somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আকাশলীনা- ৭ [ভিন্ন আয়োজনে অন্য সাময়িকী]

২২ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আকাশলীনা
মাঘ ১৪১৭] জানুয়ারি ২০১১] সংখ্যা ০৭] বর্ষ ০১]
--------------------------------------------------------------------------
পাঠ-পূর্বক বিজ্ঞপ্তি]

আকাশলীনা মূলত একটি ছোট পত্রিকা; এটি প্রতি বাংলা মাসের প্রথম সপ্তাহে মুদ্রণ কাগজে প্রকাশিত হয়।
বলা যেতে পারে, সাদা-কালোয় প্রকাশিত এটি আমাদের রঙিন এক স্বপ্নের গল্প!
এখানে মূল পত্রিকার বর্তমান সংখ্যাটি অনলাইন পাঠকদের জন্য সরবারাহ করা হয়েছে। ভালোলাগা-মন্দলাগা বিষয়ে যে কেউই মন্তব্য করতে পারেন...
পত্রিকাটির মুদ্রিত কপি নিয়মিত পেতে চাইলে; ফোন নম্বরসহ আপনিও ঠিকানা লিখে জানান।
আমাদের সম্পাদনা পরিচিতি এবং সরাসরি যোগাযোগ করার ঠিকানা এই লেখার নিচে উল্লেখ আছে।

সকলকে ধন্যবাদ।
- সম্পাদক, আকাশলীনা
--------------------------------------------------------------------------
মূল পত্রিকা এখান থেকে শুরু-
--------------------------------------------------------------------------

উৎসর্গ :
অকাল প্রয়াত বন্ধু
জান্নাতুল ফেরদৌস রীনা-কে


সম্পাদকীয়]
অনেক পরিকল্পনা ছিলো বর্তমান সংখ্যা নিয়ে।
অর্ধ-বার্ষিকী পেরিয়ে এলো আকাশলীনা। সেই সুবাদে সাময়িকীর লোগো-তে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিকল্পনা ছিলো, সংখ্যাটিও সাজানো হবে বিশেষ আয়োজনে। প্রচ্ছদ হবে অসাধারণ। এ সংখ্যার মূল আয়োজন হবে শীত। থাকবে বেড়ানোর গল্প, ভালোবাসার কথা...
প্রস্তুতি ঠিকভাবেই চলছিলো।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে আমাদের বন্ধু ও পাঠক, চট্টগ্রামের জান্নাতুল ফেরদৌস রীনা-র মৃত্যু সংবাদ সবকিছুকে থমকে দিয়েছে।
পরিকল্পনামাফিক সমস্ত কাজে জল ঢেলে দিয়ে, আমরা এখন চোখের জলে ভাসছি...
--------------------------------------------------------------------------
শোকের মাতম]
বন্ধু, তুমি কান্নার রঙ হয়েই থেকো
সাইফুল আমিন

