ঈ
একবার সদ্য বন্ধু বিয়োগের ব্যথা ভুলতে আমরা কয়েকজন বেরিয়ে পড়েছিলাম। জীবন গোছানোর জন্য কোন ধরণের সরঞ্জাম পাওয়া গেলে সেটা সংগ্রহ করে নিয়ে আসব, এই ধরনে একটা গোপন ইচ্ছাও লুকানো মনে মধ্যে ছিল। অনেকদূর গিয়েছিলাম যেখানে পরিচিত মুখ বলতে আমরা কয়েকজন আহত যুবক। ভাঙ্গাচোরা ডাকবাংলায় রাত্রিযাপনের সিদ্ধান্ত হল। জায়গাটা অনেকটা দ্বীপের মত। চারদিক জলময়, ছোটছোট টেউয়ের মৃদু মায়াবী ছন্দ। রাতের রং ধবধবে ফর্সা, সুগন্ধি বাতাসে ঘুমপাড়ানি পরশ। এরকম পরিবেশে একজন বলল – চল আমরা আজ উচ্চাভিলাষী হই। আরেকজন বলল – চল আমরা আমাদের ভুলে গিয়ে আদিম মানুষ হয়ে যাই। পিছন থেকে একজন ব্যাগ থেকে আরজেলেনিকের বোতল বের কর বলল – এটা আমার এক স্কটিশ বন্ধু আমার জন্মদিনে উপহার দিয়েছে। চল সবাই আরজেলেনিকে আঘাতে আমরা আমাদের আরও আহত করি।
উ
আমরা প্রথমে আরজেলেনিকে আঘাতে নিজেদের আরও আহত করলাম। তারপর নিজেদের ভুলে গিয়ে আদিম মানুষ হয়ে জলাশয়ের দিকে হাঁটা ধরলাম। আমাদের উচ্চাভিলাষ দেখে জলাশয় থেকে উঠে আসতে লাগল মৎসকন্যা আর মৎসবালকরা।
ঊ
ওরা আমাদের জিজ্ঞেস করল – তোমরা এমন করছ কেন? এখানে কেউ মাতাল হয় না, এখানে সবাই সুখী হতে আসে। আমরা সমস্বরে বলে উঠি, বন্ধু হারানোর ব্যথা বুকে নিয়ে কেউ সুখী হতে পারে না। আমারা এখানে সুখী হতে আসি নাই, আমরা মাতাল হতেই এসেছি।
জীবন গোছানোর জন্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে গিয়ে আমাদের মাঝেমাঝে মাতাল হতে হয়।
অ-আ-ই
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৯