গত ২০০ বছর ধরে মুসলমানরা ব্যাবসা বানিজ্য ছেড়েছে এবং জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা ছেড়েছে , ফলশ্রুতিতে মুসলমানরা এখন তাদের শত্রুদের চাইতে লক্ষ কোটি গুণ দুর্বল জাতিতে পরিণত হয়েছে । তাই এখন মুসলমানদের কর্তব্য হচ্ছে নতুন উদ্যমে ব্যাবসা বানিজ্য শুরু করা এবং জ্ঞান বিজ্ঞানের ব্যাপক চর্চা করা । কিন্তু এখন যদি মুসলমানদের শত্রুরা মুসলমানদের উপর হামলা পরিচালনা করে তাহলে মুসলমানদের মৃত্যু ছাড়া আর কোনো পথ নেই । এজন্য এখন সব মুসলমানদের বলবো তোমরা সর্বদা শাহাদাতের জন্য প্রস্তুত থাকো এবং পাশাপাশি অর্থ ও অস্ত্র অর্জনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করো ।
বর্তমান মুসলিমরা মনে করে সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের হারানো গৌরব আবার ফিরে পাবে । আল্লাহর কসম করে বলছি এটা সম্পূর্ণ ভুল । মুসলমানদের শত্রুরা মুসলমানদের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ লালন করে , যাতে মুসলমানরা দুর্বল থাকে , আর কিছু মুসলিম নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসবাদ লালন করে ইসলাম ও মুসলমানদের ধ্বংস করছে । তাছাড়া মুসলমান ও ইসলাম ধ্বংসের দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা । মুসলমানরা শুধু আরবি ব্যাকরণ নিয়ে মহাখুশি এবং বলে আমরাই সবচাইতে বেশি শিক্ষিত । আসলে এরা সবচাইতে বড়ো মূর্খ । এই আরবি ব্যাকরণের মাদ্রাসা ঘরে ঘরে তৈরি করে মুসলিম জাতিকে এরা পঙ্গু বানাচ্ছে । অথচ এই মূর্খের দল নিজেদের মহাপণ্ডিত মনে করছে ।
হে মুসলিম ভালো করে চেয়ে দেখো ইরানের প্রতি , তারা বড়ো বড়ো বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে জ্ঞান বিজ্ঞানের ব্যাপক চর্চা করে যথেষ্ট শক্তি অর্জন করেছে , ফলে কেউ ইরানে হামলা করতে দশবার ভাবছে । এভাবে সব মুসলিম দেশকে আগাতে হবে ইনশাআল্লাহ । পাকিস্তানেরও অস্ত্র আছে এবং এ অস্ত্র কোনো ব্যাকরণ পড়ুয়া বানায়নি, বরং বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা তৈরি করেছে । যদিও বর্তমান পাকিস্তানে অধিক মাদ্রাসা হওয়ার কারণে দেশটি একেবারে গরিব হয়ে গেছে । আর নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসবাদ লালন করে , যার ফলশ্রুতিতে দেশটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ।
তাই বলছি , হে মুসলিম অমুসলিমদের ষড়যন্ত্র সন্ত্রাসবাদ ছাড়ো , প্রচন্ডভাবে ব্যাবসা বানিজ্য করো এবং বড়ো বড়ো বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে জ্ঞান বিজ্ঞানের ব্যাপক চর্চা করো , তাহলেই আবার মুসলমানরা তাদের হারানো গৌরব ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ । এজন্য আমার দল "মডারেট মুসলিম" এ যোগ দাও এবং সহজ "আধুনিক ইসলাম" মান্য করে সহজেই জান্নাত প্রাপ্তি নিশ্চিত করো ইনশাআল্লাহ । আর এর আগ পর্যন্ত পূর্ণ মানবাধিকার মান্য করো এবং ফরজ ওয়াজিব আমলগুলি আদায় করে শাহাদাতের জন্য প্রস্তুত থাকো । এই শাহাদাতই মুসলমানদের বিজয় ইনশাআল্লাহ । পাশাপাশি ব্যবসা এবং গবেষণাও চালিয়ে যাও ইনশাআল্লাহ ।
( জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ ) ।
বিঃ দ্রঃ - অনেকে মনে করে আমি যশ খ্যাতি প্রতিপত্তির জন্য লেখালেখি করি বা মানুষকে আমার দিকে আহ্বান করি । কারণ ঐসব লোক দুনিয়াদার এবং যশ খ্যাতি প্রতিপত্তির পেছনে ছুটে । আর আমি যা করি তা সবই আল্লাহর নির্দেশে হয়ে থাকে । আমি প্রায়দিনই আমার স্ত্রীকে বলি , যেকোনোদিন আমি মূর্খদের হাতে শাহাদাত বরণ করতে পারি এবং এজন্য আমি প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করি ইনশাআল্লাহ । আর অধিকাংশ দুনিয়াদার এবং হিংসুকেরা বলতে চায় , একাজ তো আমি করবো , সে করে কেনো । ধ্বংস হউক এই হিংসুকেরা অথবা আল্লাহ এদেরকে হেদায়েত করুন ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