বছর দুই হবে।
দিনক্ষণ আজ আর মনে নেই। অবশ্য চেষ্টা করলে মনে পড়বে কিনা- নিশ্চিত নই। আমার কোনো এক লেখার সূত্র ধরেই রীনার সঙ্গে পরিচয়। তারপর প্রায়ই তার সঙ্গে কথা হতো। কথাগুলোর কোনো নির্দিষ্ট বিষয় ছিলো না। নিজেদের কথা, বর্তমান, পরিবার; হয়তো বন্ধুদের নিয়েই বেশি কথা বলতাম। বিশেষ বিশেষ দিনেও আমাদের কথা হতো। মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা চালাচালিতে ভুল হতো না।
এতোসবের পরেও, মাঝখানে প্রায়ই লম্বা বিচ্ছেদ! তারপর হঠাৎ করেই একদিন কাজের ফাঁকে মুঠোফোন বেজে ওঠে। রীনার কল, ‘কেমন আছেন?’
‘ভালো। আপনি তো দেখি খুব খারাপ! সেই কবে কথা হয়েছে- তারপর লাপাত্তা! এভাবে পালিয়ে যাবার মানে কি?’
ওপাশ থেকে রীনার ম্লান হাসির শব্দ পাওয়া যায়। বলে, ‘আমি অসুস্থ। এখন হাসপাতালে।’
এক নিমিষে আমার সমস্ত অভিযোগ হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। ‘হাসপাতালে! কেনো? কি হয়েছে? কবে থেকে আছেন?’
আমার এতোগুলো প্রশ্নের আড়ালে যে উৎকণ্ঠা উপছে পড়ছে, তা যেনো ওকে বিন্দুমাত্রও ছুঁতে পারছে না। ওপাশ থেকে রীনার অতি স্বাভাবিক কথা ভেসে আসে, ‘অনেকদিন ধরেই।’
‘কী হয়েছে?’
‘ও... আপনাকে তো বলাই হয়নি। আমার আসলে...’
রীনা তার রোগের নামটা বলে। চিকিৎসা শাস্ত্রের ভাষায় নামটা সেদিন যে রকম আমার বোধগম্য হয়নি, তেমনি বুঝতেও পারিনি সে রোগের ভয়াবহতা কী। পরে জেনেছি, ওটা আসলে ব্লাড ক্যান্সার!
নাহ! একজন নির্মল বন্ধুকে তখুনই হারিয়ে ফেলেছি- এ বোধ আমার ভেতর কাজ করেনি। রীনার সঙ্গে এরপরও অনেক কথা হয়েছে। অসুস্থতার কথা উঠলে বলতো, ‘নাহ, এখন আর আমি ভয় পাই না। বরং আমার পরিবারের জন্যই খারাপ লাগাটা কাজ করছে। আপনি হয়তো জানেন না, আমরা খুব স্বচ্ছল নই। পরিবারে আমার আরও ভাই-বোন আছে। বাবা-মা এতো বেশি টাকা একা আমার পেছনেই খরচ করে ফেলতেছে, এখন আর কুলিয়ে উঠতে পারছে না।’
রীনার এ সমস্ত কথায় আমি চুপ থাকতাম। সে বলতো, ‘দীর্ঘদিন ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিয়েছি। ডাক্তাররা উন্নতির কথা বলতেন না। আবার খারাপও বলতেন না। দিন দিনই চিকিৎসার ব্যয় সাধ্যের বাহিরে চলে যাওয়ায়, কবিরাজের ধরনা নিচ্ছি এখন।’
রীনা বলতো, ‘জানেন, আমার এতো খারাপ লাগে- মা-বাবা, ভাই-বোনরা আমার জন্য কী যে নিদারুণ কষ্ট করছে। চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে, ওরা খায় কি খায় না। ভালো জামা-কাপড় পরে না। যদি ক্ষমতা থাকতো, দূরে কোথাও চলে যেতাম।’
দিন-পনেরো আগেও রীনার সঙ্গে কথা হয়েছে। বললো, ‘ভালো নেই। আগের চেয়ে একটু বেশিই দুর্বল হয়ে পড়েছি। আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি, হাসপাতালে ছিলাম বলে। আপনি আবার কিছু মনে করেননি তো?’
ওর অসুস্থতা, আগের চেয়েও আরো দুর্বল হয়ে পড়া, হাসপাতালে অবস্থান- এসবের প্রতিক্রিয়ায়, কিছু মনে করার বিষয়টা নেহাত নস্যি। বলি, ‘এখনো কি হাসপাতালে আছেন?’
‘বাসায় এসে পড়েছি। হাসপাতালে থাকলেই যে খরচা বাড়ে? বোঝেন তো...’
‘আচ্ছা, এর কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই?’
‘আছে হয়তো। দেশের বাহিরে যেতে হতে পারে। ভালো ডাক্তার-হাসপাতাল... আমাদের ওসব সাধ্যের বাহিরে।’
রীনার কথায় কষ্ট হয়। জন্মটাকেই সে আজন্ম পাপ ভাবছে। ওর একার জন্য পরিবারের মানুষগুলোও দিনের পর দিন অভাব-যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে।
আর ওর এই নির্বোধ বন্ধু, আমি বহুদূর থেকে কেবল ফোনের এ প্রান্তে দীর্ঘশ্বাস ফেলি...

