জানা গেছে, ২৫ জুন বুধবার রাতে মোহাম্মদ হোসেন জেমী পরিচালিত বাজাও বিয়ের বাজনা ছবির শুটিং করছিলেন ওয়াসিম, নতুন, রিয়াজ, জনা, আরজু, আন্না, রাজকমল সহ অনেকেই। অপুও ছিলেন এই শুটিংয়ের শিল্পী। শুটিংয়ের অবসরে মেকাপ রুমে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন নূতন ও জনা। এ সময় সেখানে উপস্থিত হয়ে অপু জনাকে সরাসরি বলেন, আমার মোবাইল চুরি হয়ে গেছে, আমি তোমার ব্যাগ চেক করবো।
অপুর এহেন অভিযোগে নূতন ও জনা দুজনই বিস্মিত হন এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন। জনার প্রতিবাদে সেখানে ছুটে আসেন ছবির প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু ও পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জেমী। অপুর অভিযোগ শুনে তারাও বিস্মিত হন। একজন নায়িকা আরেকজন নায়িকাকে এভাবে অপমান করতে পারে এমনটি তাদের বিশ্বাসই হচ্ছিল না। মুহুর্তে ঘটনাটি পুরো ইউনিটে জানাজানি হলে শুটিং বন্ধ হয়ে যায়।
অপুর আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সবাই। একজন নায়িকা জনপ্রিয়তার সুযোগ যা ইচ্ছা তাই করবেন এমনটি মানতে রাজি নন কেউ। সবার প্রতিবাদে বিপাকে পড়ে যান অপু। মেয়ের কাণ্ড বিপদে ফেলে দিয়েছে দেখে তার মা এগিয়ে গিয়ে জনার কাছে ক্ষমা চান। পরে অপু নিজেও ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা চান। কিন্তু এটা কোন ধরনের ভুল? একজন শিল্পী আরেকজন শিল্পীকে এভাবে অপমান করবেন এটা কেউই মানতে রাজি নন।
সবাই চেয়েছেন তৎক্ষণাৎ অপুর বিচার। তাদের কথা, কাজী হায়াতের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে কিছু লোকের কারণে অপু রক্ষা পেয়ে গেছেন। কিন্তু আজ তার রক্ষা নেই। এদিকে রাত বাড়ছে, ছবির বিশাল সেটের কাজ আজই শেষ করতে হবে। প্রযোজক পরিচালকের টেনশন বাড়ছে। শেষ পর্যন্ত সবাই মিলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত জনাকে শান্ত করেন। জনা প্রযোজকের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে কাজটা শেষ করে দেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




