সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মুসলিম মহিলা সেনাপতি।
খাওলা বিনতে আল-আজওয়ার খুলাফায়ে রাশেদিনের সময় একজন আরব মুসলিম যোদ্ধা ছিলেন। তিনি লেভান্টের (বর্তমানে ইসরাইল, জর্ডান, লেবানন, প্যালেস্টাইন, সিরিয়া এবং তুরস্কের অধিকাংশ অঞ্চল) মুসলিম বিজয়ে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাকে ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নারী সৈনিকদের একজন হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি একজন সাহাবী ছিলেন।
সপ্তম শতাব্দীতে বনু আসাদ গোত্রের অন্যতম প্রধান মালিক বা তারেক বিন আওস তার পিতা ছিলেন। বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ৬৩৬ সালে ইয়ারমুকের সিদ্ধান্তমূলক যুদ্ধ সহ অনেক যুদ্ধে তিনি লড়াই করেছিলেন। যুদ্ধের ৪র্থ দিনে তিনি বাইজেন্টাইন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একদল নারীর নেতৃত্ব দেন এবং এর প্রধান সেনাপতিকে পরাজিত করেন এবং পরে একজন গ্রীক সৈন্যের সাথে তার লড়াইয়ের সময় আহত হন।
সামরিক জীবন:
খাওলা বিনতে আল-আজওয়ার ভাই ধীরার ছিলেন বনু আসাদ গোত্রের একজন সেনাপতি। তিনি তার ভাইয়ের কাছে সামরিক প্রশিক্ষণ নেন।
সিরিয়া বিজয়:
তার প্রতিভা প্রথম দেখা যায় ৬৩৪ সালে সানিতা-আল-উকাবের যুদ্ধের সময়। দামেস্ক অবরোধের জন্য যুদ্ধ চলছিল। তার ভাই ধিরার মুসলিম বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। যুদ্ধের এক পর্যায়ে বাইজেন্টাইন সেনাবাহিনীর দ্বারা ধিরার আহত ও বন্দী হয়েছিলেন। খালিদ ইবনে ওয়ালিদ তাকে উদ্ধার করতে তার মোবাইল গার্ড নিয়ে গেলেন। এই সময় খাওলা বিনতে আল-আজওয়ার বাইজেন্টাইন সৈন্যদলের সাথে একাই আক্রমণ শুরু করেন। তার বর্ম এবং আরব যোদ্ধাদের সাধারণ ঢিলেঢালা পোশাকের জন্য তাকে একজন মহিলা হিসাবে চিনা যাচ্ছিল না, যতক্ষণ না খালিদ তাকে তার পরিচয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। যুদ্ধের পর অনেক সৈনিক বলেছে তারা খাওলা বিনতে আল-আজওয়ার কে চিনতে পারে নাই। তারা মনে করেছে খালিদ ইবনে ওয়ালিদ যুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
খাওলার লড়াইয়ের দক্ষতা খলিফা উমর প্রশংসা করেছিলেন। সৌদি আরবের অনেক রাস্তা ও স্কুলের নামকরণ করা হয়েছে তার নামে। অনেক আরব শহরে খাওলা বিনতে আল-আজওয়ারের নাম বহনকারী স্কুল ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে, মহিলাদের জন্য প্রথম সামরিক কলেজ, খাওলাহ বিনতে আল আজওয়ার ট্রেনিং কলেজও তার জন্য নামকরণ করা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