০২.
কাল রাতে রীনার মুঠোফোনে একটা ক্ষুদেবার্তা পাঠালাম। কথাগুলো ছিলো এ রকম- তোমার সাথে আমার অনেক মিল, গল্প-কথায় রোদ্দুর ঝিলমিল, শুধু চাওয়া-পাওয়ায় বড়ই অমিল... আমি পালিয়ে গিয়ে হবো শঙ্খচিল!
পরদিন সকাল দশটার দিকে রীনার কল। ওর কলটা ইচ্ছে করেই ধরেনি। ফিরতি কল দিয়ে জানতে চাই, ‘কেমন আছেন?’
‘ভালো।’ কেমন যেনো ম্লান আর করুণ শোনায় কণ্ঠটা।
বলি, ‘কি করছেন?’
‘ভাইয়া, আমি আপনার বন্ধুর ছোট বোন।’
এবার হোঃ হোঃ করে হেসে ফেললাম। তাহলে এ কারণেই বুঝি ভালো থাকার কথাটা বলতে ওর অস্বস্তি লাগছিলো? বলি, ‘কি নাম আপনার?’
‘জনি।’
‘হুম... আপনার বোন কেমন আছে?’
এক মুহূর্ত কোনো জবাব নেই। ফিসফাস করে কিছু একটা বলেছে সে। বড় বোনের বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে এখনো অস্বস্তি বোধ হচ্ছে কিনা, কে জানে। আমি ঠিক মতোন কথা বুঝতে পারছিলাম না বলে, ফের প্রশ্নটা করি।
এবার জনি হু হু করে কেঁদে ফেলে! একটা অপরিচিত মানুষের সামনে মেয়েরা কখনো কাঁদে না। বললো, ‘আপু নেই, মারা গেছে।’
মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মানে কী- যথার্থই বুঝে ফেললাম। কিছু একটা বলবো যে, সে ভাষাও হারিয়ে ফেলেছি। কোনো মতে বললাম, ‘কবে?’
‘বৃহস্পতিবার।’

০৩.
রীনার ভালো নাম জান্নাতুল ফেরদৌস। বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায়। ওর ভাই-বোনের সংখ্যা আমার জানা নেই। মা নিশ্চয় গৃহিণী হবেন। বাবা কি করেন, তাও জানি না।
আসলে, আমার একটা সামান্য লেখার সূত্র ধরে রীনার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিলো। সে পরিচয় থেকে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে- তাতে পারিবারিক পরিস্থিতি জানা হয়নি হয়তো। কিন্তু, যে আমি বন্ধুত্বের কাঙাল, সে আমি রীনাকে নিজের একান্ত আকাশটা দেখাতে ভুল করিনি। ফোনে আমাদের যে কথা হতো, তাতে স্বপ্নের ভাগাভাগি ছাড়া আর কিছু হতো না।
সেই রীনা আজ নেই? পালিয়ে গিয়ে নিজেই দূর আকাশের শঙ্খচিল হয়ে গেলো?
ওকে কোনোদিন দেখিনি। দেখতে যাবো- এ কথাও কখনো বলা হয়নি। কী আশ্চর্য! এতোগুলো দিন কথা বলেছি, এতোদিন ধরে জানতাম সে অসুস্থ; কোনোদিন বলিনি তাকে দেখতে যাবো... এতো পাষাণ তো ছিলাম না। মিথ্যে করেও বলতাম যদি... ও নিশ্চয় খুশি হতো?
আজ খুব কষ্ট হচ্ছে। বুকের ভেতর কেমন খাঁ-খাঁ অনুভূতি। মাথায় টনটনে ব্যথা। চোখের কোণে জল। হৃদয়ের তানপুরায় কোনো সুর নেই।
বন্ধুরা বলে আমার চোখের ভেতর কোনো সতেজতা নেই।
রীনা, আমার এ জলভরা চোখের ভেতর, আপনার জন্য বেঁচে থাকার যে স্বপ্নগুলো সজীব ছিলো- তা তো আর কেউ দেখেনি। আপনিও কোনোদিন দেখলেন না। আর কেউও দেখবে না; আজ নীরব কান্নার জলে সব ধুয়েমুছে গেলো...
হায়! মানুষগুলো ধরাছোঁয়ার বাহিরে চলে গেলেই বুঝি- অরুণ হৃদয়ে এমন করুণ ঝড় ওঠে? []
>
[email protected]
--------------------------------------------------------------------------
বন্ধুদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া]
যে শোক ভাষায় প্রকাশ করা যায় না...
আকাশলীনা ডেস্ক

[বন্ধু, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী জান্নাতল ফেরদৌস রীনা-র মৃত্যু সংবাদটি পেয়েই, ফেসবুক-এ আকাশলীনা-র নিজস্ব দলে বিষয়টি শেয়ার করা হয়। কিছু বন্ধু তাৎক্ষণিক নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এভাবেই ভাষা হারিয়ে ফেলেন।
যেখানেই থাকি আমরা, আকাশলীনা-র সঙ্গে যে যেভাবেই জড়িয়ে আছি- প্রত্যেকেই আমরা বন্ধু। সেই বন্ধুত্বায় ঘেরা সীমানা থেকে যখন কেউ একজন দলছুট হয়ে দূর আকাশের নক্ষত্র হয়ে যায়; আমরা তাকে ভুলে যেতে পারি না। ভুলবো না কখনো।
একজন বন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবার আর কোনো ভাষা জানা নেই আকাশলীনা পরিবারের। তাই তো এবারের সংখ্যাটি বন্ধু জান্নাতুল ফেরদৌস রীনা-কে উৎসর্গ করা হলো।
এ কাজে আমাদের বিশেষভাবে সহযোগিতা করেছেন সাইফুল আমিন। -সম্পাদক]

আবদুল্লাহ আল ইমরান :
আমি স্তম্ভিত! সাইফুল আমিন, আপনি আমাদেরও চোখ ভাসিয়ে দিলেন। এইসব ভালোবাসা মিথ্যে নয়...

