একটা সীমানায় পেরিয়ে এসে জমিয়ে রাখি আখিজল,
একটা সীমানা পেরিয়ে গেলে জেগে উঠে সমুদ্রঝড়;
হঠাৎ করে শিকেয় তুলি উপেক্ষার প্রহর,
হঠাৎ করে আক্ষেপ বাড়ে বুকের কোণে স্বার্থপরতার নোঙর!
শুনিনি তো কোনদিন বোহেমিয়ান মন,
কান পেতে রাখিনি জানালার গ্রীলের বিসর্জন,
চোখেও তো দেখিনি কোনদিন উপচে পড়া মেঘ
এখন দেখি তপ্ত সাহারায় চলছে বিরহী শ্রাবণ!
ক্লান্ত বিকেল দিয়ে যায় অচেনা মেঠোসুর
বায়না ধরা সন্ধ্যা কভু ডাকেনি পড়তে নূপুর,
নীড়ের ঠিকানা খোঁজে সাধের বাঁশরি,
তবুও আঁকি চিলেকোঠা, তবুও সিঁথিতে রাখি সিঁদুর!
উদাসী রাত আলতা পড়ে পল্লীবালার কোলে
অন্ধকার কথা সাজায় পদ্মপাতার জলে,
হাতের মুঠোয় করুণ সুর লজ্জাবতী মেঘবালিকার
তবুও অসীমে কম্পিত হই, তবুও বাজাই সানাইয়ের সুর!
জানি কভু ঘুমিয়ে পড়েছে রাত, জানি তবু কেউ রাখবে না খবর;
সীমাহীন বিশ্বাস ভাঙায় এলিয়ে চলে বৃষ্টিজল
তবুও মুঠোভরে জাপটে ধরি উপেক্ষিত ঝড়ের কবল!
জানি কভু মিল পাবো না অটোক্রেসির নিয়ম,
জানি তবু ভুলবো না কোনদিন কথা না রাখার সমীকরণ!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৩৪