরোক্ত আয়াত অনুযায়ী তাদের একেবারে হতাশ হওয়ার কিছু নেই । শেষে তওবা করলে বা তওবা করার ইচ্ছা রাখলে , আল্লাহ তাকে মাফ করবেন ইনশাআল্লাহ । আর এই একবিংশ শতাব্দীতে বা এই অশ্লীল যুগে মিশ্রিত আমল একেবারেই স্বাভাবিক । কিন্তু সর্বদা একনিষ্ঠ আমলের চেষ্টা করতে হবে এবং একদিন সে সফল হবে ইনশাআল্লাহ ।
মোটকথা হলো - এখন মানুষ একেবারেই দুর্বল । তাই প্রথমে - তোমার আকিদা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অনুসারী করো এবং পরে তুমি যতো বড়ো পাপই করো না কেনো , পাশাপাশি ইবাদত করে যাও এবং অনেক বেশি ইবাদত করে যাও , অন্য কারো সমালোচনায় মনঃক্ষুণ্ন হইও না এবং কোনোভাবেই ইবাদত ছেড়ো না , যদিও অনেক বড়ো পাপের কাজ করতে থাকো । তবে পাপ কাজ থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করতে হবে । একদিন সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ । কিন্তু সৃষ্টির হক কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না ।
ইউরোপ আমেরিকার মুসলমানদের বলবো - তুমি যেমন জীবনযাপনই করো না কেনো , পাশাপাশি ইবাদত করে যাও । তবে মানুষের হক নষ্ট করো না এবং মানুষের মনে কোনো দুঃখ দিও না । এমনকি এক টাকার হকও নষ্ট করো না এবং সামান্যতম মনে কষ্ট দিও না । অতঃপর পাপ থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করতে হবে । ইনশাআল্লাহ আশা করা যায় , মহান আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করবেন এবং জান্নাত দান করবেন ।
( জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ ) ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