শফিক হাসান :
আমাদের অনুভূতিগুলো এখনও যে ভোঁতা হয়ে যায়নি, তার প্রমাণ রীনার জন্য আপনাদের এই আয়োজন। এই মৃত্যু সংবাদ। নইলে যাকে কোনোদিন দেখিনি, জানিনি; আপনিও সেভাবে দেখেননি, জানেননি... তার জন্য কেনো ভেতরে-বাহিরে রক্তক্ষরণ হবে?
এই বোধটার নামই ভলোবাসা, সহর্মিতা...
এই প্রথম, আমার ভিতরটাকে ওলট-পালট করে দেওয়ার জন্য আপনাকে আমি দায়ী করতে পারছি না...

মাহবুব আলম :
হারানোর ব্যথা কষ্টকর আমরা সবাই জানি। কিন্তু কষ্টটা মনের কোথায় যে লাগে, বুঝে উঠতে পারি না। খুব কষ্ট হচ্ছে হচ্ছে বন্ধু হারানোর ব্যথায়। যেখানেই থাকো, ভালো থেকো বন্ধু... []
--------------------------------------------------------------------------
প্রকৃতি]
শীতের শোকবহতা এমনটাই হয়, বোধহয়!
ফারুক আহমেদ

একদা, মানে আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন সারাটা বছর অপেক্ষা করে থাকতাম, কবে স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হবে। কবে নানাবাড়ির দিকে ছুট দেবো। সেই কৈশোরের মতো এখনো অবশ্য উত্তরের হিম হাওয়া সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে- কবে পৌষ আসবে, কবে মাঘ। কবে তোড়জোড় করে সবুজ সমতল, মামার দেশের দিকে আসতে শুরু করবে! শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে একটা ব্যাপক বিস্তৃত হিমেল হাওয়া চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে সকালবেলা গ্রামের উঠোনে উঠোনে ছোট ছোট আগুনের কুণ্ডলী জ্বলতে শুরু করে। সেই আগুনের কুণ্ডলীকে বাড়ির ছোট-বড়রা একটা মজমার মতো ঘিরে রাখে। আবার উল্টোদিকে এমন শীতে কাঁপতে কাঁপতে কৃষককে মাঠের দিকে ছুটতে দেখা যায়।
শীত এসে নিজের ভেতর সব আচ্ছন্ন করে দিতে চায়। তাই শীতের সকালে হয়তো ঘাড়ের কাছে বসে কোনো পাখি ডেকে যায়, কিন্তু তাকে দেখার সাধ্য নেই? অসাধ্য করার জন্য কুয়াশা আছে না! গাছের পাখি তো দূরের কথা, কুয়াশা ঘনভাবে পড়তে শুরু করলে তিন হাত দূরে থাকা কাউকে বা কিছুই নজরের মধ্যে আনা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমন কি আগের দিন যেখানে আমগাছটাকে দেখা গিয়েছিলো, একটা পেঁপেগাছকে অনেক পেঁপে নিয়ে একটু অস্বস্তিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিলো- তার কিছুই শীতের সকালে দেখার সাধ্য নেই। শুধু কুয়াশা নামক একটা ওড়না, যে কিনা হিমেল হাওয়ার বান্ধবী। সে একটা সাদা, মিহি, লাজুক ওড়না দিয়ে সবকিছু ঢেকে রাখতে চায়। কিন্তু ঢেকে রাখতে চাইলেই তা যায়? প্রকাশ হয়ে যায় ঠিকই। সূর্য যখন একটু একটু করে উদিত হতে থাকে, তখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো কুয়াশার সবকিছু ঢেকে রাখার, দখলে রাখার বাসনা বানচাল হয়ে যায়। একটু একটু করে প্রকাশিত হতে শুরু করে। তখন দোয়েলটাকে, অনতিদূরের সড়কটাকে নজরের ভেতর আনা কঠিন হয় না।
