প্রচ্ছদে একজন শ্বেতাঙ্গ নারীর ছবি দেখা যায়, যার পরনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা। ছবিতে দেখা যায়, কিছু কালো ও তামাটে বর্ণের পুরুষের হাত ওই নারীর শরীর থেকে পোশাকটি টেনে খুলে ফেলতে চাইছে। আর নারীটি তীব্র চিৎকার করে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করছেন।
কিছু কালো ও তামাটে বর্ণের পুরুষের হাতগুলো দ্বারা বুঝানো হয়েছে ইসলামকি ধর্ষক।
বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে ইউরোপের দেশগুলোতে অভিবাসনপ্রত্যাশী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সে সঙ্গে বাড়ছে এই ইস্যুতে নানা ধরনের বিতর্ক। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গেছে পোল্যান্ডের ডানপন্থী সাপ্তাহিক পত্রিকা ভি সিয়েটচি বা দ্য নেটওয়ার্কের প্রচ্ছদ। শরণার্থী ইস্যুতে ছাপা হওয়া পত্রিকাটির একটি প্রচ্ছদ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা
মূলত জার্মানিতে বর্ষবরণ উৎসবে কিছু শরণার্থী পুরুষ দ্বারা জার্মান ওই ইউরোপীয় নারী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাকে প্রতীকীভাবে তুলে ধরতেই এমন প্রচ্ছদ করা হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই প্রচ্ছদের কড়া সমালোচনা করা হচ্ছে।
এই প্রচ্ছদের সঙ্গে পোল্যান্ডের পত্রিকাটি শিরোনাম হিসেবে লিখেছে ‘ইসলামিক রেপ অব ইউরোপ’। প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে লেখক আলেকজান্দ্রা রাইবিনস্কা বলেন, অভিবাসন-সংক্রান্ত বিষয়ের কারণে ইসলামী ও খ্রিস্টান সভ্যতার মধ্য এক অনিবার্য সংঘর্ষ হবে। মুসলিমরা এই যুদ্ধের জন্য প্রচার চালাচ্ছে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। লেখক এটাও মনে করেন, বহু সংস্কৃতিকে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়ে ইউরোপ তার নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছে। এই প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে গত কয়েক সপ্তাহে ইউরোপীয় নারীদের ওপর যৌন হামলার ঘটনার সংখ্যা তুলে ধরা হয়।
এদিক দিয়ে বাংলাদেশের দিকে তাকালেও দেখা যায় প্রতিদিন যে ধর্ষণের নিউজ গুলো পাওয়া যায় যারা ৯৯ ভাগ ইসলামিক নাগরিকরা তার সাথে জড়িত।
বাংলাদেশের অন্যধর্মাবল্বী নারীরা আজ খুব অসহায় ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কয়দিন আগে সৌদি মুফতি বলেছিলেন, ইসলামে অন্য ধর্মের নারীদের ধর্ষণ করা জায়েজ। এতে কোনো গুনাহ বা অপরাধ হয় না বরং জাহান্নাতবাসী হয়।
এর পর পর দেখা গেছে অনেক গুলো অন্যধর্মের নারী ধর্ষণ হয়েছে যা ইসলামিক নাগরিকরা করেছে।
অন্যদিকে ইসলামিক সংগঠন আইএস তারা তো হরহামেশাই অন্য ধর্মের নারীদের তুলে এনে ধর্ষণ করছে।
ভারতে প্রায় দেখা গেছে এমন ঘটনা। গত কিছুদিন আগে পত্রিকায় খবর আসছে যে রেড গার্ল নামের একটা সংগঠন। যে সংগঠনে যারা সদস্য প্রায় বেশীর ভাগ নারী ইসলামি মানুষের হাতে ধষণের শিকার।
প্রতি বছর সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে যে নারী কর্মী নিয়ে যায়, তাদের মধ্যে অনেকে অন্য ধর্মের মহিলা যারা সেখানে গিয়ে ধষণের শিকার হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৯