somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা একবার মাতাল হতে বেরিয়ে পড়েছিলাম

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


একবার সদ্য বন্ধু বিয়োগের ব্যথা ভুলতে আমরা কয়েকজন বেরিয়ে পড়েছিলাম। জীবন গোছানোর জন্য কোন ধরণের সরঞ্জাম পাওয়া গেলে সেটা সংগ্রহ করে নিয়ে আসব, এই ধরনে একটা গোপন ইচ্ছাও লুকানো মনে মধ্যে ছিল। অনেকদূর গিয়েছিলাম যেখানে পরিচিত মুখ বলতে আমরা কয়েকজন আহত যুবক। ভাঙ্গাচোরা ডাকবাংলায় রাত্রিযাপনের সিদ্ধান্ত হল। জায়গাটা অনেকটা দ্বীপের মত। চারদিক জলময়, ছোটছোট টেউয়ের মৃদু মায়াবী ছন্দ। রাতের রং ধবধবে ফর্সা, সুগন্ধি বাতাসে ঘুমপাড়ানি পরশ। এরকম পরিবেশে একজন বলল – চল আমরা আজ উচ্চাভিলাষী হই। আরেকজন বলল – চল আমরা আমাদের ভুলে গিয়ে আদিম মানুষ হয়ে যাই। পিছন থেকে একজন ব্যাগ থেকে আরজেলেনিকের বোতল বের কর বলল – এটা আমার এক স্কটিশ বন্ধু আমার জন্মদিনে উপহার দিয়েছে। চল সবাই আরজেলেনিকে আঘাতে আমরা আমাদের আরও আহত করি।


আমরা প্রথমে আরজেলেনিকে আঘাতে নিজেদের আরও আহত করলাম। তারপর নিজেদের ভুলে গিয়ে আদিম মানুষ হয়ে জলাশয়ের দিকে হাঁটা ধরলাম। আমাদের উচ্চাভিলাষ দেখে জলাশয় থেকে উঠে আসতে লাগল মৎসকন্যা আর মৎসবালকরা।


ওরা আমাদের জিজ্ঞেস করল – তোমরা এমন করছ কেন? এখানে কেউ মাতাল হয় না, এখানে সবাই সুখী হতে আসে। আমরা সমস্বরে বলে উঠি, বন্ধু হারানোর ব্যথা বুকে নিয়ে কেউ সুখী হতে পারে না। আমারা এখানে সুখী হতে আসি নাই, আমরা মাতাল হতেই এসেছি।
জীবন গোছানোর জন্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে গিয়ে আমাদের মাঝেমাঝে মাতাল হতে হয়।

অ-আ-ই
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৯
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×