সড়কটা নজরের ভেতর চলে এলেই, একটা বিপুল ঘ্রাণময় হিমুর জামা, মানে শর্ষেক্ষেত নজরের ভেতর এসে যায়; যা ঘিরে ভ্রমর, মৌমাছি বা এ রকম মধুর প্রতি মোহগ্রস্ত পোকার দল ভিড় করে থাকে। শীতে অবশ্য ক্ষেতে ক্ষেতে বিচিত্র রঙের একটা শামিয়ানা টানানো হয়েছে বলে মনে হয়। অবশ্য সে শামিয়ানায় যে রঙের প্রাধান্য সর্বাধিক, তা হলো সবুজ। আবার এমন মনে হয়, বাংলার কৃষক এবার বুঝি লাঙল ছেড়ে দিয়ে রঙ-তুলি হাতে নিয়ে নিলো। এই বুঝি রঙ দিয়ে বিমূর্ততা ছড়িয়ে দেবেন তাঁরা।
এ সব ক্ষেতই কৃষকদের বাড়ি ঘিরে থাকে। কিন্তু মাঠ যা, তা ঠিকই ফাঁকা হয়ে যায়। যায় কারণ, ধান কাটা হয়ে গেছে শেষ, এখন শুধু পড়ে আছে শীতের আবেশ। এ পরিস্থিতি মাঠের ক্ষেত্রে নয় শুধু, গাছে গাছেও। শীতে বৃক্ষরাজি নিজেদের পুরনো পাতা ঝরাতে শুরু করে। গাছের পাতা ঝরতে ঝরতে শেষ পর্যন্ত বস্ত্রহীন একটি নগ্ন শরীর দাঁড়িয়ে থাকে। অবশ্য সামনে বসন্ত আসবে, তাই ভয় নেই, ভয় নেই বৃক্ষের।
শীতে খেজুর গাছ থেকে রস পড়ে ফোঁটা ফোঁটা। শীতের সকালে ভাপা পিঠার ধোঁয়া গিয়ে মেশে কুয়াশার সঙ্গে। শীতে সড়ক দিয়ে হাঁটতে গেলে পায়ে শিশির লেগে যায়। শীতে দূর গ্রামে গানের আসর বসে, সেখানে যেতে মন চায়। শীতে বারুণী হয়, লাল-নীল ফিতা সেখানে পাওয়া যায়, সেখানে যেতে ইচ্ছা করে। শীতে নদী বা বিলে পানি শুকিয়ে যায়, ফলে ছেলে-বুড়োর দল সকাল হতে না হতেই মাছ ধরতে নেমে যায়। শীতে একা একা লাগে বলে বাংলার পুরুষরা বিয়ে করতে চায়। আরো কত কী!
এসব পুরো ঘটুক না ঘটুক, শিশিরের সঙ্গে যদি সূর্যের আলোর মিলিত হওয়ার বাসনা জাগে, তাহলে তা শীতেই সম্ভব। আর কখনো নয়। আর এই মিলিত হওয়ার দৃশ্যকে আমরা বলি হীরকদ্যূতির ছটা। তাই বলতে ইচ্ছে করছে- তো হীরকদ্যূতির ছটা, তুই ঘন ঘন শিশিরে-আলোতে বেশি বেশি মিলন ঘটা!
কিন্তু শেষ পর্যন্ত শীত একটা নিঃসঙ্গতার বারতা ছড়িয়ে দেয়- স্বীকার করছি। সন্ধ্যা নেমে আসার অনেক আগেই কুয়াশা সন্ধ্যা নামিয়ে আনে পৃথিবীতে। এর সঙ্গে রাত গভীর হওয়া মানে কুয়াশা শিশিরের রূপ নেয়। টিনের চালে টপটপ করে শিশিরের ফোঁটা ঝরে পড়ে। আর দূর বন থেকে রাত নিশুতি হলো, সে বার্তা পাঠিয়ে দেয় একটি খেঁকশিয়াল বা একটি পেঁচার কণ্ঠস্বর। তাতে মনে হয়, মৃত্যুর নীরবতা একটু একটু করে জড়ো হচ্ছে। তাতে মনে হয়- শীতের শোকবহতা এমনটাই হয়, বোধহয়! []
>
লেখাটি আমাদের বিশেষ সংগ্রহ থেকে প্রকাশিত
--------------------------------------------------------------------------
ভ্রমণ]
বরিশাল থেকে মনপুরা
আলমগীর হোসেন

