অ
প্রায়ই আমরা চার বন্ধু মিলে খোলা আসমানের নিচে গল্পগুজব করতাম। পাশে দাঁড়িয়ে থাকত একটা সাদা তিনতলা বাড়ি। মাঝেমাঝে বাড়ির রং আর আসমানের রঙ মিলেমিশে একাকার করে বৃষ্টি নিচে নেমে আসত। আমরা খোলা আসমানের নিচে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতাম অথচ কেউই ভিজতাম না। কারণ বৃষ্টি ছিল সাদা রঙ তিনতলা বাড়ির তিনতলার মেয়েটির নাম। একদিন দেখলাম বাড়িটা লাল করে সাজানো হয়েছে। লাল রং বাতিরা চোখ লাল করে আমাদের দিকে তাকিয়ে অনবরত চোখ টিপছে। সেদিনও বৃষ্টি নিচে নেমে এলো, আমরা ঠিক আগের মত করে খোলা আসমানে নিচে দাঁড়িয়ে রইলাম। কিন্তু আমরা চারজন সেদিন ভিজে গেলাম। একটু বেশি ভিজলো আমার সেই খাটো করে কুকড়া চুলওয়ালা বন্ধুটি, যে তিনতলা বাড়ির দিকে মুখ করে সবসময় দাঁড়াত।
আ
ছোটবেলায় এক বাতাসা বিক্রেতার কাছ থেকে পুরানো কাঁচের বোতল দিয়ে একটা মন্ত্র কিনেছিলাম । মানুষকে ধরে রাখার মন্ত্র। জীবনে কতবার যে সে মন্ত্র পাঠ করেছি তার কোন হিসেব রাখেনি। তবে সে হিসাব আছে – কে আমায় ছেড়ে চলে গল, কে বিদায়বেলায় কাঁদুকাঁদু হয়ে বলে গেল মনে রেখ,মাঝেমাঝে চিটি দিও। সবাই চলে যায়,কাউকে কাউকে আবার চলে যেতে হয়। আসলে আমাদের কারোরেই কাউকে ধরে রাখার ক্ষমতা নেই। সেটা জাপটে ধরে হউক আর মন্ত্র পড়ে হউক ।
ই
অস্ত যাবার আগে একবার সোনালী রোদ হয়ে আড্ডা দিব মেঘলা বিকালের সাথে। তুমি প্রস্তুত থেক, তোমাকেও নিয়ে যাব। এরকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে বলে আমি অপেক্ষায় ছিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




