যতসব করোনা ভ্যাক্সিন:
১. আমেরিকার মডার্না বায়োটেকনোলজি কোম্পানি (Moderna) mRNA-1273 নামের একটা করোনা ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করে ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের দৌড়ে এগিয়ে আছে। মার্চের ১৬ তারিখ সর্বপ্রথম জেনিফার হ্যালার নামে একজন নারী স্বেচ্ছাসেবীকে এই ভ্যাক্সিন প্রদানের মাধ্যমে হিউম্যান ট্রায়ালের সূচনা করে।
২. আমেরিকার আরেকটি জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি ইনভিও ফার্মাসিউটিক্যালস (Inovio Pharmaceuticals) INO-4800 নামের একটা ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করেছে। তারা ইতোমধ্যে মানুষের উপর এই ভ্যাক্সিনের পরীক্ষা শুরু করেছে।
৩. আমেরিকার জনসন এন্ড জনসন কোম্পানি (Johnson & Johnson) তাদের আবিষ্কৃত AdVac এবং PER.C6 টেকনোলজি ব্যবহার করে তারা নতুন একটা ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করেছে। মনে করা হচ্ছে ভ্যাক্সিন দৌড়ে এটা সবচেয়ে এগিয়ে আছে।
৪. আমেরিকার আরেকটি কোম্পানি নোভাভেক্স (Novavax) একটি ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করেছে। বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এই গবেষণার জন্য তহবিল যোগান দেয়। এর আগে এই কোম্পানি সফল ভাবে অনেক ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করেছে, যেমন NanoFlu নামে ফ্লু ভ্যাক্সিন এবং ResVax নামের রেসপিরেটরি সিনসিসউল ভাইরাস বা RSV ভ্যাক্সিন এবং এবোলার ভ্যাক্সিন।
৫. যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইন্সটিটিউট ChAdOx1 nCoV-19 নামের একটা ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করেছে। গত ২৩ এপ্রিল থেকে মানুষের উপর ট্রায়াল শুরু করেছে। প্রথম স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এলিসা গ্র্যানাটোর উপর এই ট্রায়াল ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হয়। এখন পর্যন্ত দুজন স্বেচ্ছাসেবী ভ্যাক্সিন পেয়েছেন। এই ট্রায়ালে ৮ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
৬. চীনের কেনসিনও বায়োলোজিক্স (CanSino Biologics) Bio Ad5-nCoV নামের একটা ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করেছে। এই ভ্যাক্সিনটি বর্তমানে পরীক্ষা নিরীক্ষার ৩টি ধাপের মধ্যে ২য় ধাপে আছে।
৭. তাছাড়াও বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের মত করে ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের চেষ্টা করছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১১:২০