শীতের সকাল। কীর্তনখোলার পানি শিশিরে ভেজা। মেঘনায় যাচ্ছি। বরিশাল সদরঘাট থেকে সি-ট্রাকে চেপেছি ভোরে। কীর্তনখোলায় অনেক বাঁক, বাঁকে বাঁকে যায় সি-ট্রাক। সূর্য মশাইয়ের ঘুম ভাঙলো লাহারহাটে। সোনা রঙ ছড়িয়ে আছে পূর্বাকাশে। স্রোত ঠেলে চলেছি আমরা। কীর্তনখোলার শেষ বাঁকে বুদ্দিদের সংসার, অর্থাৎ নৌকা-বস্তি। সারা বছরই তাঁরা নৌকায় কাটায়। নৌকাতেই তাঁদের আয়না, চিরুনি, বউ আর পোলাপান। অদ্ভুত এ জীবন মেঘনায়ও মিলে। কিছুক্ষণের মধ্যে মেঘনার অথৈ জলরাশিতে গিয়ে পড়বে আমাদের সি-ট্রাক, মাথার ওপর আকাশ ছাড়া আর কিছুই থাকবে না চারদিকে। দ্বীপজেলা ভোলার মধ্য দিয়ে গেছে মেঘনা। মেঘনায় চরের শেষ নেই। ভূমিহীনরা বসতিও গেড়েছে এসব চরে।
কয়েকটি ধূসর পাতিহাঁস দেখি পুবে চলেছে। খিদে পেয়েছে ওদের। একটা প্রায় জনমানবহীন চরের কাছ ঘেঁষে যাচ্ছিলাম আমরা। কিছু নেই নেই করেও একটা মহিষের পাল চোখে পড়লো। সংখ্যায় অনেক হবে। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে মালিক এদের ছেড়ে দিয়ে যায় চরে, মাঝে মাঝে এসে দেখে যায়।
ঘণ্টাখানেক পর আরেকটি চর পেলাম। ছোট ছোট খড়ের ঘর আছে কিছু। মাছ শুকানোর কাজ করে এই চরের মানুষ। লইট্যা, ছুরি, কোরাল, পোয়া মাছ শুকানো হয়। মাছকে শুঁটকি করা সোজা কথা নয়। কাটাকুটা করো, সাফ করো, লবণ মাখো, গুনায় গাঁথো, ঝুলাও... কতো কাজ! গন্ধটা সইতে পারলে, দেখতে মন্দ লাগে না। এ কাজে মেয়েদেরই বেশি লাগে। মেঘনায় এখনো মৌসুমি বিয়ের চল আছে। জেলেরা চার মাসের জন্য দূর দূর থেকে একেকজনকে বিয়ে করে আনে, তারপর শুকানোর কাজে লাগায়। মৌসুম চলে গেলে মেয়েদেরও চলে যেতে হয়।
কোনো কোনো চরে দেখা যায় প্রাকৃতিক বন। কেওয়া, গরান, ছইলা গাছ বেশি। চরের হাঁটু সমান পানিতে খাবার খোঁজে সাদা বকের দল। এক সময় চলে এলাম ভোলার ভেদুরিয়া। এখানে একটা হোটেলে ঢুকলাম। কাজলী মাছ দিয়ে দুপুরের খাবার আগাম খেয়ে নিই। এরপর রিকশায় চড়লাম। বিশ টাকা ভাড়া গুণে গেলাম বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডে। তারপর বাসে চড়ে বোরহানউদ্দীনের কুঞ্জের হাটে। ভাড়া নিয়েছে ৩০ টাকা। আবার উঠলাম রিকশায়, গেলাম তজুমদ্দীন সি-ট্রাক ঘাট। এই সি-ট্রাক মনপুরায় নিয়ে যাবে। সূর্য মাথা থেকে পেছনে যেতে লেগেছে, সময় বেলা ৩টা। মেঘনা এখানে সত্যিই বড়। চোখে ঘুম লাগে। ঢেউয়ের ধাক্কায় চেতনে আসি। রাখালকে মহিষের পাল নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখি। চরের একদিক সাদা, অন্যদিক রাঙা। সাদা যোগান দিয়েছে বকগুলো, অতিথি পাখিরা দিয়েছে রাঙিয়ে। চোখ দু-টি যেনো পাখিতে ভেসে যায়। কিছু দূরে আরেকটা চরে দেখি নৌকার হাট বসেছে। নৌকা বানানো চলছে। কোনোটার তলা গভীর, কোনোটার প্রস্থ বড়, কোনোটা বা সামনের দিকে উঁচু। কোন নৌকা কতোদূর যাবে তার ওপর নির্ভর করে নৌকার গড়ন। মনপুরা উপজেলা সদরের দিকে যেতে গিয়ে দেখি বিরাট নারকেল বাগান। মেঘনার কোলঘেঁষে বিরাট এই বাগান। নারকেল ছাড়াও পেয়ারা ও অন্যান্য ফলদ গাছ আছে। সন্ধ্যার একটু আগে মনপুরায় ভিড়ল সি-ট্রাক। []
>
অনুলিখন : রফিকুল ইসলাম
--------------------------------------------------------------------------
মানবতার ডাক]
এই শীতে যাঁরা ভালো নেই
অংশু মোস্তাফিজ

কুয়াশার মহাসমীরণ নিয়ে দেশে ইতিমধ্যে জেঁকে বসেছে শীত। শুরু হয়েছে হাড়কাঁপানো অনুভূতি। জানুয়ারি মাস চলছে। মনে হচ্ছে পুরো শীতজুড়েই চলবে এই মহাতাণ্ডব! এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে, বিশেষত ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামের দিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিরও নিচে নেমে আসছে। দেশের উত্তর-পশ্চিমের এ এলাকাগুলো এমনিতেই মঙ্গাকবলিত বলে পরিচিত। দু-বেলা দু-মুঠো খেতে পায় না এমন লোকের সংখ্যা এখানে কম নয়। শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য গরম কাপড় কেনার মতো টাকা এঁদের নেই। তাই তো প্রতিবছর শীত এলেই এ এলাকার অসহায় বৃদ্ধরা বলেন, ‘এবার বুঝি সময় হলো চলে যাওয়ার।’
সত্যি, পৌষ-মাঘের শীতে মঙ্গা এলাকায় প্রতিবছর অন্তত শতাধিক বৃদ্ধের মৃত্যু ঘটে। জীবন তাঁদের কাছে কতোই না ছোট। এর বিপরীত চিত্রটা দেখা যায় শহরাঞ্চলে। রঙিন পোশাকে শহুরে মানুষের কাছে শীতটা স্রেফ উপভোগের বিষয়। একদিকে ধনবান এ মানুষগুলো বিভিন্নভাবে শীত উৎসব করে; অন্যদিকে পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁওয়ের দরিদ্র প্রবীণ দাঁতে দাঁত চাপতে চাপতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন। শ্রেণী বৈষম্যের শিকার এ মানুষগুলোর কথা কেউ তেমন ভাবে না। ভাবেন না সেসব সামর্থ্যবান মানুষ, যাঁদের একটু ইচ্ছায় এ মানুষগুলো অন্তত বেঁচে থাকতে পারতেন।
মানুষ হিসেবে জন্মে প্রত্যেকেরই মানবতার প্রতি দায়বোধ থাকা আবশ্যক। শীতকালের পৌষ-মাঘের এই দিনগুলোতে আমরা যাঁরা ভালো আছি, তারা তো পারি যাঁরা ভালো নেই, খুব সামান্য করে হলেও তাঁদের পাশে দাঁড়াতে। মাত্র ১০ টাকা নিয়েও যদি শীতার্ত একটা মানুষের রাতের ঘুম কিনে দিতে পারি, তাতে মনের যে আনন্দ- তা অন্যকিছুতে পাওয়া দুষ্কর। তাই আসুন, সামর্থ্যবানরা যতোদূর সম্ভব শীতার্ত মানুষের পাশে এগিয়ে যাই। একটা করে গরম কাপড় দিয়ে অসহায়দের নীরব কান্নাটুকু মুছে দিই। যাঁরা যথেষ্ট সামর্থ্যবান নই, তাঁরা নিজের পুরনো একটা কাপড় তুলে দিই কোনো এক শীতার্থকে। আসুন, আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে হাত বাড়িয়ে দিই মানবতার জন্য। শীতের প্রকোপ অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায়, শিশু ও বৃদ্ধদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করেছেন চিকিৎসকরা। এ সময় আমাদের এগিয়ে যেতে হবে মানুষের জন্য। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বাড়াতে হবে সাহায্যের হাত। এই হাতে থাকবে আগামীর রংধনু, আগামীর আশা। এই আশার আলোয় জ্বলে উঠুক স্বপ্নবাতি। এই বাতির আলোয় আলোকিত হোক শীতার্ত মানুষের মুখ। []
--------------------------------------------------------------------------
বন্ধুর কাছে মনের কথা]
শূন্যতা
বিলকিস বেগম

সদ্য যৌবনের উঠোনটা খাঁ খাঁ করছিলো। একদিন কোনো এক পড়ন্ত বিকেলে, গাছ থেকে পেয়ারা পেড়ে খাচ্ছিলাম। এ সময় পাশের অন্য একটা গাছে কোকিলের ডাক শুনে, মনটা কেমন আনমনা হয়ে যায়। ছোটবেলা থেকেই একটা ব্যাপার আমাকে অন্য এক জগতে নিয়ে যেতো; আর সেটা হলো- ঘুঘু পাখির ডাক। এ ডাক শোনা মাত্রই আমি অন্য রকম উদাসীমনা হয়ে যেতাম। সে সময় কোনো কিছু ভালোলাগতো না। শুধু মনে হতো, দূর কোনো অজানায় চলে যাই। যেখানে কেউ থাকবে না, শুধু আমি আপন মনে ভাবতে থাকবো। এমন কি, কোনো লোকালয় ভালো লাগতো না। করতামও তাই। মাঝে মাঝে একাকী কোনো এক নীরব গাছের ছায়ায় গিয়ে বসতাম। আবার কখনো কোনো নদীর পাড়ে গিয়ে বসে থাকতাম। আপন মনে নদীর স্বাধীনভাবে চলার গতিধারা লক্ষ করে যেতাম। সত্যি বলতে কি, তখন জীবন ও জীবনের প্রয়োজন সম্পর্কে আমার কোনো জ্ঞান ছিলো না। তবু মনের গভীরে কেমন যেনো শূন্যতা অনুভব হতো। যার কারণে মাঝে মাঝে নিজেকে হালকা করার জন্য কান্না করতাম। আবার কান্নার মাঝেই হাসিতে ফেটে পড়তাম। আজ এতোটা বছর পরেও, সেই একাকীত্ব আর উদাসী মনোভাবটা আমাকে ভীষণ অস্থির করে তোলে। যখন ভীষণ একা হয়ে পড়ি, তখন অচেনা কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হয়। প্রতিদিন মনে হয়, নতুন কারো সঙ্গে কথা বললে অনেক ভালোলাগবে। চেনা-পরিচিত কারো সঙ্গে কথা বলতে আমার একদমই ইচ্ছে করতো না।
আর যদি কাউকে কল দিতে গিয়ে, তার মুঠোফোনে বালাম কিংবা হৃদয় খান-এর গান শুনতে পেতাম; তাহলে তো কথাই নেই! নিজের ভালোলাগাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে ওপাশের মানুষটাকে যন্ত্রণার মধ্যে ফেলে দিই। এছাড়াও, যদি কখনো অপরিচিত নম্বর থেকে সুন্দর কোনো ক্ষুদেবার্তা পাই; তবে সেই ক্ষুদেবার্তার সূত্র ধরেই ও মানুষগুলোর সঙ্গে কথা বলে যেতাম। এমন অনেকই ছিলো; জানি না, কে বা কারা তারা; যারা নিজেদের সময় নষ্ট করে, মেধা খরচ করে, পয়শা খরচ করে চমৎকার সব ক্ষুদেবার্তা পাঠাতো। একবার এক ক্ষুদেবার্তা পেয়েছিলাম, ঠিক এ রকম ছিলো- ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, কোকিল ডাকুক আর নাই ডাকুক, তুমি আমার বন্ধু, বন্ধু হয়েই থেকো... আমি এইসব ক্ষুদেবার্তা পড়ে পড়ে, আমার অসম্ভব ভালোলাগার মধ্য দিয়ে শূন্যতাকে পূরণ করি। যে শূন্যতা কেবলই নীরবে-নিভৃতে গুমরে কাঁদে... []
>
মিরপুর-০২, ঢাকা-১২১৬
--------------------------------------------------------------------------


আকাশলীনা
মাঘ ১৪১৭] জানুয়ারি ২০১১]
সংখ্যা ০৭] বর্ষ ০১]

কৃতজ্ঞতা] হিমেল অনার্য
সম্পাদক] নোমান ভূঁইয়া

শব্দ বিন্যাস ও সমন্বয়] সৈয়দা সুধন্যা
প্রচ্ছদ পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠাসজ্জা] রঙছুট
বিশেষ সহযোগিতায়]
শফিক হাসান, মহিবুল হাসান কাউসার
সাবরিনা আহমেদ
সার্বিক ব্যবস্থাপক] সাইফুল আমিন

যোগাযোগ]
+88 018 18 731377 [সাইফুল আমিন]
[email protected]

মূল্য] ১০ টাকা
[স্বপ্নের কোনো মূল্য হয় না।
তবু যাঁরা এই স্বপ্ন কিনতে চান,
তাঁদের জন্য এই নামমাত্র মূল্য নির্ধারণ]

সম্পাদক ও প্রকাশক
নোমান ভূঁইয়া কর্তৃক সার্কুলার রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত;
এবং হাতিরপুল, ধানমন্ডি, ঢাকা- ১২০৫
থেকে মুদ্রিত

একটি প্রজন্ম প্রকাশনা
=============================================
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×